শঙ্খ

আ.১১শ-১২শ শতকের পাল সাম্রাজ্যকালীন ৩ টি সুচিত্রিত বামাবর্তী শঙ্খ , যেগুলোর সর্ববামেরটির গা জুড়ে বিষ্ণুলক্ষ্মীর প্রতিমূর্তি খোদাই করা হয়েছে রূপালী বর্ণচ্ছটাযোগে ।

শঙ্খ (সংস্কৃত: शङ्ख, আইএএসটি: Śaṅkha) হলো একজাতীয় বড় আকৃতির সামুদ্রিক শামুক[]। এর খোল দিয়ে অলঙ্কার, বাদ্যযন্ত্র, ইত্যাদি তৈরি করা হয়। এদের অন্যান্য নামের মধ্যে রয়েছে শাঁখ, শাখ, কম্বু প্রভৃতি[]

শঙ্খ শব্দের উৎপত্তি

[সম্পাদনা]

শঙ্খধ্বনি একটি বিশেষ্য পদ যার অর্থ শঙ্খের শব্দ। শঙ্খ শব্দটি এসেছে দুটি সংস্কৃত শব্দ 'শাম' ও 'খাম' থেকে। 'শাম' শব্দের অর্থ শুভ এবং 'খাম' শব্দের অর্থ জল। এই শব্দের মিলনে সৃষ্টি হয়েছে 'শঙ্খম' শব্দটি।

ব্যবহার

[সম্পাদনা]

হিন্দু ধর্মের বিভিন্ন কর্মকান্ডের সাথে শঙ্খ ওতোপ্রতোভাবে জড়িত। হিন্দু সধবা রমণীরা হাতে শঙ্খ দিয়ে তৈরী "শাখা" পরে। বিভিন্ন পূজা-পার্বণ এবং শুভ কাজের শুরুতে বিশেষভাবে কাঁটা শঙ্খের বাঁশি বাজানো হয়। হিন্দু ধর্মে শঙ্খের ধ্বনি পবিত্র বলে ধরা হয়। পূজা অর্চনা, পুত্রসন্তানের জন্ম, অন্নপ্রাশন, শ্মশানযাত্রা ইত্যাদি সময়ে শঙ্খধ্বনি করা হয়। কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে পঞ্চপান্ডবশ্রীকৃষ্ণের ঠোঁটে শঙ্খধ্বনি ধ্বনিত হয়। দেবী দুর্গার হাতেও শঙ্খ দেখা যায়।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. http://www.ebangladictionary.com/24070[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. যার যা ধর্ম, প্রথমা প্রকাশিনি, হাবিবুর রহমান পৃষ্ঠা ৩১০