ম্যাঙ্গিফেরা 'ল্যাংড়া' | |
---|---|
গণ | ম্যাঙ্গিফেরা |
চাষকৃত উদ্ভিদ | 'ল্যাংড়া' |
ল্যাংড়া আম | |
---|---|
ভৌগোলিক নির্দেশক | |
ধরন | কৃষি |
অঞ্চল |
|
দেশ | ভারত, বাংলাদেশ |
উপাদান | আম |
ল্যাংড়া আম বা বারানসী আম হল আমের একটি বিখ্যাত জাত যা ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে চাষ করা হয়। এটি ভারতের অন্যতম একটি বিখ্যাত আম।[১] এটি পশ্চিমবঙ্গ সহ সমগ্র উত্তর ভারতে চাষ করা হয়।[২][৩] এই আম পাকার পর খানিক হলদে রঙের হয়। জুলাই মাসের দিকে এই আম পাকতে শুরু করে এবং বাজারে পাওয়া যায়। এই আমকে ছোটো ছোটো টুকরো করার ক্ষেত্রে আদর্শ বলে মনে করা হয়। এছাড়া নানা আম থেকে তৈরী খাদ্যের ক্ষেত্রেও আদর্শ বলে মনে করা হয়।[৪][৫]
দেশে যে কটি উৎকৃষ্ট জাতের আম এগুলোর মধ্যে ল্যাংড়া সবচেয়ে এগিয়ে। পাকা অবস্থায় হালকা সবুজ থেকে হালকা হলুদ রাং ধারণ করে। ফলের শাঁস হলুদাভ। কাঁচা অবস্থায় আমের গন্ধ সত্যিই পাগল করা। অত্যন্ত রসাল এই ফলটির মিষ্টতার পরিমাণ গড়ে ১৯.৭%। বোঁটা চিকন। আটি অত্যন্ত পাতলা। পোক্ত হবার পর সংগ্রহীত হলে গড়ে ৮-১০ দিন রাখা যাবে।[৬]
ভারতের বেনারসে এর উদ্ভব হয়েছে। বাংলাদেশে সব জেলাতেই এই আম জন্মে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নওগাঁ ও নাটোর এলাকায় বেশি জন্মে। সাতক্ষীরার ল্যাংড়া আম স্বাদে, মানে উন্নত।[৭][৮]
মোঘল আমলে ভারতের বিহার রাজ্যের দ্বারভাঙায় এই আম চাষ শুরু হয়। আঠারো শতকে এক ফকির সুস্বাদু এই আমের চাষ করেন। এই খোড়া ফকিরের নামে আমটির নামকরণ হয়েছে। ফকিরের আস্তানা থেকে এই জাতটি প্রথম সংগৃহীত হয়েছিল। খোড়া ফকির যেখানে বাস করতেন তার আশেপাশে শত শত আমের গাছ ছিল। তারই একটি থেকে ল্যাংড়া নামের অতি উৎকৃষ্ট জাতটি বেরিয়ে এসেছে। সেই ফকিরের পায়ে একটু সমস্যা ছিল। সেই থেকে এই আমের নাম হয়ে যায় ‘ল্যাংড়া’।[৯]
খাওয়ার উপযোগী অংশ ৭৩.১%, ওজন ৩১৪.১ গ্রাম। মধ্য মৌসুমি জাত ল্যাংড়া। আষাঢ় মাসের শেষ অবধি- জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত বাজারে পাওয়া যায়।