লেসলি কারোঁ | |
---|---|
Leslie Caron | |
জন্ম | লেসলি ক্ল্যের মার্গারেত কারোঁ ১ জুলাই ১৯৩১ |
পেশা | অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী |
কর্মজীবন | ১৯৫১-বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী | জর্ডি হরমেল (বি. ১৯৫১; বিচ্ছেদ. ১৯৫৪) পিটার হল (বি. ১৯৫৬; বিচ্ছেদ. ১৯৬৫) মাইকেল লাফলিন (বি. ১৯৬৯; বিচ্ছেদ. ১৯৮০) |
সন্তান | ক্রিস্টোফার হল জেনিফার কারোঁ হল |
লেসলি ক্ল্যের মার্গারেত কারোঁ (ফরাসি : [lɛsli kaʁɔ̃]; জন্ম ১ জুলাই ১৯৩১) হলেন একজন ফরাসি-মার্কিন অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী। তিনি ১৯৫১ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত ৪৫টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি লিলি (১৯৫৩) ও দ্য এল-শেপড রুম (১৯৬২) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য দুইবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে বাফটা পুরস্কার অর্জন করেন এবং শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। এছাড়া তার অন্যান্য উল্লেখ্যযোগ্য চলচ্চিত্র হল সঙ্গীতধর্মী অ্যান আমেরিকান ইন প্যারিস (১৯৫১), ড্যাডি লং লেগস (১৯৫৫), জিজি (১৯৫৮), ফ্যানি (১৯৬১) ও ফাদার গুজ (১৯৬৪)। ২০০৬ সালে তিনি ল অ্যান্ড অর্ডার: স্পেশাল ভিকটিমস ইউনিট ধারাবাহিকে অভিনয়ের জন্য নাট্যধর্মী ধারাবাহিকে সেরা অতিথি অভিনেত্রী বিভাগে প্রাইমটাইম এমি পুরস্কার অর্জন করেন।
তিনি ফরাসি, ইংরেজ ও ইতালিয় ভাষায় স্বচ্ছন্দে কথা বলতে পারেন। তার আত্মজীবনী থ্যাঙ্ক হেভেন ২০১০ সালে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত হয় এবং ২০১১ সালে এর ফরাসি সংস্করণ প্রকাশিত হয়। তার জীবন ও কর্মের উপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা ল্যারি ওয়াইনস্টেইনের লেসলি কারোঁ: দ্য রিলাকটেন্ট স্টার ২০১৬ সালের ২৮শে জুন টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়।[১]
কারোঁ প্যারিসের বুলইন-সুর-সিনে জন্মগ্রহণ করেন। তার মাতা মার্গারেত (বিবাহপূর্ব পেতিত) একজন ফরাসি-মার্কিন ব্রডওয়ে মঞ্চের নৃত্যশিল্পী এবং পিতা ক্লোদ কারোঁ ফরাসি রসায়নবিদ, ঔষধ প্রস্তুতকারক, সুগন্ধি প্রস্তুতকারক ও বুটিক মালিক।[২] লেসলির বড় ভাই এমেরি কারোঁও তার পিতার মত রসায়নবিদ ছিলেন, অন্যদিকে লেসলি শৈশব থেকেই তার মায়ের অধীনে প্রদর্শন কলায় কর্মজীবন গড়ার প্রস্তুতি নেন।[৩]
কারোঁ একজন ব্যালেরিনা হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। জিন কেলি তাকে রোলান্ড পেটিটের কোম্পানি ব্যালে দে শম এলিসে থেকে তাকে আবিষ্কার করেন এবং তার বিপরীতে সঙ্গীতধর্মী অ্যান আমেরিকান ইন প্যারিস (১৯৫১)-এর জন্য বাছাই করেন। মূলত সিড চারিসে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে কারোঁকে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়।
তিনি মেল ফেরারের সাথে সফল সঙ্গীতধর্মী চলচ্চিত্র লিলি (১৯৫৩)-এ নাম ভূমিকায় অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। ১৯৫৩ সালে দ্য এল-শেপড রুম (১৯৬২) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি নাট্যধর্মী চলচ্চিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার ও শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে বাফটা পুরস্কার অর্জন করেন এবং শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[৪]
এরপর তিনি ফ্রেড অ্যাস্টেয়ারের সাথে ড্যাডি লং লেগস (১৯৫৫) এবং মোরিস শ্যভালিয়ের সাথে জিজি (১৯৫৮) ও ফ্যানি (১৯৬১), এবং ক্যারি গ্র্যান্টের সাথে ফাদার গুজ (১৯৬৪) চলচ্চিত্রগুলোও সফলতা অর্জন করে।