নারীদের মধ্যে একে অন্যের প্রতি ভালোবাসা ও যৌন আকর্ষণকে লেসবিয়ানিজ়ম বলে। নারীদের সমকামিতার ঐতিহাসিক তথ্য পুরুষদের চেয়ে অনেক কম কারণ তৎকালীন সময়ে লেখার ক্ষেত্রে পুরুষদের বেশি প্রাধান্য দেওয়া হত।
গ্রীক সাহিত্যে নারীদের সমকামিতার খুবই কম উল্লেখ পাওয়া যায়। তাও যা পাওয়া গিয়েছে, সবই পুরুষদের দ্বারা লিখিত, প্রধানত অ্যাথেন্স থেকে। তবে সেই বর্ণনাতেও নারীদের সমকামিতার নিষিদ্ধতা উঠে এসেছে। তৎকালীন সমাজে পুংজননেন্দ্রীয়ের প্রাধান্যে চাপা পড়ে থাকা যৌনতার এইদিকটি বোধগম্য হয়নি লেখকদের।
তবে ব্যতিক্রমী হিসেবে প্রাচীন যুগের দুই কবি স্যাফো ও আল্ক্মানের কথা উঠে আসে। নারীদের একে অন্যের প্রতি আকর্ষণ নিয়ে আল্ক্মান রচনা করেন পার্থেনিয়া। অস্পষ্ট হলেও ইতিহাসবিদদের মতে তা যৌন আকর্ষণের পর্যায় পড়ে। আনুমানিক এইসময়ে রচিত কাব্যে স্যাফো নারী-পুরুষ উভয়কেই ভালোবাসার কথা বলেছেন। স্যাফোর "ওড টু অ্যাফ্রোডাইট"-এ দেবী অ্যাফ্রোডাইটের কাছে নারীদের আকৃষ্ট করার জন্য সাহায্য প্রার্থনা করেছেন কবি। প্লেটোর সিম্পোসিয়ামে "স্পীচ অফ অ্যারিস্টফানেস"-এ সমকামী নারীর উল্লেখ আছে। এছাড়াও আস্ক্লেপায়ডিসের বিদ্রূপাত্মক উক্তিতে লেসবিয়ানদের উল্লেখ আছে, তবে নিজে সমকামী হয়ে সমকামীতার কথা লিখেও নারীদের প্রতি তার এরূপ শ্লেষাত্মক মন্তব্যের কারণ জানা যায়নি।
গ্রীক পুরাণে ক্যালিস্টোর কাহিনীতে আর্টেমিস ও ক্যালিস্টো একে অন্যের প্রেমিকা ছিলেন বলে মনে করা হয়। আমাজনদের কাহিনীকেও লেসবিয়ান কাহিনী রূপে ব্যাখ্যা করা হয়।
কবি স্যাফোর যৌনতা নিয়ে সন্দেহ আছে ইতিহাসবিদদের মনে। অনেকে মনে করেন কবি স্যাফোর মহিলাদের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন। হেলেনীয় যুগের একটি জীবনীমূলক গ্রন্থে স্যাফোকে "জেনাইকেরাস্ত্রিয়া" (যে নারী অন্য নারীদের ভালোবাসে) সম্বোধন করে তার যৌনতা নিয়ে সমালোচনা করা হয়েছে।
স্পার্টান মহিলাদের মধ্যে সমকামিতার প্রমাণ পাওয়া যায়। প্লুটার্কের "প্যারালেল লাইভস"-এর একটি অংশে স্পার্টার লাইকার্গাস-এর জীবনীতে লেখক দাবী করেছেন যে সেখানকার পুরুষদের মতই নারীরা মেয়েদের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হত।
ওভিডের মেটামর্ফোসেসে ইফিস ও ইয়ান্থের লেসবিয়ান প্রেমকাহিনী বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ইফিসের মা যখন তাকে গর্ভে ধারণ করেন, তার বাবা এসে মা'কে বলে যায় যে যদি তাদের কন্যাসন্তান হয়, তবে সেই সন্তানকে সে হত্যা করবে। জন্মের পর মা তার এক নিরপেক্ষ নাম রাখেন - ইফিস। সোনালে চুলের কুমারী ইয়ান্থের সাথে তার তেরো বছর বয়সী "ছেলে"র বিবাহ ঠিক করেন বাবা। দুই কন্যার প্রেম সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন কবি :
তারা ছিল একই বয়সের, দু'জনেই সুন্দরী
একই শিক্ষকের কাছে শিখেছিল অআকখ
তাই প্রেমও বিঁধেছিল তাদের একসাথে
নির্মল প্রেমে ভরেছিল দু'টি হৃদয়
একে অন্যকে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষায়।
তবে বিবাহ যতই এগিয়ে আসে, ইফিস নিজের ভালবাসাকে বিকট রূপে দেখতে শুরু করে। সেই যন্ত্রণা থেকে তাকে মুক্তি দিতে দেবী আইসিস তাকে পুরুষে রূপান্তরিত করে দেন।
নারীদের সমকামী প্রেমের উল্লেখ খুব কমই পাওয়া যায়। ফেড্রাস নিজের কল্পনা বুননের মাধ্যমে লেসবিয়ানিজ়মকে বোঝাতে চেয়েছিলেন। মদ্যপ অবস্থায় প্রোমেথিউস বাড়ি ফিরে কয়েকজন নারী ও পুরুষের লিঙ্গবদল করে ফেলেছিলেন - "কামলালসা এখন বিকৃত আনন্দ পায়।"
সেনেকা দ্য এল্ডার লিখেছেন যে এক স্বামী তার স্ত্রী ও স্ত্রী'য়ের প্রেমিকাকে হত্যা করে যার অর্থ হল, তৎকালীন সমাজে পুরুষ-নারী ব্যভিচারের চেয়ে নারী-নারী ব্যভিচারকে আরও গুরুতর অপরাধ বলে গণ্য হত। ইয়াম্ব্লিকাসের ব্যাবিলনিয়াকায় এক মিশরীয় রাজকুমারী কাহিনী বর্ণিত আছে যেখানে রাজকন্যা বেরেনাইস এক নারীকে ভালোবাসে বিবাহ করেন।
অ্যাপোক্যালিপ্স অফ পিটার -এ নরকে যাওয়ার শাস্তি দেওয়া হয়েছে গে ও লেসবিয়ানদের।
ধর্মসম্মত বাইবেলের নবনিধানে নারী ও পুরুষদের সমকামিতাকে অপরাধ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।
মধ্যযুগের ইউরোপে মহিলাদের সমকামিতার প্রতি কড়া দৃষ্টি জ্ঞাপন করে খ্রিষ্টান চার্চ। আয়ারল্যান্ডের সেল্টিক সন্ন্যাসীদের লেখা পেনিটেনশিয়ালস হয়ে যায় সমকামীদের প্রায়শ্চিত্তের নির্দেশাবলী। "পায়ুকামী পুরুষেরা চার বছরের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে" এমনই হয় তাদের শাস্তি। পেনিটেনশিয়েল থিওডোরিতে বলা হয়েছে, "যদি কোনও নারী অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে, তবে সে তিন বছরের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে"। মধ্যযুগের পেনিটেনশিয়াল্গুলির লেখকরা লেসবিয়ান কর্ম বিশেষ আলোচনা করতেন না বা পুং সমকামীতার চেয়ে কম অপরাধ বলে মনে করতেন।
পঞ্চম চার্লসের রাজত্বকালীন পবিত্র রোমান সাম্রাজ্যে যৌন অপরাধের মধ্যে নারীদের সমকামিতাও গণ্য করা হয়।
মধ্যযুগের প্রায় বারোজন লেসবিয়ানের কথা জুডিথ বেনেট দ্বারা লিপিবদ্ধ হয়েছে। এঁদের সকলকেই আদালতে হাজিরা দিতে হয়েছিল, জেলুবন্দী হতে হয়েছিল বা কারোর মৃত্যুদন্ড হয়েছিল।
