লুইস গসেট জুনিয়র | |
---|---|
ইংরেজি: Louis Gossett Jr. | |
২০০৮ সালে মুভিগাইড ফেইথ ও ভ্যালুজ পুরস্কারে গসেট | |
জন্ম | লুইস ক্যামেরন গসেট জুনিয়র ২৭ মে ১৯৩৬ |
মৃত্যু | ২৯ মার্চ ২০২৪ সান্তা মনিকা, ক্যালিফোর্নিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | (বয়স ৮৭)
মাতৃশিক্ষায়তন | নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | অভিনেতা |
কর্মজীবন | ১৯৫৭-২০২৪ |
দাম্পত্য সঙ্গী | হ্যাটি গ্লাসকো (বি. ১৯৬৭; বা. ১৯৬৮) ক্রিস্টিনা ম্যানগসিং (বি. ১৯৭৩; বিচ্ছেদ. ১৯৭৫) সিন্ডি জেমস-রিজ (বি. ১৯৮৭; বিচ্ছেদ. ১৯৯২) |
সন্তান | ২ |
আত্মীয় | রবার্ট গসেট (চাচাতো ভাই) |
লুইস ক্যামরন গসেট জুনিয়র (ইংরেজি: Louis Gossett Jr.; ২৭ মে ১৯৩৬ - ২৯ মার্চ ২০২৪) একজন মার্কিন অভিনেতা ছিলেন। ১৭ বছর বয়সে তার মঞ্চে অভিষেক ঘটে। এর কিছুদিন পর তিনি ব্রডওয়ের টেক আ জায়ান্ট স্টেপ নাটকের জন্য অডিশন দেন এবং নির্বাচিত হন। তিনি মঞ্চে আ রাইজিন ইন দ্য সান (১৯৫৯), দ্য ব্ল্যাকস (১৯৬১), ট্যামবুরাইনস টু গ্লোরি (১৯৬৩), ও দ্য জুলু অ্যান্ড দ্য জায়ডা (১৯৬৫)-সহ বেশ কিছু সমাদৃত নাটকে অভিনয় করেন। ১৯৭৭ সালে তিনি এবিসি টেলিভিশনের জনপ্রিয় সীমিত ধারাবাহিক রুটস (১৯৭৭)-এ ফিডলার চরিত্রে অভিনয় করে নাট্যধর্মী বা হাস্যরসাত্মক ধারাবাহিকে একক উপস্থিতিতে সেরা প্রধান অভিনেতা বিভাগে এমি পুরস্কার অর্জন করেন।
গসেট ব্যয়বহুল চলচ্চিত্র, টেলিভিশন, মঞ্চনাটক ও ভিডিও গেমে অভিনয় করতে থাকেন। ১৯৮২ সালে তিনি অ্যান অফিসার অ্যান্ড আ জেন্টলম্যান (১৯৮২) চলচ্চিত্রে গানারি সার্জেন্ট এমিল ফলি চরিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে একাডেমি পুরস্কার অর্জন করেন। তিনি এই বিভাগে পুরস্কার বিজয়ী প্রথম আফ্রিকান-মার্কিন অভিনেতা।[১] এমি পুরস্কারে তিনি দ্য সেন্ট্রি কালেকশন প্রেজেন্টস বেন ভিরেন: হিজ রুটস (১৯৭৮), ব্যাকস্টেয়ার্স অ্যাট দ্য হোয়াইট হাউজ (১৯৭৯), পালমার্সটাউন, ইউ.এস.এ. (১৯৮১), সাদাত (১৯৮৩), আ গ্যাদারিং অব ওল্ড মেন (১৯৮৭), টাচড বাই অ্যান অ্যাঞ্জেল (১৯৯৭) ও ওয়াচমেন (২০১৯)-এর জন্য মনোনয়ন লাভ করেন। এছাড়া তিনি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার, ব্ল্যাক রিল পুরস্কার ও এনএএসিপি ইমেজ পুরস্কার অর্জন করেন এবং একাধিক পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।
