শবনম মৌসি | |
---|---|
মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার বিধায়ক | |
কাজের মেয়াদ ২০০০ – ২০০৩ | |
পূর্বসূরী | কৃষ্ণপাল সিং |
উত্তরসূরী | ছোটে লাল সরয়াগি |
নির্বাচনী এলাকা | সোহাগপুর |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
রাজনৈতিক দল | স্বতন্ত্র |
পেশা | রাজনীতিবিদ, এলজিবিটি সমাজকর্মী, |
শবনম "মৌসি" বানু একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ ও এলজিবিটি সমাজকর্মী। তিনি ভারতের বিধানসভার প্রথম ট্রান্সজেন্ডার বা রূপান্তরলৈঙ্গিক সদস্য। ২০০০ সালের উপ নির্বাচনে তিনি নির্দলীয় প্রার্থী হিসাবে সোহাগপুর বিধানসভা আসন থেকে মধ্য প্রদেশ বিধানসভার সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৩ সাল পর্যন্ত তিনি এইপদে নির্বাচিত ছিলেন। উল্লেখ্য ১৯৯৪ সালে ভারতে হিজড়াদের ভোটাধিকার দেওয়া হয়েছিল। তাঁকে সাধারণত মৌসি" বলে সম্বোধন করা হয়, যা একটি হিন্দি বিশেষ্য শব্দ এবং বাংলা শব্দ মাসি বা খালার সমার্থক।[১]
তিনি দৃশ্যত আন্তঃলিঙ্গ বা ইন্টারসেক্স রূপে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং তাঁকে একটি পুরুষবাচক নাম দেওয়া হয়েছিল। তাঁর বাবা ছিলেন ব্রাহ্মণ বর্ণের একজন পুলিশ সুপার, ফলে তিনি নিজের সামাজিক ভাবমূর্তি রক্ষার জন্য জন্মের পরপরই তাঁকে ত্যাগ করেছিলেন। [২]
তিনি মাত্র দু'বছর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছিলেন, তবে বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণসূত্রে তিনি ১২ টির মতো ভাষা শিখেছেন।
শবনম মৌসি মধ্য প্রদেশ রাজ্যের শাহডোল-অনুপপুর জেলার সোহাগপুর আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। বিধানসভার সদস্য হিসাবে তাঁর বিষয়সূচি ছিল যুদ্ধ, দুর্নীতি, বেকারত্ব, দারিদ্র্য ও ক্ষুধা। সেইসাথে রূপান্তরিত লিঙ্গ, খোজা, বেশান্তর ও হিজড়াদের প্রতি বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং এইচআইভি/এইডস সম্পর্কে সচেতনতা ও বক্তব্য উত্থাপনও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
২০০৩ সালে, মধ্য প্রদেশের হিজড়ারা "জিতি জিতায়ি পলিটিক্স" (জেজেপি) নামে একটি নিজস্ব রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেছিল, যার আক্ষরিক অর্থ 'ইতোমধ্যে জিতে থাকা রাজনৈতিক দল'।[৩] মূলধারা থেকে রাজনৈতিক পার্থক্যের রূপরেখার জন্য দলটি আট পৃষ্ঠার ইশতেহার প্রকাশ করেছিল।
২০০৫ সালে তাঁর জীবনী নিয়ে শবনম মৌসি নামে একটি অবাণিজ্যিক চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছিল যা পরিচালনা করেছিলেন যোগেশ ভরদ্বাজ। এতে শবনম মৌসির চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন আশুতোষ রানা।
যদিও তিনি এখন আর সরকারি দফতরে নেই, তবে ভারতের এনজিও এবং লিঙ্গকর্মীদের সাথে এইডস/এইচআইভি বিষয়ক প্রচারণায় সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছেন।