লিনিয়াজওএস

লিনিয়াজওএস
ডেভলপারলিনিয়াজওএস ওপেন সোর্স কম্যুনিটি
প্রোগ্রামিং ভাষাসি (কোর), সি++ (কিছু তৃতীয় পক্ষের লাইব্রেরী), জাভা (ইউআই)
ওএস পরিবারইউনিক্স-সদৃশ
কাজের অবস্থাসক্রিয়
সোর্স মডেলওপেন সোর্স
সর্বশেষ মুক্তিআনঅফিসিয়াল লিনিয়াজওএস ১৬, অ্যান্ড্রয়েড পাই(৯.০)
মার্কেটিং লক্ষ্যঅ্যান্ড্রয়েড মুঠোফোনের ফার্মওয়্যার প্রতিস্থাপন
ভাষাসমূহ
হালনাগাদের পদ্ধতিওটিএ, রম ফ্ল্যাশ
প্যাকেজ ম্যানেজারএপিকে ভিত্তিক (নির্বাচনযোগ্য ঐচ্ছিক রিপোজিটরি, যথা এফ-ড্রয়েড, আমাজন এপস্টোর অথবা গুগল প্লে স্টোর) (যদি ইন্সটল করা থাকে)
কার্নেলের ধরনমনোলিথিক (লিনাক্স)
লাইসেন্সবিভিন্ন লাইসেন্স; গিটহাবে বিভিন্ন লাইসেন্স ও নোটিশ ফাইলের অধীনে প্রতিটা রিপোর সাথে দেখা যাবে
পূর্বসূরীসায়ানোজেনমোড সায়ানোজেন ওএস
ওয়েবসাইটlineageos.org

লিনিয়াজওএস (ইংরেজি: LineageOS) অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল প্ল্যাটফর্মের জন্যে একটি ফ্রিওপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেম। এটি সায়ানোজেনমোড কাস্টম রমের উত্তরসূরী, সায়ানোজেন ইনকর্পোরেটেড ডেভেলপমেন্ট বন্ধ ঘোষণা করার পর যেখান থেকে ডিসেম্বর ২০১৬ সালে এটি ফোর্ক করা হয়৷[][] যেহেতু সায়ানোজেন ইনকর্পোরেটেড সায়ানোজেন নামের উপর অধিকার অপরিবর্তিত রেখছে, প্রকল্পটি এটার ফোর্ককে লিনিয়াজওএস নামে ব্র‍্যান্ডিং করে।[]

লিনিয়াজওএস গিটহাবে ডিসেম্বর ২৪, ২০১৬ সালে অফিশিয়ালি তাদের সোর্স কোড উন্মুক্ত করে।[] ওই সময় থেকে, এখন পর্যন্ত ১৮৫টি ফোন মডেলের জন্যে লিনিয়াজওএস ডেভলপমেন্ট বিল্ড রয়েছে [] [][]

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

সায়ানোজেনমোড ("সিএম" বলে পরিচিত) অ্যান্ড্রয়েড ভিত্তিক একটি জনপ্রিয় কাস্টম রম ছিলো। এক প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৫ সালে সর্বমোট ৫০০ কোটি সায়ানোজেনমোড ব্যবহারকারী ছিলো। [][] অন্য কাস্টম রমের ভিত্তি হিসেবে অনেক ডেভলপার সায়ানোজনমোড ব্যবহার করতো।

২০১৩ সালে, প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ কোন্ডিক প্রকল্পটির বাণিজ্যিকীকরণের উদ্দেশ্যে তহবিল সংগ্রহ শুরু করেন।[১০][১১] তার দৃষ্টিতে কোম্পানিটি প্রকল্পের সফলতায় অর্থোপার্জন করতে পারেনি। এবং ২০১৬ তে তিনি কোম্পানিটি ত্যাগ করেন বা তাকে বাধ্য করা হয় তাতে৷[১২][১৩][১৪] ওপেন সোর্স এবং জনপ্রিয় হওয়ার উসিলায় কোডটি অচিরেই নতুন নাম লিনিয়াজওএসের অধীনে ফোর্ক করা হয় এবং কম্যুনিটি চালিত হবে বলে ঠিক করা হয়।

সায়ানোজেনমোড এমন কিছু সুবিধা প্রদান করতো, যা অধিকাংশ মোবাইল প্রস্তুতকারকদের অফিশিয়াল ফার্মওয়্যারে প্রদান করা হতো না। সায়ানোজেনমোডের এ স্বকীয়তা ও জনপ্রিয়তা পরবর্তীতে লিনিয়াজওএস উদ্ভবের পেছনে অবদান রেখেছে৷