মধ্যযুগের আরবি সাহিত্যে লেসবিয়ানিজ়মকে বলা হয়েছে জন্মগত। এনসাইক্লোপেডিয়া অফ প্লেসার-এ এক খ্রিষ্টান নারী ও এক আরব নারীর প্রেমকাহিনী বর্ণিত আছে। "ফিরিস্ত্"-এ এমন নারীদের বারোটি কাহিনী আছে যারা কেউই বাঁচতে পারেননি।
ইহুদি মাইমনিদেসের "মিশনে তোরাহ্" একমাত্র মধ্যযুগীয় গ্রন্থ যেখানে লেসবিয়ানদের নিয়ে ইহুদিধর্মের নিয়মকানুন বর্ণিত আছে।
ইংরাজী সাহিত্য ও নাটকে মহিলাদের সমকামিতা এতটাই জনপ্রিয় ছিল যে ইতিহাসবিদরা একে একটি হুজুগ বলেছেন।
আধুনিক যুগের গোড়ার দিকে ইংল্যান্ডে নারীদের সমকামী আচরণ লক্ষণীয় হয়ে ওঠে। এর বিরুদ্ধে নানা ফতোয়া জারি করা হয়। ১৭০৯ সালে প্রকাশিত "দ্য নিউ অ্যাটলান্টিস"-এ ডেলারিভিয়ারে ম্যানলে লেসবিয়ানদের তীব্র শ্লেষে বিদ্ধ করেন। তবে ফ্রিডলি ও ফাদেরমানের কথায়, পুরুষদের সমকামিতা থেকে নারীদের সমকামিতাকে সমাজ অনেক সহানুভূতিশীল দৃষ্টিতে দেখেছিল। সামাজিক কুনজরে থাকা সত্ত্বেও ইংল্যান্ডের আইন লেসবিয়ানদের উপেক্ষা করে। মেরি হ্যামিল্টন ("Female Husband" বা "মহিলা স্বামী") -কে প্রতারণার জন্য বেত্রাঘাত করা হলেও আদালত বা প্রেসের চোখে তিনি কোনো অপরাধ করেননি।
তৎকালীন ইংরাজী সাহিত্য ও নাটকে মহিলাদের সমকামিতাক্র যুক্তিসহ ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করা হয়। দ্য নিউ অ্যাটলান্টিস-এ "আসল" লেসবিয়ান তাদেরই বলা হয়েছে, যাদের মধ্যে পুরুষালি ভাব আছে। সমাজের উচ্চ শ্রেনীর মধ্যে লেসবিয়ান প্রবণতার খুব একটা প্রমাণ পাওয়া যায় না। অষ্টাদশ ও ঊনবিংশ শতকের প্রথম ভাগে প্যারিসে ও অষ্টাদশ শতকের অ্যামস্টারড্যামে নর্তকী ও পতিতাদের মধ্যে এই প্রবণতা লক্ষণীয়।
আদি আমেরিকান ইতিহাসে লেসবিয়ানিজ়মের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবা হয়েছিল তবে তা কার্যকরী হয়নি। ১৬৩৬ সালে জন কোল্টন সমকামিতাকে মৃত্যুযোগ্য অপরাধ বলে, তাকে "বিকৃত জঘন্যতা"-র আখ্যা দিয়ে সমকামীদের মৃত্যুদন্ড চেয়েছেন। ১৬৬৫ সালে কানেক্টিকাট কলোনি সমকামী পায়ুকামীতার বিরুদ্ধে আইন পাশ করলেও তা কার্যকরী হয়নি। ১৭৭৯-এ থমাস জেফারসন এই অপরাধের শাস্তি অনুসারে পুরুষদের জননক্ষমতা লঙ্ঘন করা ও মহিলাদের নাকে প্রায় এক ইঞ্চি ব্যাসের ফুটো করে দেওয়ার কথা বলেছেন তবে আবারও তা কার্যকরী হয়নি। তবে ১৬৪৯-এ প্লাইমাউথ কলোনিতে সারা হোয়াইট নর্ম্যান ও মেরি ভিন্সেন্ত হ্যামনের বিরুদ্ধে নালিশ করা হয় "বিছানায় একে অন্যের সাথে বিরূপ আচরণের" জন্য। হ্যামনের বয়স ষোলোর নিচে ছিল বলে হয়তো তাকে সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয় তবে নর্ম্যানকে দোষী সাব্যস্ত করে জনসমক্ষে তার আর হ্যামনের অসতী আচরণ স্বীকার করতে বলা হয় এবং ভবিষ্যতে এই অপরাধের বিরুদ্ধে সতর্ক করা হয়।
মধ্য-ঊনবিংশ শতাব্দীতে নারীদের মধ্যে গভীর সম্পর্ক তৈরী হলেও পুরুষদের সাথে বিবাহই প্রচলিত ছিল।
নিউ ইংল্যান্ডে "বস্টন বিবাহ" প্রচলিত হয় মহিলাদের মধ্যে যারা পুরুষদের কোনো সাহায্য ছাড়াই একসাথে থাকতে শুরু করেন। ঊনবিংশ শতাব্দীর পরের দিকে ও বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে ফ্রান্সের সমাজ, সাহিত্য ও কলায় নারীদের সমকামীতার প্রবণতা দেখা যায়। লা হানিটন ও লা রাট মর্ট্ রেস্তোরাঁগুলি লেসবিয়ানরা পরিচালনা করে। নাটালি বার্নের প্রাইভেট সালোঁ বহু উভকামী ও সমকামী লেখিকাদের আকৃষ্ট করে। এঁদের মধ্যে ছিলেন রোমেন ব্রুক্স, রেনী ভিভিয়েন, কোলেট, জুনা বার্নেস, জের্ট্রুড স্টাইন ও রেডক্লিফ হল্। "আইডিল স্যাফিক"-এ বার্নের প্রেমিকা লিয়ান দি পোগী তাদের প্রেমকাহিনী লিপিবদ্ধ করেন। কোলেট ও তার প্রেমিকা মাটিল্ডা দি মর্নি এক লেসবিয়ান দৃশ্য মঞ্চস্থ করায় তাদের চূড়ান্ত অবমাননার শিকার হতে হয়।
স্টোনওয়াল ইনে পুলিশের রেইড ও উগ্র স্টোনওয়াল দাঙ্গা এল্জিবিটি সমকামী মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র প্রধান ঘটনা। ১৯৬৯-এর ২৮শে জুন নিউ ইয়র্ক সিটির ম্যানহাটানের গ্রিনউইচ ভিলেজ এলাকার স্টোনওয়াল ইনে পুলিশের রেইড করে। পুরুষ-প্রাধান্য ও বাধ্যতামূলক ভিন্নকামিতার প্রতিবাদে রাজনৈতিক লেসবিয়ানিজ়ম শুরু হয়। শীলা জেফরিস, এক লেসবিয়ান, "শত্রুকে ভালোবাসো?" ধারণাটি লিপিবদ্ধ করতে সাহায্য করেন। লীড্স রেভোলিউশনারি ফেমিনিস্ট গ্রুপের মতে রাজনৈতিক লেসবিয়ান হল এমন এক নারী যিনি পুরুষদের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হন না। লেসবিয়ান নারী, যাঁরা নিজেদের রাজনৈতিক লেসবিয়ান হিসেবে পরিচয় দেন, তাদের কয়েকজন হলেন টি-গ্রেস আটকিন্সন, জুলি বিন্দেল, শার্লট বাঞ্চ, ইভন রেইনার ও শীলা জেফরিস।
১৯৭৪-এ প্রথম লেসবিয়ান এমপি হিসেবে গ্রেট ব্রিটেনের লেবার পার্টির মরিন কলকুহোন আত্মপ্রকাশ করেন।