গসেটের অভিনীত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো হল হ্যাল অ্যাশবির দ্য ল্যান্ডলর্ড (১৯৭০), পল বোগার্টের স্কিন গেম (১৯৭১), জর্জ কিউকরের ট্রাভেলস উইথ মাই আন্ট (১৯৭২), স্টুয়ার্ট রোজেনবার্গের দ্য লাফিং পুলিশম্যান (১৯৭৪), ফিলিপ কফম্যানের দ্য হোয়াইট ডন (১৯৭৪), পিটার ইয়েটসের দ্য ডিপ (১৯৭৭), ভোল্গগাংক পিটারসেনের এনিমি মাইন (১৯৮৫), ক্রিস্টোফার কেইনের দ্য প্রিন্সিপাল (১৯৮৭), মার্ক গোল্ডব্ল্যাটের দ্য পানিশার (১৯৮৯), ও ড্যানিয়েল পেট্রির টয় সোলজারস (১৯৯১)। এছাড়া তিনি আইরন ঈগল চলচ্চিত্র ধারাবাহিকে (১৯৮৬-১৯৯৫) কর্নেল চ্যাপি সিনক্লেয়ার চরিত্রে অভিনয় করেন। টেলিভিশনে তিনি বোনাঞ্জা (১৯৭১), দ্য জেফারসন্স (১৯৭৫), আমেরিকান প্লেহাউজ (১৯৯০), স্টারগেট এসজি-১ (২০০৫), বোর্ডওয়াক এম্পায়ার (২০১৩) ও দ্য বুক অব নিগ্রোস (২০১৫)-এ অভিনয় করেন।[২]
গসেট জুনিয়র ১৯৩৬ সালের ২৭শে মে নিউ ইয়র্ক সিটির ব্রুকলিনের শিপশিড বেতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা লুইস গসেট সিনিয়র ছিলেন একজন মুটে এবং মাতা হেলেন রেবেকা (প্রদত্ত নাম: রে) ছিলেন একজন সেবিকা।[১][৩] ছেলেবেলায় তিনি পোলিও রোগে আক্রান্ত হন।[৪] তিনি মার্ক টোয়াইন ইন্টারমিডিয়েট স্কুল ২৩৯ (বর্তমান নিউ ইয়র্ক সিটি ডিপার্টমেন্ট অব এডুকেশন) ও আব্রাহাম লিংকন হাই স্কুলে পড়াশুনা করেন।[৫][৬][৭] ১৯৫৪ সালে আব্রাহাম লিংকন হাই স্কুল থেকে পাস করার পর তিনি নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।[৮]
১৯৮৩ সালে তিনি আনোয়ার সাদাতের জীবনী ও হত্যাকাণ্ড নিয়ে নির্মিত সাদাত মিনি ধারাবাহিকে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন। ১৯৮২ সালে অ্যান অফিসার অ্যান্ড আ জেন্টলম্যান চলচ্চিত্রে কাজ করার সময় তিনি বিজ্ঞান কল্পকাহিনী ধারাবাহিক দ্য পাওয়ার্স অব ম্যাথু স্টার (১৯৮২-১৯৮৩)-এ অভিনয় করেন। অ্যান অফিসার অ্যান্ড আ জেন্টলম্যান চলচ্চিত্রে ড্রিল ইন্সট্রাক্টর গানারি সার্জেন্ট এমিল ফলি চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে একাডেমি পুরস্কার ও গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অর্জন করেন। তিনি প্রথম আফ্রিকান-মার্কিন অভিনেতা হিসেবে পার্শ্ব ভূমিকার জন্য,[১][৪][৯] সিডনি পোয়াটিয়ের পর দ্বিতীয় কৃষ্ণাঙ্গ অভিনেতা হিসেবে অভিনয়ের জন্য এবং সামগ্রিকভাবে তৃতীয় আফ্রো-মার্কিন অভিনয়শিল্পী হিসেবে অস্কার জিতেন।[৭][১০]