উন্নয়ন

[সম্পাদনা]

সায়ানোজেনমোডের মতই এ প্রকল্পটি অসংখ্য নির্দিষ্ট যন্ত্র ভিত্তিক ডেভলপারদের দ্বারা ডেভলপ করা হয় ও গেরিট ব্যবহার করে কোড রিভিউ করা হয়৷ এটা একই সাথে পুরোনো সংস্করণ ব্যবস্থাটা ধরে রেখেছে( যেমন, অ্যান্ড্রয়েড ৭.১ হচ্ছে লিনিয়াজওএস ১৪.১)।[১৫]

লিনিয়াজওএসের অফিশিয়াল উদ্ভোবনের আগেই এক্সডিএর অনেক ডেভেলপার উন্মুক্ত সোর্স কোড ব্যবহার করে অনেকগুলো আনঅফিশিয়াল সংস্করণ তৈরি করে ফেলেছিলো।

একটি ব্লগ পোস্টে অফিশিয়াল ঘোষণা অনুযায়ী, জানুয়ারি ২২, ২০১৭ থেকে ১৪. ও ১৩.০-এর অফিশিয়াল বিল্ড বের হতে লাগলো।

ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৮ সালে ১৩.০ বিল্ড রিলিজ রহিত হয়ে যায়,[১৬] যদিও সোর্স কোড তখনও উন্মুক্ত ছিলো এবং নিরাপত্তা ত্রুটি সংশোধন তখনও গ্রহণ করা হচ্ছিলো।

ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৮ সাল থেকে নির্দিষ্ট কিছু যন্ত্রে ১৫.১-এর অফিশিয়াল সংস্করণ বের হওয়া শুরু করলো৷ [১৭] নতুন কোন সুবিধা সংযোগ ব্যতীত লিনিয়াজওএস ১৪.১ এর উন্নয়ন অব্যহত থাকবে।

সংস্করণের ইতিহাস

[সম্পাদনা]
লিনিয়াজওসের প্রধান সংস্করণ অ্যান্ড্রয়েড সংস্করণ শেষ রিলিজ প্রথম রিলিজের তারিখ শেষ রিলিজের তারিখ নতুন সুবিধা
১৩ অ্যান্ড্রয়েড ৬.১
(মার্শম্যালো)
১৩.০ ২২ জানুয়ারি ২০১৭ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ লিনিয়াজওএস ১৩.০
১৪ অ্যান্ড্রয়েড ৭.১.২
(ন্যুগাট)
১৪.১ ২২ জানুয়ারি ২০১৭ লিনিয়াজওএস ১৪.১
১৫ অ্যান্ড্রয়েড ৮.১.০
(ওরিও)
১৫.১ ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৮ লিনিয়াজওএস ১৫.১
১৬

(আনঅফিশিয়াল বিল্ড)

অ্যান্ড্রয়েড ৯.০.০

(পাই)

১৬

প্রাকইন্সটলকৃত অ্যাপ

[সম্পাদনা]

লিনিয়াজওসে অনেক প্রয়োজনীয় অ্যাপ অন্তর্ভুক্ত থাকে, কিন্তু এটা তার পূর্বসূরীর মতই সমস্ত ব্লোটওয়ার পরিহার করে চলে।[১৮]