লেসবিয়ান নারীবাদ ১৯৭০ থেকে ১৯৮০-র মধ্যে প্রভাবশালী হয়ে ওঠে। শার্লট বাঞ্চ, রিতা মে ব্রাউন, এড্রিয়েন রিচ, অড্রি লর্ড, ম্যারিলিন ফ্রাই, মেরি ডেলি, শীলা জেফরিস ও মনিক ঊইটিগ এই বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছিলেন। গে স্বাধীনতা আন্দোলনে লেসবিয়ান নারীত্ববাদের মতবিরোধীতা হয়, নারী ও পুরুষের সমান অধিকার না থাকায়, লেসবিয়ান বিচ্ছিন্নতাবাদ দেখা দেয়। ১৯৭৩-এ লেখা জিল জন্স্টনের 'লেসবিয়ান নেশন'এঁদেরকে অনুপ্রাণিত করে। বিভিন্ন রাজনৈতিক মতের বিরোধীতা হয় আর এই সময়ের উত্তেজনাপূর্বক আলোচনাগুলি লেসবিয়ান সেক্স ওয়ার নামে পরিচিত হয়।
১৯৯২-তে ভীষণ জনপ্রিয়তা লাভ করে লেসবিয়ান অ্যাভেঞ্জারস। নিউ ইয়র্ক সিটিতে শুরু হওয়া লেসবিয়ানদের সমস্যা নিয়ে আরম্ভ এই অভিযান সারা বিশ্বে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এইড্স ও গর্ভপাত নিয়ে আন্দোলন করা নারীদের সমকামিতার বিষয়গুলি অমীমাংসিত থেকে যায়। পুরুষতান্ত্রিক এল্জিবিটি সমাজে অদৃশ্য হয়ে থাকা লেসবিয়ানদের নৈরাশ্যের ফলেই এটি এত জনপ্রিয়তা লাভ করে। ১৯৯৩ সালে ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত এলজিবিটি মার্চের রিপোর্টার ইলোইস সালোল্স এরূপ মন্তব্য পেশ করেছেন।
Citations
^ : a b Amer, Sahar (2009). "Medieval Arabic Lesbians and Lesbian-Like Women". Journal of the History of Sexuality. 18 (2): 217.
^ : a b Craft-Fairchild, Catherine (2006). "Sexual and Textual Indeterminacy: Eighteenth-Century English Representations of Sapphism". Journal of the History of Sexuality. 15 (3): 409.
^ : a b Craft-Fairchild, Catherine (2006). "Sexual and Textual Indeterminacy: Eighteenth-Century English Representations of Sapphism". Journal of the History of Sexuality. 15 (3): 408. doi:10.1353/sex.2007.0025.
^ : a b Craft-Fairchild, Catherine (2006). "Sexual and Textual Indeterminacy: Eighteenth-Century English Representations of Sapphism". Journal of the History of Sexuality. 15 (3): 415.
^ : a b Kenneth Borris Same-sex desire in the English Renaissance: a sourcebook of texts, 1470–1650, Routledge, 2004 আইএসবিএন ০-৮১৫৩-৩৬২৬-৮ p. 113
^ : a b 1993, Eloise Salholz, Newsweek, "The Power and the Pride." Bibliography Boswell, John (1981). Christianity, Social Tolerance, and Homosexuality: Gay People in Western Europe from the Beginning of the Christian Era to the Fourteenth Century. Chicago: University of Chicago Press. pp. 289–90. আইএসবিএন ৯৭৮-০-২২৬-০৬৭১১-৭. Dover, Kenneth James (1978). Greek Homosexuality. Duckworth. আইএসবিএন ৯৭৮-০-৭১৫৬-১১১১-১.