লুসিল ওয়াটসন | |
---|---|
Lucile Watson | |
জন্ম | |
মৃত্যু | জুন ২৪, ১৯৬২ | (বয়স ৮৩)
পেশা | অভিনেত্রী |
কর্মজীবন | ১৯০২-১৯৫৪ |
দাম্পত্য সঙ্গী | রকলিফ ফেলোস (বি. ১৯০?; বিচ্ছেদ. ১৯??) লুই ইভান শিপম্যান (বি. ১৯২৬; মৃ. ১৯৩৩) |
লুসিল ওয়াটসন (২৭ মে ১৮৭৯ - ২৪ জুন ১৯৬২) ছিলেন একজন কানাডিয় অভিনেত্রী। তবে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করেই জনপ্রিয়তা লাভ করেন। তিনি বর্ষিয়সী নারী চরিত্রে তার কাজের জন্য সুপরিচিত।[১] তিনি ওয়াচ অন দ্য রাইন (১৯৪৩) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।
ওয়াটসন ১৮৭৯ সালের ২৭শে মে কেবেক প্রদেশের কেবেক সিটিতে জন্মগ্রহণ করেন এবং ওটোয়ায় বেড়ে ওঠেন। তিনি ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তার কন্যা। তার পিতার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তিনি নিউ ইয়র্ক সিটিতে পাড়ি জমান এবং একটি নাট্য বিদ্যালয়ে ভর্তি হন।[২]
ওয়াটসনের অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র হল ১৯১৬ সালের নির্বাক চলচ্চিত্র দ্য গার্ল উইথ গ্রিন আইজ। এটি ১৯০২ সালে ব্রডওয়েতে মঞ্চস্থ ক্লাইড ফিচের নাটকের চলচ্চিত্র সংস্করণ। এরপর তিনি ১৯৩০ সালে দ্য রয়্যাল ফ্যামিলি অব ব্রডওয়ে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পূর্ব পর্যন্ত কোন চলচ্চিত্রে অভিনয় করেননি। এই সময়ে তিনি বিভিন্ন মঞ্চনাটকে অভিনয় করেন। তিনি ১৯২৬ সালের মে মাসে ডুডলি ডজেসের নির্দেশনায় অস্কার ওয়াইল্ডের দি ইমপোর্টেন্স অব বিয়িং আর্নেস্ট নাটকে অভিনয় করেন।[৩]
ওয়াটসন তার অভিনয় জীবনের শিখরে পৌঁছান নাট্যকার ১৯৪১ সালে ব্রডওয়ে মঞ্চে লিলিয়ান হেলম্যানের ফ্যাসিবাদ-বিরোধী নাট্যধর্মী মঞ্চনাটক ওয়াচ অন দ্য রাইন-এ অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। এতে শ্রেষ্ঠাংশে অভিনয় করেন পল লুকাস। দুই বছর পর তিনি ও লুকাস এই নাটকের চলচ্চিত্রায়নে (১৯৪৩) তাদের অভিনীত চরিত্রে কাজ করেন। এই চলচ্চিত্রে ফ্যানি ফ্যারেলি চরিত্রে তার অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[৪]
তিনি লিটল উইমেন নাটকের ১৯৪৯ সালের চলচ্চিত্ররূপে আন্ট মার্চ চরিত্রে অভিনয় করেন।[৫] পরের বছর তিনি অতি-নাটকীয় হ্যারিয়েট ক্রেইগ চলচ্চিত্রে তার দ্য উইমেন চলচ্চিত্রের সহশিল্পী জোন ক্রফোর্ডের সাথে অভিনয় করেন।
১৯১০-এর দশকের শুরুতে তিনি নির্বাক চলচ্চিত্র তারকা রকলিফ ফেলোয়াসকে বিয়ে করেন। তাদের কোন সন্তান ছিল না। তিনি ১৯২৮ সালে ৫০ বছর বয়সে ঔপন্যাসিক ও নাট্যকার লুইস ইভান শিপম্যানের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। শিপম্যান তার চেয়ে ১০ বছরের বড় ছিলেন। এটি তাদের দুজনেরই দ্বিতীয় বিবাহ।[৬] শিপম্যানকে বিয়ের পর ১৯৩০-এর দশকের শুরুতে তিনি মঞ্চ অভিনয় থেকে অবসর নেন এবং ফ্রান্সে পাড়ি জমান। শিপম্যান ১৯৩৩ সালে মারা যান।[৬]
ওয়াটসন ১৯৬২ সালের ২৫শে জুন ৮৩ বছরে বয়সে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।[৭] তাকে নিউ ইয়র্কের হ্যাস্টিংস-অন-হাডসনের মাউন্ট হোপ সেমাট্রিতে সমাহিত করা হয়।