লীলা মিশ্র | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | ১৭ জানুয়ারি ১৯৮৮ | (বয়স ৮০)
অন্যান্য নাম | লীলা মিশ্র |
পেশা | অভিনেত্রী |
কর্মজীবন | ১৯৩৬–৮৬ |
দাম্পত্য সঙ্গী | রাম প্রসাদ মিশ্র |
লীলা মিশ্র (১লা জানুয়ারি ১৯০৮[১] – ১৭ই জানুয়ারি ১৯৮৮) একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ছিলেন। তিনি পাঁচ দশক ধরে ২০০টিরও বেশি হিন্দি চলচ্চিত্রে একজন পার্শ্বচরিত্র শিল্পী হিসাবে কাজ করে গেছেন এবং খালা (চাচি বা মাসি)-এর মতো বাঁধাধরা চরিত্রে অভিনয় করার জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত লাভ করেছিলেন। তিনি বলিউডের অন্যতম সেরা জনপ্রিয় চলচ্চিত্র, ১৯৭৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত, শোলে তে মাসির চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। অতঃপর তিনি ১৯৭৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত দিল সে মিলে দিল, ১৯৭৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বাতোঁ বাতোঁ মে, রাজেশ খান্না অভিনীত পলকো কি ছাঁও মে, মা কা আঁচল, মেহবুবা, অমর প্রেম এবং রাজশ্রী প্রোডাকশনের প্রযোজনায় নির্মিত ১৯৭৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত গীত গাতা চল, ১৯৮২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত নদিয়া কে পার এবং ১৯৮৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত আবদ্ধ-এর মতো চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন।[২][৩][৪] তিনি ১৯৮১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত নানী মা নামক চলচ্চিত্রে তাঁর জীবনের সেরা অভিনয় করেছিলেন; যার জন্য ৭৩ বছর বয়সে তিনি সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার লাভ করেছিলেন।
লীলা মিশ্র ১৯০৮ সালের ১লা জানুয়ারি তারিখে ব্রিটিশ ভারতের আগ্রা এবং ওউধ সংযুক্ত প্রদেশের জইসে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং সেখানেই তিনি তাঁর শৈশব অতিবাহিত করেছিলেন।
লীলা মিশ্র, মাত্র ১২ বছর বয়সে, রাম প্রসাদ মিশ্রের (যিনি নির্বাক চলচ্চিত্রে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করতেন) সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। অতঃপর মাত্র ১৭ বছর বয়সের মধ্যে, তাঁর দুটি কন্যা সন্তান জন্মে ছিল। তিনি এবং তাঁর স্বামী উভয়েই জমিদার পরিবারের সদস্য ছিলেন।[৫]
লীলা মিশ্রকে মামা শিন্ডে নামে এক ব্যক্তি খুঁজে বের করেছিলেন, যিনি দাদাসাহেব ফালকের নাসিক সিনেটোন-এর জন্য কাজ করছিলেন। মামা তাঁর স্বামীকে রাজি করিয়েছিলেন, তাঁকে চলচ্চিত্রে কাজ করতে দেওয়ার জন্য। উক্ত সময়ে চলচ্চিত্রে নারী অভিনয়শিল্পী পাওয়া যেতনা। তাঁরা স্বামী-স্ত্রী যখন নাশিকে চলচ্চিত্রের চিত্রায়নের জন্য গিয়েছিলেন তখন তাঁদের বেতনের তারতম্য দেখে এটি প্রমাণ হয়। যেখানে রাম প্রসাদ মিশ্র প্রতি মাসে ১৫০ টাকা বেতন পেয়েছিলেন, সেখানে লীলা মিশ্রকে ৫০০ টাকা দেওয়া হয়েছিল। তবে, ক্যামেরার সামনে তাঁরা ভালভাবে অভিনয় করতে না পারায়, তাঁদের চুক্তিগুলি বাতিল করা হয়েছিল।
পরবর্তীতে তাঁরা ভিখারি নামক চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন; যা কোলাপুরের মহারাজাদের মালিকানাধীনের একটি কোম্পানী দ্বারা নির্মিত চলচ্চিত্র ছিল।
১৯৮৮ সালের ১৭ই জানুয়ারি তারিখে তিনি ৮০ বছর বয়সে বোম্বেতে হৃৎপেশীর রক্তাভাবজনিত কারণে মারা যান।