লুটকেস | |
---|---|
পরিচালক | রাজেশ কৃষ্ণান |
রচয়িতা | কপিল সাওয়ান্ত রাজেশ কৃষ্ণান |
শ্রেষ্ঠাংশে | কুণাল খেমু গজরাজ রাও বিজয় রাজ রণবীর শোরে রসিকা দুগ্গল |
সুরকার | স্কোর: সামির উদ্দিন গান: রোহান-বিনায়ক অমর মাংরুল্কার |
চিত্রগ্রাহক | সনু জন ভারগিস |
সম্পাদক | আনন্দ সুবায়া |
প্রযোজনা কোম্পানি | ফক্স স্টার স্টুডিওজ সোডা ফিল্মস |
পরিবেশক | ডিজনি+হটস্টার |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১৩২ মিনিট |
দেশ | ভারত |
ভাষা | হিন্দি |
লুটকেস একটি ২০২০ সালের ভারতীয় হিন্দি- ভাষায় রচিত কৌতুক থ্রিলার । চলচ্চিত্রটির পরিচালনা করেছেন নবীন পরিচালক রাজেশ কৃষ্ণান যিনি ওয়েব সিরিজ টিভিএফ ট্রিপলিংয়েরও পরিচালনাও করেছেন। ছবিটি প্রযোজনা এবং ফক্স স্টার স্টুডিওজ দ্বারা অর্থায়নকৃত হয়। এতে মুখ্য চরিত্রে কুণাল খেমু এবং রসিকা দুগ্গল এবং সহায়ক চরিত্রে বিজয় রাজ, রণভীর শোরে এবং গজরাজ রাও রয়েছেন। [২] ছবিটির ঘটনা একটি লাল রঙের স্যুটকেস কে কেন্দ্র করে (জয় বাগম্যান / আনন্দ পেটিকর) ঘটে থাকে। এটি ২০২০ সালের ১০ এপ্রিল মুক্তির জন্য নির্ধারিত ছিল, তবে কোভিড-১৯ মহামারী জনিত কারণে এর মুক্তি স্থগিত করা হয়েছিল। [৩][৪] এটি ২০২০ সালের ৩১ জুলাই ডিজনি + হটস্টারে প্রকাশিত হয়েছিল। [১] প্রকাশের পর পরই, এটি এর কৌতুক, সুর এবং কৌতুক অভিনয়ের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক পর্যালোচনাসমূহের সাথে গৃহীত হয়েছিল।
নন্দন কুমার, একজন মধ্যবিত্ত ব্যক্তি যিনি একটি মুদ্রণযন্ত্রের মেশিন মেরামত করেন, নিয়তিতে অবিশ্বাসী এবং তাঁর সদা কটূক্তি কারী স্ত্রী লতা এবং ছেলে আয়ুষের সাথে একটি জীর্ণ দালানে বসবাস করতে থাকেন। নন্দনের পরিবার তাদের স্বপ্ন এবং আকাঙ্ক্ষাকে তাদের আর্থিক বাস্তবতার সাথে পুনরুদ্ধার করতে সংগ্রাম করে।
মন্ত্রী পাতিল ১০ কোটি রুপী এবং একটি ফাইল হস্তান্তর করার চেষ্টা করেছিলেন আরেকজন মন্ত্রীর কাছে। ফাইলটি ছিল ব্যাপক আত্মসাৎ করার প্রমাণ সংবলিত । এই কাজটি সম্পাদনের জন্য তিনি স্থানীয় গুন্ডা ওমরকে ব্ল্যাকমেইল করেছিলেন। তার লোকেরা টাকাগুলো একটি লাল স্যুটকেসে রেখে দেয়। অর্থ পরিবহনের সময় ওমরের লোকেরা প্রতিদ্বন্দ্বী গুন্ডা বালা রাঠোরের গুন্ডাদের দ্বারা অতর্কিত হামলার আক্রমণের শিকার হয়। পাতিলের লোকেরা পরে তা উদ্ধার করার আশায় গুলিবর্ষণের সময় স্যুটকেসটি লুকিয়ে রেখেছিল । যাইহোক, নন্দন এই সুযোগে ঘটনাস্থলেএসে পৌঁছে, এবং এটি অর্থে পরিপূর্ণ পেয়ে এটি বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় এবং এটিকে তার প্রতিবেশীর বাড়িতে লুকিয়ে রাখে। বালা এবং পাতিল যখন বুঝতে পারে যে স্যুটকেসটি (এবং ফাইলটি) আর সেখানে নেই তখন তারা যেকোন মূল্যে এটি খুঁজে পেতে বদ্ধপরিকর হয় এবং তাদের নিজ নিজ লোকদের পাঠায়। পাতিল অতিরিক্ত সময়ে পুলিশ কোল্টেকে ব্ল্যাকমেল করে এবং স্যুটকেসটি উদ্ধার করতে তাকে নিয়োগ দেয়।
কোল্টে এবং তার চর ফজলু শুটআউট সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেন তবে দেখতে পান যে কাছের সিসিটিভি ক্যামেরা চালু নেই। ইতোমধ্যে, নন্দন তার পরিবারের জন্য কিছু অর্থ ব্যয় করে তবে লতাকে অর্থের উৎস সম্পর্কে অবহিত করে না। বালার লোকেরা ফজলুকে দেখে এবং কোল্টেকে খোঁজা শুরু করে। নন্দন স্যুটকেস থেকে কিছু টাকা সরিয়ে রেখে এটি কয়েকটি প্যাকেটে ভাগ করে এবং একটি প্যাকেট তার অফিসের ড্রয়ারে রেখে বাকি অর্থ বাড়ির চারপাশে লুকিয়ে রাখে। একটি সিসিটিভি ক্যামেরা চালু থাকতে দেখা যায় যার মাধ্যমে কোল্টে অটোরিকশায় নন্দনকে স্থান ত্যাগ করতে দেখে। এদিকে, প্রতিবেশী এবং লতার কাছ থেকে নিজের অর্থ গোপন রাখার চেষ্টায় নন্দন পুরোপুরি বদ্ধপরিকর। তার নগদ অর্থ ব্যয় করার প্রয়াসে তিনি একটি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট কেনার চেষ্টা করেন কেবলমাত্র এটি জানতে যে তারা নগদ অর্থ গ্রহণ করেন না।
