লিড মসজিদ | |
---|---|
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | ইসলাম |
অবস্থা | রক্ষিত |
অবস্থান | |
অবস্থান | শোকোদার, আলবেনিয়া |
স্থানাঙ্ক | ৪২°০২′৪৭″ উত্তর ১৯°২৯′৫৮″ পূর্ব / ৪২.০৪৬৫° উত্তর ১৯.৪৯৯৫° পূর্ব |
স্থাপত্য | |
সম্পূর্ণ হয় | ১৭৭৩ |
লিড মসজিদ (আলবেনীয়: Xhamia e Plumbit ), এটি বুসাতলি মেহমেত পাশা মসজিদ নামেও পরিচিত। এটি আলবেনিয়ার শকোডারে উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক মসজিদ ।
এটির অন্য নাম সীসা মসজিদ, কারণ এর সমস্ত গম্বুজ সীসা দিয়ে আবৃত।
লিড মসজিদটি ১৭৭৩ সালে সম্ভ্রান্ত বুশাতি পরিবারের আলবেনীয় পাশা মেহমেদ বুশাতি কর্তৃক নির্মিত হয়। তিনি সেই সময়ে স্কুটারির পাশালিকের উজির ছিলেন।[১] এই কাজের মাধ্যমে তিনি মাতৃভূমির মহব্বত প্রতিষ্ঠা করেন।[২] কথিত আছে যে, মসজিদের ভবনটি ক্যাথলিক চার্চের মালিকানাধীন জমিতে নির্মিত হয়। [৩]
মেহমেদ বুশাতি ব্যক্তিগতভাবে নির্মাণের সাথে জড়িত ছিলেন। তার পৃষ্ঠপোষকতায় পাথর কেটে কেটে তৈরী করা হয়। প্রতিদিন তিনি নিজ বাসভবন রোজাফা দুর্গ থেকে নেমে এসে কাজের অগ্রগতি দেখতেন।
মসজিদের প্রথম ইমাম ছিলেন হোজি আহমেত মিসরীয়, যিনি মিশরীয় বংশোদ্ভূত। মেহমেদ বুশাতির সাথে যোগাযোগের পর তিনি আলবেনিয়ায় আসেন। তাঁর পরে, অন্যান্য ইমামগণও মসজিদের খেদমত করেন ও যত্ন নেন।
১৯০০ এর দশকে, মসজিদটি ক্ষতিগ্রস্থ হতে শুরু করে। গম্বুজে ঢেকে রাখা সীসা ধীরে ধীরে চুরি হয়ে যায়। ১৯১৬ সালে আলবেনিয়ায় অস্ট্রিয় শাসনের সময় অস্ট্রিয় সেনাবাহিনী অবশিষ্ট সীসা অপসারণ করে। [৪]
১৯৬৭ সালে বজ্রপাতে এর মিনারটি ধ্বংস হয়ে যায়। ১৯২০ সালে মেহমেদ বুশাতির বংশধর জেহেলাল বুশাতি এটি পূনর্নির্মাণ করেন। [৫]
১৯৬৭ সালে ধর্মবিরোধী কমিউনিস্ট নেতা এনভার হোজা আলবেনিয়াকে নাস্তিক রাষ্ট্র ঘোষণা করার পর, অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মতোই লিড মসজিদ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই সময়ে অনেক মসজিদ কমিউনিস্ট শাসন থেকে টিকে ছিল, সম্ভবত ১৯৪৮ সালে এটিকে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসাবে ঘোষণা করা হয়। [১] [৫]
১৬ নভেম্বর ১৯৯০ সালে আলবেনিয়ার অন্যান্য মসজিদের পাশাপাশি লিড মসজিদ আবার চালু হয়, যখন দেশে আবার ধর্ম পালনের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। ২৩ বছরের রাষ্ট্রীয় নাস্তিকতার পর এই মসজিদে হাফিজ সাবরি কোসি এর মাধ্যমে প্রথম ধর্মীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছিল ।
লিড মসজিদে উসমানীয় স্থাপত্যের চিহ্ন রয়েছে। আলবেনিয়ার অন্যান্য মসজিদের মতো এটিতে আরব স্থাপত্যও রয়েছে।[১] এটি তুরস্কের ইস্তাম্বুলের ধ্রুপদী উসমানীয় স্থাপত্যকে ঘনিষ্ঠভাবে প্রতিফলিত করে, যা ১৬ শতকের স্থপতি মিমার সিনান দ্বারা চালগ হয়। [২]
মসজিদটি একই আকারের খোদাই করা পাথর দিয়ে নির্মিত, যা মনোরম নির্মাণ প্রতিসাম্য তৈরি করে। পাশের গ্রাম 'গুর আই জি' থেকে পাথরগুলি আনা হয় এবং একে অপরের সাথে সংযুক্ত করে নির্মাণ করা হয়।
সময়ের সাথে সাথে বর্ষা মৌসুমে বন্যার কারণে লিড মসজিদের ক্ষতি হয়। [৬] মসজিদটি বহুবার মেরামত করা হয়েছে: ১৮৬৩, ১৯২০ ও ১৯৬৩ সালে সংস্কার করা হয়। [১] ১৫ জুলাই ২০২১ সালে আলবেনীয় ও তুর্কি সরকার মসজিদটি পুনরুদ্ধারের জন্য অর্থায়ন করে। [৬]