শক্তিগড় | |
---|---|
গ্রাম | |
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে শক্তিগড়ের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°১৩′ উত্তর ৮৭°৫৮′ পূর্ব / ২৩.২১° উত্তর ৮৭.৯৬° পূর্ব | |
দেশ | ![]() |
রাজ্য | পশ্চিমবঙ্গ |
জেলা | পূর্ব বর্ধমান |
উচ্চতা | ২৩ মিটার (৭৫ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ৮,৪৩২ |
ভাষা | |
• প্রাতিষ্ঠানিক | বাংলা, ইংরেজি |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০) |
পিন | ৭১৩১৪৯ |
টেলিফোন কোড | ৯১ ৩৪২ |
যানবাহন নিবন্ধন | WB ৪২ |
ওয়েবসাইট | purbabardhaman |
শক্তিগড় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমান জেলার একটি গ্রাম। এটি বর্ধমান উত্তর মহকুমার বর্ধমান-২ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের অন্তর্ভুক্ত।
![]() | কারিগরি সমস্যার কারণে গ্রাফ এই মূহুর্তে অস্থায়ীভাবে অনুপলব্ধ রয়েছে। |
শক্তিগড় মূলত ২৩°১৩′ উত্তর ৮৭°৫৮′ পূর্ব / ২৩.২১° উত্তর ৮৭.৯৬° পূর্ব স্থানাঙ্কে অবস্থিত।
শক্তিগড় বর্ধমান সমভূমির একটি অংশ, যা জেলার কেন্দ্রীয় সমতল অঞ্চল। অঞ্চলটির পূর্বে ভাগীরথী বা হুগলী নদী, উত্তর-পশ্চিমে অজয় নদ এবং পশ্চিম ও দক্ষিণে দামোদর নদ অবস্থিত। শক্তিগড়ে পুরাতন নদী নালা এবং ছোট ছোট খাঁড়ি আছে যা শুকনো মৌসুমে শুকিয়ে যায় তবে বর্ধমান সমভূমি কখনও কখনও বর্ষাকালে ভারী বন্যার শিকার হয়। বর্ধমানের এই অঞ্চলে সাম্প্রতিক পললযুক্ত মাটি রয়েছে।[১]
বর্ধমান সদরে উত্তর মহকুমার ৭৩.৫৮% জনগোষ্ঠী গ্রামাঞ্চলে বাস করে। জনসংখ্যার কেবল ২৬.৪২% শহরাঞ্চলে বাস করে। এটি পূর্ব বর্ধমান জেলার চারটি মহকুমার মধ্যে নগর জনসংখ্যার সর্বোচ্চ অনুপাত।[২] মানচিত্রটি মহকুমার কয়েকটি উল্লেখযোগ্য অবস্থান উপস্থাপন করে। মানচিত্রে চিহ্নিত সমস্ত স্থান বৃহত্তর পূর্ণ পর্দার মানচিত্রে লিঙ্কযুক্ত।
শক্তিগড়ে একটি পুলিশ স্টেশন রয়েছে।[৩]
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে শক্তিগড়ের মোট জনসংখ্যা ছিল ৮,৪৩২ জন, যার মধ্যে ৪,২২২ জন (৫০%) পুরুষ এবং ৪,১৮০ জন (৫০%) মহিলা ছিলেন। ছয় বছরের নিচে শিশু ছিল ৯১৩ জন। শক্তিগড়ের মোট সাক্ষর জনসংখ্যা ছিল ৫৭৩০ জন। অর্থ্যাৎ, সাক্ষরতার হার ৭৬.২১% (৬ বছরের নিচে)।[৪]
শক্তিগড় রেলওয়ে স্টেশন হল হাওড়া–বর্ধমান প্রধান রেলপথ এবং হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইন এর একটি গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে জংশন স্টেশন। এটি বর্ধমান থেকে ১২ কিলোমিটার (৭.৫ মাইল)।[৫] এটি কলকাতা শহরতলির রেল ব্যবস্থার একটি অংশ। এটি পূর্ব রেল জোনসমূহের অধীনে পরিচালিত। শক্তিগড় রেলওয়ে স্টেশনটি হাওড়া রেলওয়ে বিভাগের একটি রেলওয়ে স্টেশন। এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পূর্ব বর্ধমান জেলায় (এনএইচ-২), শক্তিগড় এ অবস্থিত। স্টেশনটি শক্তিগড় এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় রেল পরিষেবা প্রদান করে। হাওড়া জংশন রেলওয়ে স্টেশন থেকে ৮৩ কি.মি. (৫২ মাইল) এবং মূল লাইন থেকে ৯৬ কি.মি. (৬০ মাইল) দূরে স্টেশনটি অবস্থিত।
এটি গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোডের পাশে অবস্থিত এবং নবনির্মিত এন.এইচ. ১৯ (পুরাতন নম্বর এনএইচ ২) শহরটিকে অতিক্রম করেছে। বর্তমানে বার্সুল, মেমারি, জামালপুর থেকে বর্ধমান হয়ে শক্তিগড়ে নিয়মিত বাস সেবা চালু রয়েছে। পরিষেবাটির উচ্চ চাহিদা রয়েছে। তবে বর্ধমান থেকে এখানে আসার সময় বেশিরভাগ লোকই রেলপথের রুটটি পছন্দ করে।
শক্তিগড়ে সাক্ষরতার হার উচ্চ এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও উন্নত পর্যায়ে শিক্ষা দিতে সক্ষম।
শক্তিগড়ও পশ্চিমবঙ্গের মতোই অধুনা বাঙালি সংস্কৃতি লালন করে থাকে৷ বাংলার আর পাঁচটা গ্রামের মতোই শক্তিগড়ে গড়ে উঠেছে আবহমান বাঙালি পরিবেশ।
শক্তিগড় ল্যাংচা মিষ্টির জন্য বিখ্যাত। এন.এইচ. ১৯ এর পাশে অনেক ভাজা মিষ্টির অসংখ্য দোকান রয়েছে।[৮]