![]() ২০১০ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে লিন্ডসে ক্লাইন | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | লিন্ডসে ফ্রান্সিস ক্লাইন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ক্যাম্বারওয়েল, মেলবোর্ন, ভিক্টোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া | ২৯ সেপ্টেম্বর ১৯৩৪|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ২ অক্টোবর ২০১৫ মেলবোর্ন, ভিক্টোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া | (বয়স ৮১)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | স্লো লেফট-আর্ম চায়নাম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | জেসন ক্লাইন (ভ্রাতৃষ্পুত্র) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২০৭) | ২৩ ডিসেম্বর ১৯৫৭ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৭ জানুয়ারি ১৯৬১ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৪ অক্টোবর ২০১৫ |
লিন্ডসে ফ্রান্সিস ক্লাইন (ইংরেজি: Lindsay Kline; জন্ম: ২৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৩৪ - মৃত্যু: ২ অক্টোবর, ২০১৫) ভিক্টোরিয়ার ক্যাম্বারওয়েল এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিশিষ্ট অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন।[১] ১৯৫৫ থেকে ১৯৬২ সময়কালে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন তিনি।[১]
দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি স্পিনার ছিলেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে ভিক্টোরিয়ার প্রতিনিধিত্ব করেন লিন্ডসে ক্লাইন।[২] ১৯৪৯ থেকে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত ক্যাম্বারওয়েল হাই স্কুলে অধ্যয়ন করেন তিনি।[৩]
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তেরো টেস্টে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছিলেন লিন্ডসে ক্লাইন। তন্মধ্যে, নয়টি টেস্টই বিদেশের মাটিতে খেলে ১৫.৩৫ গড়ে ৩১ উইকেট নিয়ে প্রভূতঃ সফলতার স্বাক্ষর রেখেছেন। ২৩ ডিসেম্বর, ১৯৫৭ তারিখে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার।
১৯৫৭-৫৮ মৌসুমে কেপ টাউনে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৬ষ্ঠ অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার হিসেবে হ্যাট্রিক করেন।[৪] খেলায় তিনি একে-একে এডি ফুলার, হিউ টেফিল্ড ও নিল অ্যাডকককে আউট করে এ কীর্তিগাঁথা রচনা করেন। ১৯৫৯-৬০ মৌসুমে লাহোরে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭/৭৫ পান। ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে ভাল খেললেও নিজ দেশে তার খেলার মান নিম্নমূখী হয়ে পড়ে।
১৯৬০-৬১ মৌসুমে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই টেস্টে অংশ নিয়ে স্মরণীয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। ১৯৬০ সালে ব্রিসবেনের গাব্বায় অনুষ্ঠিত বিখ্যাত টাই টেস্টে ওয়েস হলের বল মোকাবেলা করেন।[৫] শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি শেষ ওভারের শেষ বল রুখতে ব্যর্থ হন। অ্যাডিলেড ওভালে অনুষ্ঠিত একই সিরিজের চতুর্থ টেস্টে অল-রাউন্ডার কেন ম্যাকে’র সাথে শেষ উইকেট জুটিতে ১০৯ মিনিট অতিবাহিত করেন। এরফলে টেস্টটি ড্রয়ে পরিণত হয়েছিল।[৬]
১৯৬১ সালে ইংল্যান্ড সফরের অ্যাশেজ সিরিজে দলের অন্যতম সদস্য মনোনীত হন। কিন্তু কোন টেস্টেই তাকে মাঠে নামতে হয়নি।
প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার জেসন ক্লাইন সম্পর্কে তার ভাইপো হন। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন তিনি। স্টেলা নাম্নী এক রমণীর পাণিগ্রহণ করেন। ২ অক্টোবর, ২০১৫ তারিখে ভিক্টোরিয়ার মেলবোর্নে ৮১ বছর বয়সে লিন্ডসে ক্লাইনের দেহাবসান ঘটে।