ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | লুক রঙ্কি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ড্যানেভার্ক, মানাওয়াতু-ওয়াঙ্গানুই, নিউজিল্যান্ড | ২৩ এপ্রিল ১৯৮১|||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | রক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ১.৮০ মিটার (৫ ফুট ১১ ইঞ্চি) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | উইকেট-রক্ষক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১৬৬/১৮০) | ২৭ জুন ২০০৮ অস্ট্রেলিয়া বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ৩১ মে ২০১৩ নিউজিল্যান্ড বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০২-২০১২ | ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৮-২০০৯ | মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১১-২০১২ | পার্থ স্কর্চার্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১২-২০১৩ | ওয়েলিংটন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকেটআর্কাইভ, ২৫ অক্টোবর ২০১৩ |
লুক রঙ্কি (/ˈrɒŋki/; RONG-ki; ইংরেজি: Luke Ronchi; জন্ম: ২৩ এপ্রিল, ১৯৮১) মানাওয়াতু-ওয়াঙ্গানুইয়ের ড্যানেভার্ক এলাকায় জন্মগ্রহণকারী নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের হয়ে খেলেছেন। তিনি ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণ করেন। খেলায় তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে অংশগ্রহণ করে থাকেন। পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে নিউজিল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে ওয়েলিংটনের খেলেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড জাতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে খেলার সুযোগ ঘটেছে তার। নিউজিল্যান্ডের মানাওয়াতু-ওয়াঙ্গানুই অঞ্চলের ড্যানিভার্ক এলাকায় জন্মগ্রহণকারী রঙ্কি শৈশবকালে পিতা-মাতার সাথে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার পার্থে অভিবাসিত হয়েছিলেন। জানুয়ারি, ২০০২ সালে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া দলের হয়ে আইএনজি কাপের মাধ্যমে ক্রিকেট খেলায় অভিষেক ঘটে তার। দলের মূল উইকেট-রক্ষক রায়ান ক্যাম্পবেলের সাথে তিনি দ্বিতীয় অবস্থানে ছিলেন। ২০০৬ সালে ক্যাম্পবেলের অবসরের পর তিনি ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার মূল উইকেট-রক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৭ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের মূল উইকেট-রক্ষক ব্র্যাড হাড্ডিনের পাশাপাশি অবস্থান করেন ও অস্ট্রেলিয়া এ দলের হয়ে বেশ কয়েকটি খেলায় অংশগ্রহণ করেন।
এপ্রিল, ২০০৮ সালে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া রঙ্কিকে পাশ কাটিয়ে ও একমাত্র উইকেট-রক্ষক হিসেবে ব্র্যাড হাড্ডিনকে দলে রেখে ২৫জন খেলোয়াড়ের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়।[১] চুক্তিবদ্ধ না হয়েও জুন, ২০০৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে হাড্ডিনের আঙ্গুলে আঘাতজনিত অনুপস্থিতির জন্য তার ডাক পড়ে। সফরে টুয়েন্টি২০ খেলায় ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড় শন মার্শের সাথে তারও অভিষেক ঘটে।[২] মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড (এমসিজি)তে অনুষ্ঠিত টুয়েন্টি২০তে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিনি অভিষিক্ত হন।[৩] কিন্তু প্রথম দুইটি একদিনের আন্তর্জাতিক খেলায় তার ব্যাটিংয়ের প্রয়োজন পড়েনি। সিরিজের চূড়ান্ত খেলায় ব্যাটিংয়ের অবস্থান পরিবর্তন করে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ২৮ বলে ৬৪ রান করে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে দ্বিতীয় দ্রুতম অর্ধ-শতক করেন, যাতে ছয়টি বিশাল ছক্কার মার ছিল। পরবর্তীতে একই খেলায় ডেভিড হাসিও দ্রুততম অর্ধ-শতক করায় রঙ্কির রেকর্ড গিয়ে দাঁড়ায় তৃতীয়। ঐ খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেছিলেন।[৪]
ফেব্রুয়ারি, ২০১২ তারিখে রঙ্কি নিউজিল্যান্ডে ফিরে আসার আগ্রহ ব্যক্ত করেন ও জাতীয় দলে প্রবেশের চেষ্টা চালিয়ে কৃতকার্য হন।[৫] মার্চ, ২০১২ তারিখে ওয়েলিংটনের সাথে চুক্তিতে আবদ্ধ হন। ১৮ মার্চ প্লাঙ্কেট শীল্ড প্রতিযোগিতায় সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টসের বিপক্ষে ১১১ রানের সেঞ্চুরি করেন।[৬][৭] এপ্রিল, ২০১৩ সালে রঙ্কি নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড কর্তৃক একদিনের আন্তর্জাতিক দলের সদস্যরূপে মনোনীত হন ও পরের মাসেই দলের সাথে ইংল্যান্ড সফরে যান।[৮] ৩১ মে, ২০১৩ তারিখে লর্ডসে অনুষ্ঠিত একদিনের ক্রিকেটে নিউজিল্যান্ড দলের হয়ে তার অভিষেক ঘটে। খেলায় তিনি শূন্য রানে ফেরত যান ও তিনটি ক্যাচ ধরেন।[৯] এরফলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে তিনি প্রথম খেলোয়াড়রূপে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড দলের পক্ষে, ৭ম খেলোয়াড়রূপে একদিনের আন্তর্জাতিক এবং ১৯৮০-এর দশকে কেপলার ওয়েসেলসের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল অনুমোদিত দু’টি পূর্ণাঙ্গ সদস্যভূক্ত দলের হয়ে খেলেন।[১০]