লিলি কলিন্স | |
---|---|
Lily Collins | |
জন্ম | লিলি জেন কলিন্স ১৮ মার্চ ১৯৮৯ |
নাগরিকত্ব | যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র |
মাতৃশিক্ষায়তন | সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | অভিনেত্রী, মডেল, লেখিকা |
কর্মজীবন | ১৯৯২–বর্তমান |
পিতা-মাতা | ফিল কলিন্স জিল টেভেলম্যান |
আত্মীয় | সিমন কলিন্স (সৎ ভাই) জোয়েলি কলিন্স (সৎ বোন) |
লিলি জেন কলিন্স (ইংরেজি: Lily Jane Collins; জন্ম: ১৮ মার্চ ১৯৮৯) হলেন একজন ব্রিটিশ-মার্কিন অভিনেত্রী, মডেল ও লেখিকা।[১] তিনি ইংরেজ সঙ্গীতজ্ঞ ফিল কলিন্সের কন্যা। সুরিতে জন্ম নেওয়া কলিন্স শৈশবে লস অ্যাঞ্জেলেসে চলে যান। মাত্র দুই বছর বয়সে বিবিসির গ্রোয়িং পেইন্স ধারাবাহিকে তাকে দেখা যায়। কিশোরী বয়সে তিনি সেভেনটিন ম্যাগাজিন, টিন ভোগ, এবং লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসে লেখালেখি করতেন। তিনি সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রচার সাংবাদিকতা বিষয়ে পড়াশুনা করেন। ২০০৭ সালে হোটেল দি ক্রিলনে চ্যানেল টিভি কর্তৃক নিবাচিত হয়ে গাউন পড়ার পর স্পেনের গ্ল্যামার ম্যাগাজিন তাকে বর্ষসেরা আন্তর্জাতিক মডেল বলে ঘোষণা দেয়। ২০০৮ সালে তাকে নবাগত রেড কার্পেট করেসপন্ডেন্ট এবং একই বছর ওয়ান টু ওয়াচ খ্যাতি লাভ করেন।
কলিন্স ২০০৯ সালে কিশোর নাট্য টেলিভিশন ধারাবাহিক ৯০২১০-এ অতিথি চরিত্রে অভিনয় করেন এবং পরে অর্ধ-জীবনীমূলক ক্রীড়াভিত্তিক চলচ্চিত্র দ্য ব্লাইন্ড সাইড দিয়ে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়। তিনি বিজ্ঞান কল্পকাহিনীমূলক মারপিঠধর্মী-ভীতিপ্রদ চলচ্চিত্র প্রিস্ট (২০১১), মনস্তাত্ত্বিক মারপিঠধর্মী-থিলার চলচ্চিত্র অ্যাবডাকশন, এবং কাল্পনিক চলচ্চিত্র মিরর মিরর-এ অভিনয় করেন। মিরর মিরর ছবিতে স্নো হোয়াইট ভূমিকায় তার কাজের জন্য তিনি বিজ্ঞান কল্পকাহিনী/কাল্পনিক চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিভাগে টিন চয়েজ পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। তিনি ক্যাসান্ড্রা ক্লের রচিত দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের সর্বাধিক বিক্রিত উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত দ্য মর্টাল ইনস্ট্রুমেন্ট্স: সিটি অব বোন্স-এ ক্ল্যারি ফ্রে চরিত্রে অভিনয় করে আরও পরিচিতি লাভ করেন এবং মারপিঠধর্মী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিভাগে টিন চয়েজ পুরস্কার ও এমটিভি মুভি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।
কলিন্স স্বাধীন চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রসিদ্ধ, তার অভিনীত স্বাধীন চলচ্চিত্রসমূহ হল প্রণয়ধর্মী হাস্যরসাত্মক নাট্য স্টাক ইন লাভ (২০১২), প্রণয়ধর্মী হাস্যরসাত্মক দ্য ইংলিশ টিচার (২০১৩) এবং প্রণয়ধর্মী হাস্যরসাত্মক নাট্য লাভ, রোজি (২০১৪)। তিনি রুল্স ডোন্ট অ্যাপ্লাই (২০১৬) চলচ্চিত্রে মার্লা মাব্রি চরিত্রে অভিনয়ের জন্য নিউ হলিউড ফিল্ম পুরস্কার লাভ করেন এবং শ্রেষ্ঠ সঙ্গীতধর্মী বা হাস্যরসাত্মক অভিনেত্রী বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। ২০১৭ সালে তার প্রথম বই আনফিল্টারড: নো শেম, নো রিগ্রেট্স, জাস্ট মি প্রকাশিত হয় এবং প্রশংসা অর্জন করে। ২০১৭ সালের মে মাসে কলিন্স ও মার্টি নক্সনকে তাদের টু দ্য বোন চলচ্চিত্রের জন্য প্রজেক্ট হিল প্রদান করা হয়।[২]
কলিন্স ২০০৯ সালে কিশোর নাট্য টেলিভিশন ধারাবাহিক ৯০২১০-এ দুটি পর্বে অতিথি চরিত্রে অভিনয় করেন, তন্মধ্যে একটি ছিল প্রথম মৌসুমের শেষ পর্ব। কলিন্স ২০০৯ সালে ম্যাক্সিম পত্রিকার ঘোষিত রক স্টারদের সবচেয়ে যৌন আবেদনময়ী কন্যা তালিকার ২০ জনের একজন ছিলেন।[৩] ২০০৯ সালে তিনি অর্ধ-জীবনীমূলক ক্রীড়াভিত্তিক চলচ্চিত্র দ্য ব্লাইন্ড সাইড-এ সান্ড্রা বুলকের অভিনীত লেই অ্যান টুহির কন্যা কলিন্স টুহি চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তার চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন। ২০১১ সালে তিনি বিজ্ঞান কল্পকাহিনীমূলক মারপিঠধর্মী-ভীতিপ্রদ চলচ্চিত্র প্রিস্ট-এ পল বেটানির সাথে যাজকের কন্যা লুসি চরিত্রে অভিনয় করেন।[৪][৫] এছাড়া তিনি মনস্তাত্ত্বিক মারপিঠধর্মী-থিলার চলচ্চিত্র অ্যাবডাকশন চলচ্চিত্রে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন।[৬] ২০১১ সালে এমটিভি নেটওয়ার্কসের নেক্সমুভি.কম তাকে দর্শনীয় প্রতিশ্রুতিশীল তারকা তালিকায় তার নাম অন্তর্ভুক্ত করে।[৭]
পরের বছর তিনি কল্পনাধর্মী চলচ্চিত্র মিরর মিরর-এ স্নো হোয়াইট চরিত্রে অভিনয় করেন। এটি মূলত কল্পনাধর্মী গল্প স্নো হোয়াইট অ্যান্ড দ্য সেভেন ডোয়ার্ফস-এর চলচ্চিত্রায়ন। দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ-এর রবি কলিন লিখেন, "এই চলচ্চিত্রের জন্য তার আদুরে, অনুভূতিপ্রবণ ও উপযুক্ত মুখশ্রী রয়েছে; লিয়াম গ্যালাঘারের চোখের ভ্রু-যুক্ত অড্রি হেপবার্নের কথা চিন্তা করেন।"[৮] তার এই কাজের জন্য তিনি বিজ্ঞান কল্পকাহিনী/কাল্পনিক চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিভাগে টিন চয়েজ পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। তিনি চলচ্চিত্রের গানে প্রথম কণ্ঠ প্রদান করেন "আই বিলিভ (ইন লাভ)" গান পরিবেশনার মধ্য দিয়ে।[৯] ২০১২ সালে তিনি জেনিফার কনেলি, লোগান লারম্যান ও গ্রেগ কিনিয়ারের সাথে স্টাক ইন লাভ চলচ্চিত্রের সামান্থা চরিত্রে অভিনয় করেন।[১০][১১]
কলিন্সকে ২০১৩ সালের ইভল ডেড চলচ্চিত্রের পুনর্নির্মাণে প্রধান চরিত্রে অভিনয়ের জন্য নির্বাচন করা হলে, পরে সময়সূচির জটিলতায় এই কাজটি বাদ দিতে হয়।[১০][১১] এরপর তিনি ক্যাসান্ড্রা ক্লের রচিত দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের সর্বাধিক বিক্রিত উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত দ্য মর্টাল ইনস্ট্রুমেন্ট্স: সিটি অব বোন্স-এ ক্ল্যারি ফ্রে চরিত্রে অভিনয় করেন।[১২] এই কাজের জন্য তিনি মারপিঠধর্মী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিভাগে টিন চয়েজ পুরস্কার ও এমটিভি মুভি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। একই বছর অক্টোবরে তাকে থার্টি সেকেন্ডস টু মার্সের "সিটি অব অ্যাঞ্জেলস" মিউজিক ভিডিওতে দেখা যায়।[১৩]
বছর | শিরোনাম | ভূমিকা | টীকা |
---|---|---|---|
২০০৯ | দ্য ব্লাইন্ড সাইড | কলিন্স তুহি | |
২০১১ | প্রিস্ট | লুসি পেস | |
অ্যাবডাকশন | কারেন মার্ফি | ||
২০১২ | মিরর মিরর | স্নো হোয়াইট | |
স্টাক ইন লাভ | সামান্থা বোর্জেন্স | ||
২০১৩ | দ্য ইংলিশ টিচার | হ্যালি অ্যান্ডারসন | |
দ্য মর্টাল ইনস্ট্রুমেন্ট্স: সিটি অব বোন্স | ক্ল্যারি ফ্রে | ||
২০১৪ | লাভ, রোজি | রোজি ডান | |
২০১৬ | রুল্স ডোন্ট অ্যাপ্লাই | মার্লা ম্যাব্রি | |
২০১৭ | টু দ্য বোন | এলেন "ইলি" | |
ওকজা | রেড | ||
দ্য ডিগ | জো | স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র | |
২০১৮ | হিয়্যার কাম্স দ্য গ্রাম্প[১৪] | প্রিন্সেস ডন (কণ্ঠ) | সমাপ্ত |
হালো অব স্টারস | মিস্টি ডন | নির্মাণ-উত্তর | |
টলকিন | এডিথ টলকিন | নির্মাণ-উত্তর | |
এক্সট্রিমলি উইক্ড, শকিংলি ইভল এবং ভাইল | এলিজাবেথ ক্লুফার | নির্মাণ-উত্তর |