  • অডিওএফএক্স – শ্রবণঅভিজ্ঞতা উন্নয়নের জন্যে ব্যবহৃত অডিও অপটিমাইজার।
  • ব্রাউজার – জেলি নামেও পরিচিত হালকা এ ওয়েব ব্রাউজার কম ক্ষমতা সম্পন্ন ফোনের জন্যে উপযোগী করে বানানো।
  • ক্যালকুলেটর – ফোর-ফাংশন ক্যালকুলেটর, সাথে এডভান্স কিছু সুবিধাও রয়েছে।
  • ক্যালেন্ডার – ক্যালেন্ডার অ্যাপ।
  • ক্যামেরা – ডিভাইস স্পেসিফিকেশনের উপর নির্ভর করে নানান সুবিধা প্রদান করে। আগে স্ন্যাপ নামে পরিচিত ছিলো।
  • ক্লক – বৈশ্বিক ঘড়ি, কাউন্টডাউন সময় নির্ধারক, স্টপওয়াচ এবং অ্যালার্ম।
  • কন্টাক্টস – নাম্বার ও ইমেইল ঠিকানার জন্যে ব্যবহৃত ফোনবুক।
  • ইমেইল – পপ৩, আইম্যাপ ও এক্সচেঞ্জ নিয়ন্ত্রণের জন্যে ইমেইল ক্লায়েন্ট৷
  • ফাইল ম্যানেজার – ফাইল প্রতিস্থাপন, নাম পরিবর্তন, নকলের জন্যে সাধারণ ফাইল ম্যানেজার৷
  • ফ্লিপফ্ল্যাপ – নির্দিষ্ট কিছু যন্ত্রকে লক্ষ্য করে নির্মিত স্মার্ট ফ্লিপ কভারের জন্যে ব্যবহৃত অ্যাপ।
  • এফএম রেডিও - এফএম টিউনার সংযুক্ত যন্ত্রের জন্যে এফএম রেডিও শোনার অ্যাপ।
  • গ্যালারি – সহজ প্রদর্শনের জন্যে ছবি ও ভিডিওকে সাজিয়ে রাখার অ্যাপ।
  • ম্যাসেজিং – এসএমএস ম্যাসেজিং।
  • মিউজিক – পূর্বে ইলেভেন নামে পরিচিত একটি মিউজিক প্লেয়ার অ্যাপ।
  • ফোন – ফোনকলের জন্যে ব্যবহৃত অ্যাপ।
  • রেকর্ডার – স্ক্রিন ও সাউন্ড রেকর্ডার।
  • ট্রেবুচ্যাট – কাস্টমাইজেবল লঞ্চার।

যদিও আইনি কারণে, গুগল প্লে স্টোর, ও প্লে সার্ভিস পূর্ব থেকে ইন্সটল করা থাকে না। ব্যবহারকারী চায়লে জিপ ফ্ল্যাশের মাধ্যমে তা ইন্সটল করতে পারে।

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Heater, Brian (২৪ ডিসেম্বর ২০১৬)। "After having its infrastructure shuttered, CyanogenMod will live on as Lineage"টেকক্রাঞ্চ। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  2. "A fork in the road"। সায়ানোজেনমোড। ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬। ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  3. Levy, Nat (২৬ ডিসেম্বর ২০১৬)। "Open-source Lineage project rises from Cyanogen's ashes as Android maker abruptly shuts down services"GeekWire। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  4. Gallagher, Sean Gallagher (২৭ ডিসেম্বর ২০১৬)। "Cyanogen Inc. shuts down CyanogenMod in Christmas bloodbath."Ars Technica। Ars Technica। 
  5. "LineageOS/hudson"GitHub। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-০৯ 
  6. "LineageOS Statistics"Stats.lineageos.org। ২০১৮-০৫-০৫। ২০১৯-১২-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৫-০৫ 
  7. "LineageOS now has one million users, OnePlus One is the most popular device"Androidauthority.com। ২০ মার্চ ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০১৮ 
  8. Helft, Miguel। "Meet Cyanogen, The Startup That Wants To Steal Android From Google"Forbes.com। Forbes। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০১৫ 
  9. CyanogenMod [@CyanogenMod] (১২ জানুয়ারি ২০১২)। "CyanogenMod just passed 1 million active users." (টুইট)। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬ – টুইটার-এর মাধ্যমে। 
  10. "Lineage Android Distribution"। LineageOS। ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  11. Reed, Brad (১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩)। "With $7 million in funding, Cyanogen aims to take on Windows Phone"Boy Genius Report। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  12. Tal, Lior (৩০ নভেম্বর ২০১৬)। "Update on Cyanogen"। Cyanogen Inc.। ২৭ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০১৭ 
  13. Ruddock, David (২৮ নভেম্বর ২০১৬)। "Cyanogen Inc. will shutter Seattle office by end of year, more layoffs happening, Kondik could be out"Android Police। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০১৭Kondik was removed from the company's board, allegedly [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  14. CyanogenMod [@CyanogenMod] (২৫ ডিসেম্বর ২০১৬)। "UPDATE: As of this morning we have lost DNS and Gerrit is now offline — with little doubt as a reaction to our blog post yesterday. Goodbye" (টুইট)। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬টুইটার-এর মাধ্যমে। 
  15. OS, Lineage। "Update & Build Prep"Lineageos.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০১-২১ 
  16. "Gerrit Code Review"review.lineageos.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-১৩ 
  17. LineageOS। "Changelog 16 - Smart Styles, Treble is trouble and Omfg Oreo"www.lineageos.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-২৫ 
  18. Siddharth Chauhan (৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭)। "How to: Install Lineage OS on your smartphone"In.pcmag.com। ২৫ মে ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ অক্টোবর ২০১৭As far as user interface goes, Lineage OS presents a clean and bloatware free stock Vanilla Android experience but still has some tricks up its sleeve. 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]