লিয়ানা উলিন | |
---|---|
জন্ম | লিয়ানা মারিয়া ইয়োনা উলিন ২২ মার্চ ১৯৫৫ |
জাতীয়তা | সুয়েডিয় |
শিক্ষা | সুইডিশ ন্যাশনাল একাডেমি অব মাইম অ্যান্ড অ্যাক্টিং |
পেশা | অভিনেত্রী |
কর্মজীবন | ১৯৭৬-বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী | লাসে হালস্ত্রোম (বি. ১৯৯৪) |
সঙ্গী | ওর্জান রামবের্গ |
সন্তান | ২ |
পিতা-মাতা | ব্রিত্তা হোমবের্গ স্তিগ উলিন |
লিয়ানা মারিয়া ইয়োনা উলিন (সুয়েডিয় উচ্চারণ: [ˈlêːna ʊˈliːn] (; জন্ম ২২ মার্চ ১৯৫৫) হলেন একজন সুয়েডিয় অভিনেত্রী। তিনি একাধিক পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেছেন, তন্মধ্যে রয়েছে দ্য আনবেয়ারেবল লাইটনেস অব বিয়িং (১৯৮৮) চলচ্চিত্রের অভিনয়ের জন্য )সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার, এনিমিস, আ লাভ স্টোরি (১৯৮৯) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার এবং শোকোলা (২০০০) চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রী বিভাগে বাফটা পুরস্কার। তার অভিনীত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল ইংমার বারিমানের আফটার দ্য রিহার্সাল (১৯৮৪), কুইন অব দ্য ডেমড (২০০২), কাসানোভা (২০০৫) ও দ্য রিডার (২০০৮)। উলিন টেলিভিশন ধারাবাহিক অ্যালিয়াস-এর দ্বিতীয় মৌসুম থেকে প্রধান অভিনয়শিল্পী দলের সদস্য ছিলেন এবং মার্কিন-সুয়েডিয় সিটকম ওয়েলকাম টু সুইডেন-এ শ্রেষ্ঠাংশে অভিনয় করেছেন।
উলিন ১৯৫৫ সালের ২২শে মার্চ সুইডেনের স্টকহোমে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা পরিচালক স্তিগ উলিন এবং মাতা অভিনেত্রী ব্রিত্তা হোমবের্গ।[১] তিনি তার পিতামাতার তিন সন্তানের মধ্য সর্বকনিষ্ঠ। তার বড় ভাই ১৯৬০ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।[১] উলিন সুইডিশ ন্যাশনাল একাডেমি অব মাইম অ্যান্ড অ্যাক্টিং-এ অভিনয়ের পাঠ গ্রহণ করেন।
১৯৭৪ সালের অক্টোবর মাসে ১৯ বছর বয়সে উলিন ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কিতে মিস স্ক্যান্ডিনেভিয়া ১৯৭৪-এর মুকুট অর্জন করেন।[২]
উলিন দ্য আনবেয়ারেবল লাইটনেস অব বিয়িং (১৯৮৮) চলচ্চিত্রের অভিনয়ের জন্য সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। ১৯৮৯ সালে তিনি এনিমি, আ লাভ স্টোরি চলচ্চিত্রে তার অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[৩] এতে তিনি নাৎসি মৃত্যু ক্যাম্প থেকে বেঁচে যাওয়া এক নারীর চরিত্রে অভিনয় করেন।
উলিন তার স্বামী লাসে হালস্ত্রোমের পরিচালনায় শোকোলা (২০০০) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রী বিভাগে বাফটা পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। এছাড়া তিনি হালস্ত্রোমের পরিচালনায় ক্যাসানোভা (২০০৫) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।[৪]
১৯৭০-এর দশকের মাঝামাঝি থেকে ১৯৮০-এর দশকের শেষ নাগাদ উলিন সুয়েডীয় অভিনেতা ও তার রয়্যাল ড্রামাটিক থিয়েটারের সহকর্মী উরিয়ান রামবারির সঙ্গী ছিলেন। তাদের অগুস্ত রামবারি (জ. ১৯৮৪) নামে এক সন্তান রয়েছে। ১৯৮০-এর দশকের শেষভাগে তাদের সম্পর্কে ছেদ ঘটার পর কিছুদিন তার মিস্টার জোন্স চলচ্চিত্রের সহশিল্পী রিচার্ড গিয়ারের সাথে তার সম্পর্ক ছিল।
১৯৯২ সালে উলিন সুইডেনে পরিচালক লাসে হালস্ত্রোমের সাথে পরিচিত হন। ১৯৯৪ সালে তারা স্টকহোমের হেদভিগ এলেওনোরা গির্জায় বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের তোরা (জ. ১৯৯৫) নামে এক কন্যা রয়েছে। এই দম্পতি নিউ ইয়র্কের বেডফোর্ডে বসবাস করেন।[৫][৬][৭] [৮]
টেমপ্লেট:নিউ ইয়র্ক চলচ্চিত্র সমালোচক সমিতি পুরস্কার শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী