![]() ২০১৩ সালে লুইজ গুস্তাভো | |||
ব্যক্তিগত তথ্য | |||
---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | লুইজ গুস্তাভো দিয়াস | ||
জন্ম | ২৩ জুলাই ১৯৮৭ | ||
জন্ম স্থান | পিন্ডামনহ্যাঙ্গাবা, ব্রাজিল | ||
উচ্চতা | ১.৮৭ মি (৬ ফু ২ ইঞ্চি)[১] | ||
মাঠে অবস্থান | রক্ষণাত্মক মধ্যমাঠের খেলোয়াড় | ||
ক্লাবের তথ্য | |||
বর্তমান দল | ভিএফএল উল্ফসবার্গ | ||
জার্সি নম্বর | ২২ | ||
যুব পর্যায় | |||
ইউনিভার্সাল এফসি রিও লার্গো | |||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | |||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) |
২০০৭-২০০৮ | করিন্থিয়ান্স আলাগোয়ানো | ২১ | (২) |
২০০৭ | → সিআরবি (ধার) | ১৪ | (১) |
২০০৭-২০০৮ | → ১৮৯৯ হোফেনহেইম (ধার) | ২৭ | (০) |
২০০৮-২০১১ | ১৮৯৯ হোফেনহেইম | ৭২ | (২) |
২০১১-২০১৩ | বায়ার্ন মিউনিখ | ৬৪ | (৬) |
২০১৩– | ভিএফএল উল্ফসবার্গ | ২৯ | (৪) |
জাতীয় দল‡ | |||
২০১১– | ব্রাজিল | ২৩ | (১) |
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে এবং ১০ মে, ২০১৪ তারিখ অনুযায়ী সকল তথ্য সঠিক। ‡ জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা ২৮ জুন, ২০১৪ তারিখ অনুযায়ী সঠিক। |
লুইজ গুস্তাভো দিয়াস (জন্ম: ২৩ জুলাই, ১৯৮৭) পিন্দামোহানগাবায় জন্মগ্রহণকারী বিশিষ্ট ব্রাজিলীয় ফুটবলার। ব্রাজিল ফুটবল দলে খেলার পাশাপাশি জার্মানির বুন্দেসলিগা ক্লাব ভিএফএল উল্ফসবার্গে রক্ষণাত্মক মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেলছেন। মূলতঃ লেফট ব্যাক হিসেবে খেলোয়াড়ী জীবন শুরু করলেও জার্মানিতে অধিকাংশ খেলাতেই রক্ষণভাগের মধ্যমাঠে তাকে খেলতে দেখা যায়। এছাড়াও, সেন্টার ব্যাকে তিনি সমানে তার ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করে চলেছেন।
স্পোর্ট ক্লাব করিন্থিয়ান্স আলাগোয়ানো’র মাধ্যমে গুস্তাভোর পেশাদার ফুটবল জীবন শুরু হয়। আগস্ট, ২০০৭ সালে জার্মান ক্লাব ১৮৯৯ হোফেনহেইমের মাধ্যমে ধারকৃত খেলোয়াড়রূপে অংশ নেন তিনি।[২] ১ এপ্রিল, ২০০৮ তারিখে হোফেনহেইম কর্তৃপক্ষ গুস্তাভো’র সাথে স্থায়ীভাবে চুক্তিবদ্ধ হয়।[৩] জানুয়ারি, ২০১১ সালে গুস্তাভো এফসি বায়ার্ন মিউনিখের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন।[৪] আনুমানিক ১৫-২০ মিলিয়ন ইউরো’র বিনিময়ে তাকে স্থানান্তর করা হয় বিভিন্ন তথ্যসূত্রের মাধ্যমে জানা যায়।[৫][৬] ১৫ জানুয়ারি, ২০১১ তারিখে বাভারিয়ার ক্লাবটির হয়ে অভিষেক ঘটে গুস্তাভো’র। দ্বিতীয়ার্ধে অতিরিক্ত খেলোয়াড়রূপে মাঠে নামেন তিনি। ঐ খেলায় ভিএফএল উল্ফসবার্গ ক্লাবের সাথে ১-১ গোলে ড্র করে তার দল। ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১১ তারিখে প্রথম গোলটি করেন তিনি। কিন্তু ১-৩ গোলে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের কাছে। ১২ মে, ২০১২ তারিখে ডিএফবি-পোকাল ফাইনাল খেলায় মধ্যমাঠের জন্য নির্বাচিত হন। প্রথমার্ধে টমাস মুলারের বিপরীতে অতিরিক্ত খেলোয়াড়রূপে নামলেও বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের কাছে ৫-২ গোলে হেরে যায় বায়ার্ন মিউনিখ। ২৫ মে, ২০১৩ তারিখে ফ্রাঙ্ক রিবেরি’র পরিবর্তে ৯১তম মিনিটে অতিরিক্ত খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামেন। ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ২০১৩ সালের উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে বায়ার্ন ২-১ গোলে বরুসিয়াকে পরাজিত করেছিল। ১৬ আগস্ট, ২০১৩ তারিখে অনির্ধারিত অর্থের বিনিময়ে বায়ার্ন থেকে ভিএফএল উল্ফসবার্গের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন বলে জানা যায়। এরফলে তিনি ২০১৮ সাল পর্যন্ত উল্ফসবার্গের সাথে থাকবেন বলে চুক্তিতে উল্লেখ রয়েছে।[৭]
১০ আগস্ট, ২০১১ তারিখে ব্রাজিল দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক ঘটে গুস্তাভো’র। প্রীতি খেলায় দ্বিতীয়ার্ধে অতিরিক্ত খেলোয়াড়রূপে জার্মানির বিপক্ষে মাঠে নামেন তিনি।[৮][৯] ২০১৩ সালের ফিফা কনফেডারেশন্স কাপে ব্রাজিলীয় কোচ লুইজ ফেলিপে স্কলারির ব্রাজিল দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। পুরো ৯০ মিনিট খেলেছিলেন তিনি। এস্তাদিও দো মারাকানায় অনুষ্ঠিত কনফেডারেশন্স কাপের ফাইনালে তৎকালীন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন স্পেন দলকে ৩-০ গোলে হারিয়েছিল ব্রাজিল দল। ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ তারিখে প্রীতি খেলায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিনি তার প্রথম গোলটি করেন। ২০১৪ সালে নিজ দেশ ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত ফিফা বিশ্বকাপে খেলা থেকে সাময়িক বহিষ্কারাদেশ লাভ করেন তিনি।[১০]
ক্যাথলিক ধর্মাবলম্বী গুস্তাভো মন্তব্য করেছেন যে, তিনি নিয়মিত বাইবেল পাঠ করেন ও প্রতিদিন দুইবার প্রার্থনা করেন। তার মেয়ে বান্ধবী মিলেনে’র সাথে ২৫ ডিসেম্বর, ২০১০ তারিখে ব্রাজিলের ছুটির দিনে বাগদান কার্য সম্পন্ন হয়।[১১] তার মা তাকে ভীষণভাবে উদ্দীপনা যুগিয়েছেন। কারণ তার স্বপ্ন ছিল গুস্তাভোকে খেলোয়াড় হিসেবে সফলকাম হবে। কিন্তু তার মা ১৬ বছর বয়সী গুস্তাভোকে রেখে মৃত্যুবরণ করেন।[১২]