লিডস গ্র্যান্ড মসজিদ | |
---|---|
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | ইসলাম |
নেতৃত্ব | ইমাম: শেখ ড. মোহাম্মদ তাহের |
অবস্থান | |
অবস্থান | লিডস, যুক্তরাজ্য |
স্থানাঙ্ক | ৫৩°৪৮′২৩.৪″ উত্তর ১°৩৪′৪.৮″ পশ্চিম / ৫৩.৮০৬৫০০° উত্তর ১.৫৬৮০০০° পশ্চিম |
স্থাপত্য | |
ধরন | মসজিদ |
প্রতিষ্ঠার তারিখ | ১৯৯৪ |
ধারণক্ষমতা | ১,৫০০+ |
ওয়েবসাইট | |
www |
লিডস গ্র্যান্ড মসজিদ (এলজিএম) হলো নিয়মিত ১২০০ মুসুল্লি একত্রে নামাজ আদায় করতে পারে এমন লিডসের একটি মসজিদ।[১][২] এটি যুক্তরাজ্যের ৯ উডসলে রোড, হাইড পার্ক, লিডস, এলএস৬ ১এসএন ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ারে অবস্থিত। মসজিদে পুরুষ ও মহিলা উভয় উপাসকদের জন্য সুবিধাসহ একটি বিচিত্র এবং মিশ্র জাতিগত জামাত রয়েছে।[১] জুমার নামাজের খুতবা আরবির পাশাপাশি ইংরেজিতেও দেওয়া হয়।[২]
মসজিদটির ইমাম হলেন শেখ ড. মোহাম্মদ তাহের এবং আবাসিক ইসলামী পণ্ডিত হলেন শেখ আবদুল্লাহ আল জুদাই'।[৩]
এটি লিডসের প্রথম মুসলিম স্কাউট গ্রুপের আবাস।[৪] ২০০৬ সালে ১৫ জন স্কাউট নিয়ে এটি চালু হয়।[৪]
মসজিদটি মূলত ডেরেক ওয়াকার কর্তৃক ডিজাইনকৃত সেক্রেড হার্ট চার্চ ছিল যা ১৯৬৫ সালে সম্পূর্ণ হয় এবং এটি ১৯৬০-এর দশকে নির্মিত সবচেয়ে আকর্ষণীয় চার্চগুলোর একটি।[৫] এটি ১৯৯৩ সালে বন্ধ করে বিক্রি করে দেওয়া হয় এবং ১৯৯৪ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবির সাইফ বিন মুহাম্মাদ আল-নিহায়ান এর অর্থায়নে রূপান্তরিত হয়।[৬] গির্জাটি সপ্তাহের দিনগুলোতে ব্যবহৃত একটি ছোট প্রার্থনা কক্ষে রূপান্তরিত হয় এবং মূল কক্ষের পিছন দিকে মহিলাদের জন্য একটি গ্যালারি তৈরি করা হয়। এর দাগযুক্ত কাঁচের জানালা ও সুস্পষ্ট খ্রিস্টীয় প্রতীকগুলো সরিয়ে ফেলা হয় এবং ওজুখানা স্থাপিত হয়।[৫]
প্রধান কক্ষে বিশাল ফাঁকা জায়গা রয়েছে যা মানব প্রতিধ্বনি সংক্রান্ত পরীক্ষার-নিরীক্ষার কাজে ব্যবহৃত হয়।[৭]
২০১৩ সালে একটি অস্বাভাবিক ঝড় ছাদের কিছু অংশ উড়িয়ে নিয়ে যায়, ফলে বৃষ্টির কারণে ব্যাপক ক্ষতি হয়।[৮]
মসজিদটিতে পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের জন্য প্রার্থনা কক্ষ রয়েছে। এছাড়া এটিতে বক্তৃতা কক্ষ, একাধিক কাজের জন্য ব্যবহৃত বেসমেন্ট, গ্রন্থাগার ও খাদ্য পরিবেশনের জন্য রান্নাঘর রয়েছে। মসজিদের চারপাশ উদ্যান দ্বারা বেষ্টিত এবং ২০ টি গাড়ি রাখার জায়গা রয়েছে। সংযুক্ত বাড়ির ভাড়া মসজিদটির আয়ের একটি উৎস।