ক্যাথরিন লুসি হকিং (জন্মঃ ২ নভেম্বর ১৯৭০)[১] একজন ইংরেজ সাংবাদিক এবং উপন্যাসিক।[২] তিনি তত্ত্বীয় পদার্থবিদ স্টিফেন হকিং এবং তার সাবেক স্ত্রী জেইন ওয়াল্ড হকিং এর মেয়ে। সে লন্ডনে বাস করে।[৩]
লুসি হকিং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ফরাসী এবং রুশ অধ্যায়নের পরে সাংবাদিক হিসেবে তার কাজ শুরু করেন।[৪] তিনি নিউ ইয়র্ক ম্যাগাজিনের হয়ে কাজ করেছেন। তিনি ডেইলি মেইল, দ্য টেলিগ্রাফ, দ্য টাইমস এবং লন্ডন ইভিনিং স্ট্যান্ডার্ডের জন্যও লিখেছেন।[৫] লুসি হকিং বেতার সাংবাদিক হিসেবেও কাজ করেছেন।[৩]
তিনি দুইটি উপন্যাস লিখেছেনঃ জেইডেড (২০০৪) এবং রান ফর ইউর লাইফ (২০০৫), যেটি দ্য এক্সিডেন্টাল ম্যারাথন হিসেবেও প্রকাশিত হয়।
২০০৭ সালে তিনি জর্জেস সিক্রেট কি টু দ্য ইউনিভার্স (George's Secret Key to the Universe) নামে একটি দুঃসাহসিক অভিযানমূলক গল্প প্রকাশ করেন, যাতে জর্জ নামের এক ছোট্ট বালক কম্পিউটার-উৎপাদিত একটি তোরণের ভিতরে ফসকে পড়ে যায় এবং এটির মাধ্যমে সে সৌরজগতের চারিদিকে ভ্রমণ করেন। গল্পটি তার বাবা স্টিফেন হকিং এবং হকিং এর পি এইচ ডি ছাত্র ক্রিস্টোফ গ্যালফার্ডকে সাথে নিয়ে লেখা হয়। এটি ৩৮ টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে এবং ৪৩ টি দেশে প্রকাশিত হয়েছে।.২০০৯ সালে প্রকাশিত হয় জর্জেস কসমিক ট্রেজার হান্ট (George's Cosmic Treasure Hunt), পরবর্তী গল্প যাতে মহাবিশ্বে প্রাণের অস্তিত্বের জন্য একটি পরিদর্শনের অভিযান বর্ণনা করা হয়েছে। ২০১১ সালে তার তৃতীয় শিশু গল্প প্রকাশিত হয় যার শিরোনাম হচ্ছে জর্জ অ্যান্ড দ্য বিগ ব্যাং যেটি বিগ ব্যাং এর সময় কি ঘটেছিলো সে সম্পর্কিত।[৬]
২০০৮ সালের এপ্রিলে হকিং নাসার ৫০তম জন্মদিনের লেকচার সিরিজে অংশগ্রহণ করেন, যেখানে তিনি শিশু ও বিজ্ঞান শিক্ষা সম্পর্কে কথা বলেন। জর্জেস সিক্রেট কি এর অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে তিনি শিশুদের জন্য পদার্থবিদ্যা এবং জ্যোতির্বিদ্যা সম্পর্কে কথা বলেন। তার ভাষণের প্রধান দিক ছিলো অল্প বয়স থেকেই শিশুদের বিজ্ঞান শিক্ষার সাথে পরিচিত করা নিয়ে।
লুসি হকিং ২০০৮ সালের অক্টোবরে বিজ্ঞানকে জনপ্রিয় করার জন্য স্যাপিও প্রাইজ জেতেন যেটি রোম থেকে প্রদান করা হয়। তিনি ন্যাশনাল স্টার কলেজের ভাইস প্রেসিডেন্ট (যেটি প্রতিবন্ধীদের জন্য কাজ করে থাকে)[৭], এবং কলেজটি হচ্ছে একটি আবাসিক সংগঠন যেটি তরুণ অক্ষম ব্যক্তিদের জন্য সেবা ও শিক্ষা সরবরাহ করে।
২০১১ সালে অ্যারিজোনা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় তাকে অস্থায়ী আবাসিক লেখক হিসেবে নিয়োগ দেয় তাদের ২০১১ অরিজিন প্রজেক্ট এর জন্য।[৮]
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৩ থেকে ৩০ অক্টোবর ২০১৩ পর্যন্ত তিনি অন্টারিওর ওয়াটারলুতে পেরিমিটার ইন্সটিটিউট ফর থিওরিটিক্যাল ফিজিক্সে ব্রেইনস্টেমঃ ইউর ফিউচার ইজ নাউ ফেস্টিভাল এ বক্তব্য দেন।[৯]
লুসি হকিং আলেক্স ম্যকিঞ্জি স্মিথকে বিয়ে করেন কিন্তু ২০০৪ সালে তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়।[১০]
এই গল্পগুলো তার বাবা স্টিফেন হকিং এর সাথে লেখা।
|প্রকাশক=
at position 21 (সাহায্য)