ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | বার্নার্ড ল্যান্স কেয়ানর্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | পিকটন, নিউজিল্যান্ড | ১০ অক্টোবর ১৯৪৯|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | অল-রাউন্ডার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | ক্রিস কেয়ার্নস (পুত্র) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৩০) | ২৬ জানুয়ারি ১৯৭৪ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৩০ নভেম্বর ১৯৮৫ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১৫) | ৩০ মার্চ ১৯৭৪ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২৩ এপ্রিল ১৯৮৫ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৩ জুলাই ২০১৫ |
বার্নার্ড ল্যান্স কেয়ার্নস (ইংরেজি: Lance Cairns; জন্ম: ১০ অক্টোবর, ১৯৪৯) পিকটনে জন্মগ্রহণকারী সাবেক নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।[১] নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য হিসেবে ১৯৭৪ থেকে ১৯৮৫ মেয়াদে টেস্ট ক্রিকেট ও একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন তিনি।
দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম-ফাস্ট বোলিংয়ে পারদর্শীতা দেখান ল্যান্স কেয়ার্নস। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টস, নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টস এবং ওতাগো ভোল্টসের সদস্য ছিলেন তিনি। এছাড়াও উত্তর ইয়র্কশায়ারে বিশপ অকল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডের উত্তর পূর্বাঞ্চলের সাউথ ডারহাম লীগে খেলেছেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের অন্যতম বিখ্যাত ক্রিকেটার ক্রিস কেয়ার্নস তার সন্তান।
১৭ বছর বয়স থেকে তিনি কানে কম শুনতেন। কোলাহলপূর্ণ পরিবেশে কাজ করার ফলেই এটি হয়েছে। ডিসেম্বর, ২০০৯ সালে কোচলিয়ার ইমপ্ল্যান্টের ফলে তিনি মুক্ত হন।[২] ঘরোয়া ক্রিকেটে ওতাগোর সদস্য থাকাকালে ওয়েলিংটনের বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে একমাত্র সেঞ্চুরিটি করেন। ১১০ রানের ঐ ইনিংসটি ৯ ছক্কায় মাত্র ৫১ বলে করেছিলেন।
কেয়ার্নস সুইং বোলিং করতেন। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে টেস্টে ১৩০ উইকেট ও একদিনের আন্তর্জাতিকে ৮৯ উইকেট লাভ করেন। বিশ্ব সিরিজ কাপের ফাইনালে শ্রেষ্ঠ দল হিসেবে নিউজিল্যান্ড প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। ১৯৮২-৮৩ মৌসুমের ঐ সিরিজে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দশ খেলায় জয় পায়। তন্মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে তিন খেলায় জয়ী হয়। ২৯ জানুয়ারি, ১৯৮৩ তারিখে অ্যাডিলেড ওভালে একইদিনে দুইবার বিশ্বরেকর্ড ভেঙ্গে যায়। ইংল্যান্ডের সংগৃহীত ২৯৬/৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে নিউজিল্যান্ড দল ২৯৭/৬ করে রেকর্ড গড়ে। ২৪ বলে ৪৯ রান তুলে কেয়ার্নস দলের বিজয়ে ভূমিকা রাখেন।[৩] তার এ ইনিংসে ইংরেজ স্পিনারদের কাছ থেকে তিন ছক্কা আদায় করেন। এ জয়ে ৭ম উইকেটে জেরেমি কোনি (৪৭*) ও ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার বিজয়ী রিচার্ড হ্যাডলি’র (৭৯) মধ্যকার ১২১ রানের জুটি অসম্ভব বিজয়কে সম্ভবপর করে তুলে।[৩] প্রায় ১.৫ মিলিয়ন কিউইবাসী টেলিভিশনের পর্দায় খেলাটি সরাসরি দেখে। ১৯৮৩ সালে হেডিংলি স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের ইংরেজ ভূমিতে প্রথম টেস্ট জয়ে তিনি দশ উইকেট পান। ১৯৮৩-৮৪ মৌসুমে সফরকারী ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে নিজস্ব সেরা বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান ৭/৭৪।
১৮ জুন, ১৯৮৩ তারিখে নিউজিল্যান্ড-শ্রীলঙ্কার মধ্যকার ক্রিকেট বিশ্বকাপের খেলায় তিনি অশান্ত ডিমেলের পঞ্চম শিকারে পরিণত হন। ডার্বির কাউন্টি গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত ঐ খেলায় শ্রীলঙ্কা দল জয়লাভ করে।[৪]
ক্রিকেট জীবন থেকে অবসর নেয়ার পর কেয়ার্নস গল্ফ খেলায় মনোনিবেশ করেন। ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর দ্য ডিফ ইনকর্পোরেশনের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে কাজ করছেন ও শ্রবণবিষয়ক সচেতনতার সাথে জড়িত তিনি।
ব্যক্তিগত জীবনে বিবাবিহত তিনি। ‘সু’ নাম্নী এক রমণীর পাণিগ্রহণ করেন তিনি। ১৯৯৩ সালে তাঁদের কন্যা ভ্রমণকালে ট্রেনের সাথে সংঘর্ষে নিহত হয়।
|শিরোনাম=
at position 19 (সাহায্য)