লুইস বুনিউয়েল Luis Buñuel | |
---|---|
জন্ম | লুইস বুনিউয়েল পোর্তোলেস Luis Buñuel Portolés ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯০০ |
মৃত্যু | ২৯ জুলাই ১৯৮৩ মেক্সিকো নগরী, মেক্সিকো | (বয়স ৮৩)
নাগরিকত্ব | মেক্সিকো[১] স্পেন (১৯৪৯ সালে প্রত্যাখ্যাত)[১] |
পেশা | চলচ্চিত্র নির্মাতা |
কর্মজীবন | ১৯২৯–১৯৭৭ |
দাম্পত্য সঙ্গী | জান র্যুকার (বি. ১৯৩৪; বুনিউয়েলের মৃত্যু ১৯৮৩) |
লুইস বুনিউয়েল (স্পেনীয় ভাষায় Luis Buñuel Portolés লুইস্ বুনিউয়েল্ পোর্তোলেস্) (ফেব্রুয়ারি ২২, ১৯০০ – জুলাই ২৯, ১৯৮৩) স্পেনীয় চলচ্চিত্র পরিচালক ও পরাবাস্তববাদী শিল্পকলা আন্দোলনের নেতা। তিনি সাধারণত মেক্সিকো ও ফ্রান্সে কাজ করতেন, কিন্তু তিনি নিজের দেশ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করেছেন। তাকে চলচ্চিত্রের ইতিহাসের একজন গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্র পরিচালক মনে করা হয়।
মার্কিন পত্রিকা দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসে বুনিউয়েলের মৃত্যুসংবাদে লেখা হয় যে তিনি "একজন প্রথাবিরোধী, নীতিবাদী ও বিপ্লবী ব্যক্তি যিনি তাঁর যৌবনে আভঁ-গার্দ অধিবাস্তববাদ আন্দোলনের একজন নেতা এবং এর অর্ধ শতাব্দী পরে একজন আধিপত্য বিস্তারকারী আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র পরিচালক ছিলেন।"[২] বুনিউয়েলের প্রথম চলচ্চিত্রটি ছিল আ শিয়াঁ অঁদালু নামের একটি নির্বাক চলচ্চিত্র; এটিকে মার্কিন চলচ্চিত্র সমালোচক রজার এবার্ট "সর্বকালের সবচেয়ে বিখ্যাত স্বল্পদৈর্ঘ্য" আখ্যা দেন।[৩] এর ৪৮ বছর পরে তাঁর সর্বশেষ চলচ্চিত্র সেতোবস্ক্যুর ওবজে দ্যু দেজির-এর জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল বোর্ড অভ রিভিউ ("জাতীয় পর্যালোচনা পরিষদ") এবং ন্যাশনাল সোসাইটি অফ ফিল্ম ক্রিটিক্স ("জাতীয় চলচ্চিত্র সমালোচক সমাজ") বুনিউয়েলকে সেরা চলচ্চিত্র পরিচালকের পুরস্কার প্রদান করে।[৪] সাহিত্যিক ওক্তাবিও পাস বলেন যে বুনিউয়েলের কাজ যেন "চলচ্চিত্রের ছবি বা কাব্যের ছবির মধ্যে বিবাহের মত, যা নতুন এক বাস্তবতার সৃষ্টি করে...লজ্জাজনক ও বিধ্বংসী"।[৫]
বুনিউয়েলকে ১৯২০-এর দশকের অধিবাস্তববাদী আন্দোলনের সাথে প্রায়শই জড়িত করা হয়। তিনি ১৯২০-এর দশক থেকে ১৯৭০-এর দশক পর্যন্ত চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। দুইটি মহাদেশে ব্যাপ্ত ও তিনটি ভাষায় নির্মিত তাঁর চলচ্চিত্রগুলির প্রকারও ছিল বিচিত্র, যেমন পরীক্ষামূলক চলচ্চিত্র, প্রামাণ্যচিত্র, অতিনাটকীয় চলচ্চিত্র, ব্যঙ্গাত্মক চলচ্চিত্র, গীতিপ্রধান চলচ্চিত্র, কামরসাত্মক চলচ্চিত্র, হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র, প্রণয়ধর্মী চলচ্চিত্র, ঐতিহাসিক নাট্যচিত্র, কল্পনাশ্রয়ী, প্রণয়ধর্মী, অপরাধ, রোমাঞ্চকর ও ওয়েস্টার্ন চলচ্চিত্র। এত বৈচিত্র্য সত্ত্বেও চলচ্চিত্র নির্মাতা জন হাস্টনের মতে বুনিউয়েলের চলচ্চিত্রগুলি এতই স্বতন্ত্র যে মুহূর্তেই চিনতে পারা যায়।[৬] ইংমার বারিমান বলেন "বুনিয়েল প্রায় সবসময়ই একটি বুনিউয়েল ধরনের চলচ্চিত্র নির্মাণ করতেন।"[৭]
ইতিহাসের সর্বকালের সেরা সহস্র চলচ্চিত্রের তালিকা দে শুট পিকচার্স, ডোন্ট দে?-তে বুনিউয়েলের ১৫টি চলচ্চিত্র স্থান পেয়েছে; তার চেয়ে বেশি চলচ্চিত্র রয়েছে কেবলমাত্র জঁ-ল্যুক গদারের (১৬টি)।[৮] একই তালিকাতে তাঁকে সর্বকালের সেরা ২৫০ পরিচালকদের মধ্যে ত্রয়োদশ (১৩তম) স্থান দেওয়া হয়।[৯]
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |