ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | লিওনার্ড স্টিফেন পাস্কো | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ব্রিজটাউন, পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রেলিয়া | ১৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৫০|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার, কোচ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২৭৭) | ১৬ জুন ১৯৭৭ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৩০ জানুয়ারি ১৯৮২ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৩৫) | ২ জুন ১৯৭৭ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২০ ফেব্রুয়ারি ১৯৮২ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৭৫ - ১৯৮৪ | নিউ সাউথ ওয়েলস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯ |
লিওনার্ড স্টিফেন পাস্কো (ইংরেজি: Len Pascoe; জন্ম: ১৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫০) পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার ব্রিজটাউন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। মেসিডোনীয় ভাষায় তার পুরো নাম লিওনার্ড স্টিফেন ডার্টানোভিচ।[১] অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৭৭ থেকে ১৯৮২ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে নিউ সাউথ ওয়েলস দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিং করতেন লেন পাস্কো।
১৯৭৪-৭৫ মৌসুম থেকে ১৯৮৩-৮৪ মৌসুম পর্যন্ত লেন পাস্কো’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। অস্ট্রেলিয়ায় নিজেকে আত্মপ্রকাশকালে ক্যারি প্যাকারের পরিচালনায় বিশ্ব সিরিজ ক্রিকেটে জড়িয়ে পড়লেও তার উপর তেমন প্রভাব ফেলেনি। ফাস্ট বোলার হিসেবে নিয়মিতভাবে ঘণ্টায় ৯০ মাইল গতিবেগে বোলিং করতে পারতেন।
নিউ সাউথ ওয়েলসের পাঞ্চবোল বয়েজ হাই স্কুলে অধ্যয়ন করেছেন ও ব্যাংকসটাউন ক্লাবে খেলেন। সেখানে তার সহপাঠি ছিলেন বিখ্যাত ক্রিকেটার জেফ থমসন।[২] এ দুজন ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছেন। একত্রে ক্লাব, রাজ্য ও টেস্ট পর্যায়ের দলে ক্রিকেট খেলেছেন।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে চৌদ্দটি টেস্ট ও ঊনত্রিশটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন লেন পাস্কো। ১৬ জুন, ১৯৭৭ তারিখে লর্ডসে স্বাগতিক ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ৩০ জানুয়ারি, ১৯৮২ তারিখে অ্যাডিলেডে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি। এ সময়ে বিশ্ব সিরিজ ক্রিকেটেও অংশ নিয়েছিলেন লেন পাস্কো।[৩] ১৯৮০ সালে লন্ডনের ওভালে শতবার্ষিকী টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৫/৫৯ পান।
১৯৭৭ সালে ইংল্যান্ড গমন করেন। ২১.৭৮ গড়ে ৪১ উইকেট লাভ করেন তিনি। তন্মধ্যে, ৩ টেস্ট থেকে ১৩ উইকেট পেয়েছিলেন। এরপর নিজ দেশে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১২ ও ১৯৮০-৮১ মৌসুমে ভারতের বিপক্ষে ১৬ উইকেট পান। তবে, উত্তরোত্তর হাঁটুর আঘাতে জর্জরিত হতে থাকেন। ফলশ্রুতিতে, ১৯৮১ সালে ইংল্যান্ড গমন করা থেকে বিরত থাকেন। ১৯৮১-৮২ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে ফিরে আসেন। তবে, তার বোলিংয়ের কার্যকারিতা অনেকাংশেই হ্রাস পায়। মাত্র চার উইকেট পান তিনি।
১৯৮১-৮২ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত ফ্রাঙ্ক ওরেল ট্রফি সিরিজ শেষে হাঁটুর আঘাতের কারণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের কথা ঘোষণা করেন। অবসর গ্রহণের পর নিউ সাউথ ওয়েলসের কোচের দায়িত্ব পালন করেন। পাশাপাশি, ক্রীড়া বিনোদন জগতেও জড়িয়ে পড়েন।
যুগোস্লাভীয় বংশোদ্ভূত লেন পাস্কো’র পারিবারিক নাম ছিল ডার্টানোভিচ। জিওফ লসন তার আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘হেনরি’তে পাস্কো’র মেসিডোনীয় হবার বিষয় তুলে ধরেন।[৪][৫] অভিবাসিত হবার পর প্রায়শঃই ইয়ান ও গ্রেগ চ্যাপেল ভ্রাতৃদ্বয়ের মধ্যে তার বিষয়ে বাজি ধরার কথা তুলে ধরেন। একবার তিনি মন্তব্য করেছিলেন যে, ‘বাঘ কখনো তার দাগ পাল্টাতে পারে না।’ এর জবাবে উইকেট-রক্ষক রড মার্শ বলেন যে, আমি ভেবেছি যে, তুমি হয়তোবা আরও বাউন্সারের কথা বলতে যাচ্ছ।[৫]
নৈশভোজনের বক্তা হিসেবে পাস্কোর জনপ্রিয়তা রয়েছে।[৫] পাস্কো একটি ঘটনার কথা বলেন যাতে ১৯৮১-৮২ মৌসুমের সিরিজের জনৈক ভারতীয় ক্রিকেটারকে আঘাত করেছিলেন। এরফলে তিনি ক্রিকেটার থেকে দূরে চলে আসার কথা বলেন ও এর পরপরই অবসর নিতে চান। তিন টেস্ট পরই অবশ্য তিনি তা করেছিলেন।[৬]
নভেম্বর, ২০১৭ সালে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া ও পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া সফর শেষে বাড়ি ফেরার পর ডগ ওয়াল্টার্স ও জেফ থমসন জানান যে, পাস্কো’র রোগের সংক্রমণ ঘটেছে ও তিন সপ্তাহ সিডনির হাসপাতালে অবস্থান করেছিলেন।[৭]