শঙ্করাচার্য (সংস্কৃত: शङ्कराचार्य, আইএএসটি: Śaṅkarācārya, "শঙ্কর-আচার্য") হল একটি ধর্মীয় উপাধি যা হিন্দুধর্মের অদ্বৈত বেদান্ত ঐতিহ্যে মঠের প্রধানদের জন্য ব্যবহৃত হয়। শিরোনামটি আদি শঙ্কর থেকে এসেছে; তাঁর পূর্ববর্তী শিক্ষকদের ধারাবাহিক ধারার শিক্ষকরা শঙ্করাচার্য নামে পরিচিত।[১][২]
১৬ শতকে বিকশিত ঐতিহ্য অনুসারে, আদি শঙ্কর ভারতের উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব এবং পশ্চিমে মঠ বা পীঠম নামে পরিচিত চারটি মঠ স্থাপন করেছিলেন, যাকে শঙ্করাচার্য নামে পরিচিত মানুষদের দ্বারা রাখা হয়েছিল। তারা শিক্ষকের ভূমিকা গ্রহণ করবে এবং আধ্যাত্মিক প্রকৃতির আন্তরিক প্রশ্নগুলির সাথে যে কেউ পরামর্শ নিতে পারে।[৩][৪] দক্ষিণ ভারতের আরেকটি মঠ কাঞ্চি কামকোটি পীঠও আদি শঙ্কর থেকে প্রতিষ্ঠা ও ঐতিহ্যের উৎস, তবে এর প্রধানদেরকে "শঙ্করাচার্য" এর পরিবর্তে "আচার্য" বা "জগদ্গুরু" বলা হয়।
শিষ্য
(বংশ) |
অভিমুখ | মঠ | মহাবাক্য | বেদ | সম্প্রদায় | বর্তমান শঙ্করাচার্য |
---|---|---|---|---|---|---|
পদ্মপদ | পূর্ব | গোবর্ধন মঠ | প্রজ্ঞানম ব্রহ্ম (চেতনা হল পরম সত্তা) | ঋগ্বেদ | ভোগবালা | স্বামী নিসচালানন্দ সরস্বতী |
সুরেশ্বরাচার্য | দক্ষিণ | শৃঙ্গেরি শারদা পিঠথ | অহম ব্রহ্মাস্মি (আমিই পরম সত্তা) | যজুর বেদ | ভূরিওয়ালা | শ্রী ভারতী তীর্থ |
হস্তমালাকাচার্য | পশ্চিম | দ্বারক শারদা পীঠথ | তত্ত্বমসি (সেই তুমি) | সাম বেদ | কিতাওয়ালা | স্বামী সদানন্দ সরস্বতী |
তোতাকাচার্য | উত্তর | বদরী জ্যোতির্মথ পীঠথ | আয়মাত্মানম ব্রহ্ম (এই আত্মা হল পরম সত্তা) | অথর্ববেদ | নন্দাবালা | স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী (প্রতিদ্বন্দ্বী)/
স্বামী বাসুদেবানন্দ সরস্বতী (বিতর্কিত) |
পুরী, জোশীমঠ, দ্বারকা এবং শৃঙ্গেরী— দেশের চার প্রান্তে চারটি মঠ। তাঁদের প্রধান পরিচালকের নাম শঙ্করাচার্য। চার বেদের অগাধ জ্ঞান শঙ্করাচার্যদের। বেদ, উপনিষদের ব্যাখ্যায় তাঁদের জুড়ি মেলা ভার। হিন্দু দর্শনের অন্যতম শাখা অদ্বিতীয় বেদান্তের বিকাশ, ব্যাপ্তিতে তাঁদের অবদান রয়েছে।