শমসাদ বেগম | |
---|---|
প্রাথমিক তথ্য | |
জন্ম | লাহোর, পাঞ্জাব, ব্রিটিশ ভারত | ১৪ এপ্রিল ১৯১৯
মৃত্যু | ২৩ এপ্রিল ২০১৩ মুম্বাই, মহারাষ্ট্র, ভারত | (বয়স ৯৪)
ধরন | নেপথ্য গায়িকা |
পেশা | সঙ্গীত |
কার্যকাল | ১৯৩৪-১৯৭৫ |
শমসাদ বেগম (গুরুমুখী: شمشاد بیگم; জন্ম: ১৪ এপ্রিল, ১৯১৯ - মৃত্যু: ২৩ এপ্রিল, ২০১৩)[১][২] লাহোরে জন্মগ্রহণকারী বিশিষ্ট ভারতীয় কণ্ঠশিল্পী ছিলেন। তিনি ভারতের হিন্দী চলচ্চিত্র জগতের প্রথমদিকের অন্যতম নেপথ্য-কণ্ঠশিল্পী ছিলেন এবং হিন্দীর পাশাপাশি বাংলা, মারাঠি, গুজরাটি, তামিল ও পাঞ্জাবি ভাষায় ছয় সহস্রাধিক গান গেয়েছেন।[৩]
বৃটিশ ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের (বর্তমান পাকিস্তানে) লাহোরে শমসাদ বেগম জন্মগ্রহণ করেন। মিয়া হোসেন বক্স ছিলেন তার বাবা। ১৯৩২ সালে গণপত লাল বাট্টু নামীয় একজন উকিলকে ভালবাসেন। পারিবারিক বিধি-নিষেধ থাকা সত্ত্বেও ১৫ বছর বয়সে ১৯৩৪ সালে একে-অপরে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন। ঊষা রাত্রা নাম্নী তার এক বড় মেয়ে রয়েছে। ১৯৫৫ সালে দূর্ঘটনায় তার স্বামী মারা যান।[৪] এরপর থেকেই মেয়ে ঊষা ও তার স্বামী লেফট্যানেন্ট কর্নেল যোগেশ রাত্রার সাথে মুম্বাইয়ের পোয়াই এলাকার হীরানন্দী গার্ডেন্সে বসবাস করে আসছিলেন। সম্প্রতি তিনি সেখানেই তার ৮৯তম জন্মদিন পালন করেন।[৫]
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন কালে ১৯২৪ সালে তাঁর অধ্যক্ষ প্রতিভাময়ী হিসেবে তাকে চিহ্নিত করেন। সুন্দর স্বরভঙ্গীমার জন্য শ্রেণীকক্ষের প্রার্থনা সঙ্গীতে তাকে নির্বাচন করা হয়। দশ বছর বয়সে তিনি ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও পারিবারিক বিয়ে-শাদীর অনুষ্ঠানগুলোয় লোকসঙ্গীত পরিবেশন করতে শুরু করেন। শামসাদ বেগমের সঙ্গীতের প্রতি প্রবল ঝোঁক ১৯২৯ সালের দিকে লক্ষ্য করা যায়, যা তার পরিবার মেনে নিতে পারেনি। কাওয়ালী ও গজলের ভক্ত চাচার উৎসাহে ১২ বছর বয়সে জেনোফোন মিউজিক কোম্পানীতে সঙ্গীতজ্ঞ গুলাম হায়দারের পরীক্ষার সম্মুখীন হন তিনি। এক সাক্ষাৎকারে শমসাদ বলেছিলেন যে, “আমি বিখ্যাত কবি ও শাসক বাহাদুর শাহ জাফরের গজল মেরা ইয়ার মুঝে মিলে আগর গাই”। এতে তিনি মুগ্ধ হন ও ১২টি গানে অংশগ্রহণের সুযোগ দেন যা তাকে শীর্ষ গায়িকা হিসেবে গড়ে তুলতে যথেষ্ট সহায়তা করে। চাচা মিয়া হোসেন বক্সকে শমসাদের জন্য অনুমতি আদায় করেন ও কোম্পানীতে চুক্তিবদ্ধ করান। বাবা মিয়া হোসেন বক্স শমসাদকে শর্ত দেন যে, তাকে বুরখা পরিধান করে রেকর্ডের জন্য যেতে হবে ও কোনরূপ ছবি ওঠাতে পারবে না।[৬]
১৯৩৩ সালে বিভিন্ন স্টুডিওতে জনসমক্ষে গান। যখন ১৯৪১ সালে খাজাঞ্চি চলচ্চিত্রে নেপথ্যে গান করেন, তখন তিনি গায়িকা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন। ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৪৭ সালে লাহোর রেডিওতে অংশগ্রহণ করে শ্রোতাদের হৃদয়-মন জয় করেন। কুন্দনলাল সায়গলের ভীষণ ভক্ত-অনুরাগী ছিলেন তিনি।
সঙ্গীত ভূবনে অসামান্য অবদান রাখায় ২০০৯ সালে তিনি পদ্মভূষণ পদক লাভ করেন।[৭]
# মরণোত্তর