কোন স্থানে একই সময়ে একটি তড়িৎ ক্ষেত্র ও একটি চৌম্বক ক্ষেত্র বিদ্যমান থাকলে সেখানে একটি গতিশীল আধান যে লব্ধি বল অনুভব করে তাকেই লরেঞ্জ বল বা লরেন্ট্জ বল বা লরেনৎ্স বল বলে
লরেঞ্জ বলকে নিচের গাণিতিক সমীকরণের মাধ্যমে প্রকাশ করা যায়:
অনেক ক্ষেত্রেই লরেঞ্জ বল ও তড়িৎচুম্বকীয় বল এ দুটি ফেনোমেনা একই মনে হলেও তাড়িতচৌম্বক বল আলাদা একটি বিষয়।
তড়িৎচুম্বকীয় ক্ষেত্রআহিত বস্তুর উপর যে বল প্রয়োগ করে তাকে তাড়িতচৌম্বক বল বলে। এই বল আকর্ষণধর্মী ও বিকর্ষণধর্মী- উভয় প্রকারের হতে পারে। আগে তড়িৎ ও চুম্বকত্ব এ দুটিকে দুটি ভিন্ন বল মনে করা হত। ১৮৭৩ সালে জেমস র্ক্লাক ম্যাক্সওয়েল প্রমাণ করেন এ দুটি আসলে একই অভিন্ন বলের প্রকাশ। যখন দুটি আহিত কণা স্থির থাকে তখন তাদের মধ্যে কেবল তড়িত্ বল ক্রিয়া করে। আহিত কণাগুলো গতিশীল হলে তড়িত্ বলের পাশাপাশি কণাগুলোর মধ্যে চৌম্বক বলের সৃষ্টি হয়। দুটি চৌম্বক মেরুর আকর্ষণ বা বিকর্ষণ বলও তাড়িতচৌম্বক বল। দুটি আহিত মৌলিক কণার মধ্যে ক্রিয়াশীল তড়িত্ বল এদের মধ্যে ক্রিয়াশীর মহাকর্ষ বলের তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী। তবুও সবলতার বিচারে তড়িত্ বল হচ্ছে মাঝারি ধরনের। ঘর্ষণ বল, স্প্রিং বল ইত্যাদি আহিত কণাগুলোর মধ্যে তড়িত্ বলের কারণেই সৃষ্টি হয়।এর তীব্রতা 10^2 N আর এর পাল্লা অসীম।আলো একধরনের তড়িৎচুম্বকীয় বল।
তড়িৎক্ষেত্র ও চৌম্বকক্ষেত্র মিলে সৃষ্টি হয় তাড়িতচৌম্বক ক্ষেত্র।
↑See Jackson, page 2. The book lists the four modern Maxwell's equations, and then states, "Also essential for consideration of charged particle motion is the Lorentz force equation, F = q (E+ v × B), which gives the force acting on a point charge q in the presence of electromagnetic fields."