লোপামুদ্রা (Red Base Jezebel) | |
---|---|
![]() | |
ডানা বন্ধ অবস্থায় | |
![]() | |
ডানা খোলা অবস্থায় | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Animalia |
পর্ব: | Arthropoda |
শ্রেণী: | Insecta |
বর্গ: | Lepidoptera |
পরিবার: | Pieridae |
গণ: | Delias |
প্রজাতি: | D. pasithoe |
দ্বিপদী নাম | |
Delias pasithoe (Linnaeus, 1767) | |
প্রতিশব্দ | |
Delias aglaia (Linnaeus, 1758) (non Linnaeus, 1758: preoccupied) |
লোপামুদ্রা[১] (ইংরেজিঃ Red-base Jezebel) মাঝারি আকারের কালো, হলুদ, সাদা ও লাল রঙে মোড়ানো পিয়েরিডি পরিবারের এক প্রজাতির প্রজাপতি।[২] লোপামুদ্রা সাধারণত দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশসমূহে দেখা যায়। এই প্রজাপতির বৈজ্ঞানিক নাম Delias pasithoe বা Delias aglaia aglaia।[২]
প্রসারিত অবস্থায় লোপামুদ্রার ডানার আকার ৬৮-৮৪ মিলিমিটার দৈর্ঘের হয়।
ভারতে প্রাপ্ত লোপামুদ্রা এর উপপ্রজাতি হল- [৩]
সাধারণত এই জাতীয় প্রজাপতিটি পূর্ব হিমালয়, নেপাল থেকে মায়ানমার, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া সর্বত্র দেখা যায়। হিমালয়ের ৫০০০ ফুট অবধি এদের পাওয়া যায়। সাধারণত জঙ্গলে এই প্রজাতির প্রজাপতি বেশি দেখা যায়। বাংলাদেশের সিলেট, চট্টগ্রাম ও গাজীপুরের শালবনে এদের দেখা পাওয়া যায়।[৪]
পুরুষ ও স্ত্রী উভয় লোপামুদ্রারই পেছনের ডানার মাঝের ও কিনারার কোষগুলো উজ্জ্বল হলুদ রঙের হলেও ডানার তলার বা গোড়ার দিকের কোষগুলো টকটকে লাল হয়। এদের শুঁড়, মাথা, বুক ও পেটের ওপরটা কালো এবং পেটের পাশ ও নিচটা ধূসর-সাদা।
পুরুষ লোপামুদ্রা মাঝারি আকারের সামনের ডানার ভিত্তি বা তলার রং কালো হয়।
স্ত্রী লোপামুদ্রার সামনের ডানার ভিত্তি বা তলার রং সাধারণত বাদামি-কালো হয়। এছাড়া এদের ডানা প্রসারিত হলে ৬৯-৯২ মিলিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। স্ত্রী লোপামুদ্রা জানুয়ারি থেকে মার্চে উজ্জ্বল হলুদ উপবৃত্তাকার ১০-২০ টি ডিম দেয়। এরা সাধারণত গাছের পাতায় ডিম দেয়। ডিম ফুটে লালচে-বাদামি শূককীট বের হয়। শূককীটের দেহের প্রতিটি খণ্ড বরাবর সমান্তরাল হলুদ ব্যান্ড রয়েছে, যাতে শক্ত চুল থাকে। বাইরের দিকের চুলগুলো কালো ও ভেতরের দিকেরগুলো হলুদ।
|তারিখ=
(সাহায্য)[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]