কোল্টে সিসিটিভি ফুটেজ থেকে অটোরিকশা চালকের সন্ধান পেয়ে যান এবং নন্দনকে সনাক্ত করতে সক্ষম হন (চালক তার নাম এবং ব্যাঙ্কের তথ্য দিয়ে নন্দনের ডেবিট কার্ডটি চিহ্নিত করেছিলেন)। নন্দন টাকা গণনার মেশিন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে তার ব্যাঙ্কে যায়, তবে ক্যাশিয়াররা তাকে উপহাস করে। এক পর্যায়ে আতঙ্কিত হয়ে সে একটি দৃশ্য তৈরি করে চলে যায়। কোল্টে যখন একই ব্যাঙ্কে তদন্ত করছেন ঠিক তখনি ক্যাশিয়াররা তাকে নন্দনের সন্দেহজনক আচরণ সম্পর্কে অবহিত করে এবং তাকে নন্দনের ঠিকানা সরবরাহ করে। রান্নাঘরে লতা যখনি লুকানো স্যুটকেস পেয়েছিলেন ঠিক তখনি কোল্টে তাঁর বাড়িতে এসে হাজির হলেন। কোল্টে পরিবারকে বন্দুক ঠেকিয়ে ধরে রাখে এবং টাকা ফেরতের দাবি জানালে নন্দন তা মেনে চলতে রাজি হয়। কোল্টে অফিসে লুকিয়ে রাখা প্যাকেটটি সম্পর্কে জানতে পারেন এবং এটি পুনরুদ্ধার করতে নন্দনকে নিয়ে যায়। বালার লোকেরা তাদের মনিবকে এই খবর দেয়, এবং বালা এবং পাতিল কোল্টিকে হত্যা করতে এবং এই অর্থ পুনরুদ্ধারের জন্য হাত মিলায়।
কোল্টে এবং নন্দন অফিসে পৌঁছালে কোল্টে নন্দনকে টাকা নিয়ে আসার জন্য জন্য ভিতরে পাঠিয়ে দেয় - নন্দন চলে যাওয়ার সাথে সাথে কোল্টের ওপর বালার লোকজন অতর্কিত আক্রমণ করে। তিনি পালাতে সক্ষম হন এবং পাতিলের ফাইল খুঁজে পান আর এর গুরুত্ব অনুধাবন করে তিনি পাতিলকে ব্ল্যাকমেইল করার সিদ্ধান্ত নেন। এদিকে প্যাকেটটি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করায় করতে নন্দনকে তার মাতাল বস আটকে রেখেছিল। কোল্টে তাকে গোপন গুদামে আসার নির্দেশ দেয়। নন্দন সেখানে যেতে সক্ষম হয় তবে বালা ও ওমর তাদের নিজ নিজ লোকজন নিয়ে গুদামে তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এই গোলাগুলিতে, নন্দনই একমাত্র জীবিত অবস্থায় ফিরে। লোভ থেকে শিক্ষা না নিয়ে বরং সে গুদামে টাকা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে ফাইলটি ছেড়ে আসে। ফাইলের বিষয়বস্তুসমূহ সম্পর্কে সর্বসাকুল্যে জেনে গেলে পাতিলের রাজনৈতিক কর্মজীবন সমাপ্ত হয়ে যায়। তিনি তার গ্রামে অবসর নিয়ে কৃষিকাজ করেন, কিন্তু ওমরের লোকেরা পরবর্তীতে তাকে ধরে ফেলে হত্যা করে।
চলচ্চিত্রের চিত্রগ্রহণ জুলাই ২০১৯ এর মাঝামাঝি সময়ে শুরু হয়েছিল [৫]
প্রথম পোস্টারটি প্রকাশিত হয়েছে ১৬ ই সেপ্টেম্বর ২০১৯ সালে। [৬][৭] ২০২০ সালের ১০ এপ্রিল ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল । তবে COVID-19 মহামারীজনিত কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য তা স্থগিত হয়েছিল। [৩][৪] ২০২০ সালের ২২ শে জুন, ডিজনি + হটস্টার ভার্চুয়াল প্রেস কনফারেন্স পরিচালনা করে যেখানে উদয় শঙ্কর ঘোষণা করেছিলেন যে ছবিটি ডিজনি + হটস্টারে একচেটিয়াভাবে ডিজনি + হটস্টার মাল্টিপ্লেক্স উদ্যোগের অংশ হিসাবে প্রকাশ করবে। [৮] অবশেষে এটি ২০২০ সালের ৩১ জুলাই প্রকাশিত হয়। [১]
শিরোনামহীন | |
---|---|
দৈর্ঘ্য | ১১:৩৩ |
চলচ্চিত্রটির সংগীত পরিচালনা করেছেন রোহান-বিনায়ক এবং আমার মঙ্গরুলকর, সুর করেছেন গীতিকার শ্রেয়াস জৈন ও কপিল সাওয়ান্ত।
নং. | শিরোনাম | দৈর্ঘ্য |
---|