লিটল পেঙ্গুইন Eudyptula minor | |
---|---|
![]() | |
রাত্রি বেলায় নিজ গর্তে, ব্রুনি দ্বীপপুঞ্জ, তাসমানিয়া, অস্ট্রেলিয়া | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Animalia |
পর্ব: | কর্ডাটা |
শ্রেণী: | পক্ষী |
বর্গ: | Sphenisciformes |
পরিবার: | Spheniscidae |
গণ: | Eudyptula |
প্রজাতি: | E. minor |
দ্বিপদী নাম | |
Eudyptula minor (J.R.Forster, 1781) |
লিটল পেঙ্গুইন (ইংরেজি: Little Penguin) (Eudyptula minor) হল একধরনের পেঙ্গুইন যারা পেঙ্গুইন জাতির মধ্যে আকার ও আয়তনে সবথেকে ছোটো। এরা সাধারণত ৩৩ সেমি (১৩ ইঞ্চি) পর্যন্ত দৈর্ঘ্য এবং ৪৩ সেমি (১৭ ইঞ্চি) লম্বা হয়।[২][৩] এদেরকে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের উপকূলীয় অঞ্চলে দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়াও চিলিতে কিছু কিছু জায়গায় এদের দেখা গেছে।
লিটল পেঙ্গুইন ছাড়াও এদের নানা রকমের প্রচলিত নামে ডাকা হয় যেগুলো হল:
লিটল পেঙ্গুইন নিয়ে প্রথম গবেষণা করেছিলেন জার্মান ন্যাচারালিস্ট জোহান রেইনহোল্ড ফস্টার ১৭৮১ সালে। এদের এখন পর্যন্ত বিভিন্ন উপজাতি আছে কিন্তু এর মধ্যে একটি সুনির্দিষ্ট শ্রেণিবিভাগ এখনও বিতর্কের ব্যাপার। এদের উপজাতিগুলো হল Eudyptula minor variabilis[৪] এবং Eudyptula minor chathamensis[৫] নিউজিল্যান্ডের মিউজিয়ামে সংরক্ষণ করা হয়েছে। হোয়াইট ফ্লিপার্ড পেঙ্গুইন আগে এই প্রজাতির উপজাতি বলে ধরা হত। অস্ট্রেলিয়া এবং ওটাগো দ্বীপপুঞ্জে এদেরকে স্বতন্ত্র প্রজাতি হিসেবে ধরা হয়।[৬] হোয়াইট ফ্লিপার্ড পেঙ্গুইন এদের থেকে অনেক আলাদা এবং এদেরকে স্বতন্ত্র প্রজাতি হিসেবে এখন ধরা হয়।
সব পেঙ্গুইনদের মতোই এরাও উড়তে পারে না। এদের শরীর হয় মসৃণ, ছোটো ছোটো পাখনাগুলো চ্যাপ্টা এবং বলিষ্ঠ ফ্লিপারে পরিণত হয়েছে সামুদ্রিক আবহাওয়ার সাথে মানিয়ে নেওয়ার জন্য। এই পেঙ্গুইনরা, পেঙ্গুইন জাতির মধ্যে আকার ও আয়তনে সবথেকে ছোটো। এরা সাধারণত ৩৩ সেমি (১৩ ইঞ্চি) পর্যন্ত দৈর্ঘ্য এবং ৪৩ সেমি (১৭ ইঞ্চি) লম্বা হয়। এবং এদের ওজন হয় মাত্র ১.৫ কেজি (৩.৩ পাউন্ড)।[২][৩] এদের মাথা এবং ওপরের অংশ স্লেট নীল রঙের হয় এবং আস্তে আস্তে নিচের দিকে ফ্যাকাসে হতে থাকে গাল থেকে পেট পর্যন্ত। এদের ফ্লিপারগুলো নীল রঙের হয়। এদের ৩-৪ সেমি লম্বা কালো ঠোঁট আছে। চোখের পাতাগুলো রূপালি-বা নীলাভ ধূসর বা লালচে ম্লান রঙের হয় এবং এদের পা হয় গোলাপী রঙের এবং পায়ের পাতার নিচের অংশ কালো হয়। একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক পেঙ্গুইনের ঠোঁট হয় ছোট এবং এদের গায়ের রঙ আরোও হাল্কা হয়।[৭]
অন্যান্য সামুদ্রিক পাখির মতোন এদেরও আয়ু অনেক। গড়ে তারা ৬.৫ বছর বাঁচতে পারে। এছড়াও কিছু কিছু ক্ষেত্রে গবেষণা করে দেখা গেছে যে এরা ২৫ বছরেরও বেশি বাঁচতে পারে কিছু কিছু সময়ে।[৮]