এই নিবন্ধে তথ্যসূত্রের একটি তালিকা রয়েছে, কিন্তু উক্ত তালিকায় পর্যাপ্ত সংগতিপূর্ণ উদ্ধৃতির অভাব বিদ্যমান। (August 2020) |
Latex fixation test | |
---|---|
রোগনির্ণয় | |
MeSH | D007841 |
MedlinePlus | 003334 |
ল্যাটেক্স স্থিরকরণ পরীক্ষা, যা ল্যাটেক্স অ্যাগ্লুটিনেশন পরীক্ষা (ইংরেজিতেঃ latex agglutination test বা এলএ পরীক্ষা) নামেও পরিচিত, হল একটি অনুসন্ধানী কার্যপ্রণালী যার সাহায্যে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ রোগসৃষ্টিকারী অণুজীবের শনাক্তকরণ এবং সেরোটাইপ নির্ধারণ করা যায়। এসব পরীক্ষা রোগীর অ্যান্টিজেন-অ্যান্টিবডি প্রতিরক্ষা সাড়া ব্যবহার করে করা হয়। এই সাড়াটি ঘটে যখন দেহ কোনও রোগজীবাণু শনাক্ত করে এবং রোগজীবাণুটির পৃষ্ঠে বিদ্যমান একটি চিহ্নিত অ্যান্টিজেনের জন্য নির্দিষ্ট একটি অ্যান্টিবডি গঠন করে।
স্থিরকরণ পরীক্ষাসমূহ, বিভিন্ন রোগজীবাণুর জন্য নির্দিষ্ট। এগুলো বানানো হয় ল্যাটেক্সের অণুগুটিকাগুলোর চারপাশে প্যাথোজেন-নির্দিষ্ট অ্যান্টিজেন বা অ্যান্টিবডির একটি পাতলা স্তরের প্রলেপ লাগিয়ে। ক্লিনিশিয়ানরা পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করার সময়, রোগীর সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইড, সিরাম বা প্রস্রাবের সাথে নরমাল স্যালাইন (প্রোজোন প্রভাব এড়াতে) দ্বারা 'ক্রমিক লঘুকরণ' প্রক্রিয়ায় আচ্ছাদিত ল্যাটেক্স কণা মিশ্রিত করে এবং এরপর স্থিরকরণ (জমাট বাঁধা) ঘটে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করে। যেকোন লঘুকরণে গুটিকাগুলো জমাট বাঁধলে ফলাফল পজিটিভ হিসেবে বিবেচিত হয়, এটি নিশ্চিত করে যে রোগীর দেহটি প্যাথোজেন-নির্দিষ্ট অ্যান্টিবডি তৈরি করেছে (যদি পরীক্ষাটিতে অ্যান্টিজেন সরবরাহ করা হয়) বা নমুনাতে প্যাথোজেনের অ্যান্টিজেন রয়েছে (যদি পরীক্ষাটিতে অ্যান্টিবডি সরবরাহ করা হয়)। ক্রস-বিক্রিয়ার ক্ষেত্রে (যেখানে অ্যান্টিবডি আলোচ্য অ্যান্টিজেন ছাড়াও অন্য অ্যান্টিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে) বিভ্রান্তিকর ফলাফল দিতে পারে।
স্থিরকরণ কৌশলগুলো বিভিন্ন ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ার প্রতিক্রিয়ায় উৎপাদিত অ্যান্টিবডির পাশাপাশি স্বতঃঅ্যান্টিবডি (যা অটোইমিউন রোগগুলোতে নিজ দেহের বিরুদ্ধে তৈরি হয়) শনাক্তকরণে ব্যবহৃত হয়। উদাহরণস্বরূপ, রুবেলা ভাইরাস, রোটাভাইরাস এবং রিউমাটয়েড ফ্যাক্টরের জন্য বিদ্যমান পরীক্ষাগুলো এবং Cryptococcus এর জন্য একটি চমৎকার এলএ পরীক্ষা পাওয়া যায়।[১] গ্রুপ-এ স্ট্রেপটোকক্কাস জনিত সংক্রমণ সঠিকভাবে নির্ণয় করার জন্যও স্থিরকরণ কৌশলগুলো ব্যবহৃত হয়।