লেনডেন পিন্ডলিং | |
---|---|
বাহামার প্রথম প্রধানমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১০ই জুলাই, ১৯৭৩ – ২১শে আগস্ট, ১৯৯২ | |
সার্বভৌম শাসক | দ্বিতীয় এলিজাবেথ |
গভর্নর জেনারেল | মাইলো বাটলার গেরাল্ড ক্যাশ হেনরি টেলর ক্লিফোর্ড ডার্লিং |
পূর্বসূরী | পজিসন ইস্টাব্লিস্ড |
উত্তরসূরী | হাবার্ট ইনগ্রাহাম |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ২২শে মার্চ, ১৯৩০ নাসাউ, বাহামা |
মৃত্যু | ২৬শে আগস্ট ২০০০ নাসাউ, বাহামা |
রাজনৈতিক দল | প্রোগ্রেসিভ লিবারেল পার্টি |
দাম্পত্য সঙ্গী | মার্গারিতে মেক্কান্জি |
দ্য রাইট অনারেবল স্যার লেনডেন পিন্ডলিং, কেসিএমজি, ওএম, পিসি, জেপি, (২২শে মার্চ ১৯৩০ - ২৬শে আগস্ট ২০০০) হলেন বাহামা দ্বীপপুঞ্জের জাতির জনক। তিনি ১০শে জানুয়ারি ১৯৬৭ সালে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের ও ১০শে জুলাই ১৯৭৩ সালে স্বাধীনতার নেতৃত্ত্ব দিয়েছিলেন। তিনি ১৯৬৫ সাল থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত প্রোগ্রেসিভ লিবারেল পার্টির প্রধান ও ১৯৬৯ থেকে ১৯৯২ পর্যন্ত বাহামার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন কিন্তু স্ক্যান্ডালে জড়িয়ে তিনি রাজনীতি থেকে পদত্যাগ করেন। ১৯৮০-র দশকে পিন্ডলিং ও তার দল দুর্নীতি ও মাদক চোরাচালান কেলেংকারিতে জড়িয়ে পড়েন। অর্থনীতির দুরবস্থা কাটিয়ে উঠতে পিন্ডলিং দেশটিকে বৈদেশিক ঋণের বোঝায় জর্জরিত করে দেন। এর ফলে ১৯৯২ সালের সাধারণ নির্বাচনে তিনি রক্ষণশীল ফ্রি ন্যাশনাল মুভমেন্টের হুবার্ট ইনগ্রাহামের কাছে পরাজিত হন।
লেনডেন ইমপেরিয়াল প্রাইভে কাউন্সিলের একজন সদস্য ছিলেন ও রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ কর্তৃক নাইট হিসেবে ভূষিত হন।
পিন্ডলিং ২২শে মার্চ ১৯৩০ সালে নাসাউ-এর ম্যাসন এডিসনে তার দাদার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আর্নোল্ড পিন্ডলিং ও মতা ভাইওলা পিন্ডলিং। পিন্ডলিং-এর পিতা জ্যামাইকার অধীবাসি ছিলেন যিনি প্রথমদিকে রাজকীয় বাহমা পুলিশ ফোর্সে কন্সটেবল হিসেবে যোগদান করতে বাহামা দ্বীপপুঞ্জে চলে আসেন। লেনডেন নাসাউ-এর ইস্ট স্ট্রিটে বেড়ে উঠেন ও ১৯৪৩-১৯৪৬ পর্যন্ত এলিট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন। ১৬ বছর বয়সে স্নাতক সম্পন্ন করে তিনি পোস্ট অফিস সেভিং ব্যাংকে করণিকের কাজ নেন। পরবর্তীতে তিনি আইন বিষয়ে অধ্যয়নের জন্য লন্ডন পাড়ি জমান। ১৯৫২ সালে তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের কিং’স কলেজ থেকে ব্যাচেলর অফ ল (এলএলবি) ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৫৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিডল টেম্পলে ইংরেজ বারে ওকালতি ও জুন ১৯৫৩ সালে বাহামা বারে ওকালতি করেন।