শয়নী একাদশী | |
---|---|
আনুষ্ঠানিক নাম | দেবশয়নী আষাঢ়ী একাদশী |
অন্য নাম | মহৈকাদশী |
পালনকারী | হিন্দু (বিশেষত বৈষ্ণব সম্প্রদায়ে) |
ধরন | Hindu |
তাৎপর্য | চতুর্মাস্যের সূচনা |
পালন | উপবাস, বিষ্ণু ও কৃষ্ণের পূজা |
সংঘটন | বার্ষিক |
সম্পর্কিত | প্রবোধিনী একাদশী |
শয়নী একাদশী হল হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী তিথি। এই তিথিটি মহৈকাদশী, প্রথমৈকাদশী, পদ্ম একাদশী, দেবশয়নী একাদশী, দেবপোধি একাদশী বা আষাঢ়ী একাদশী বা আষাঢ়ী নামেও পরিচিত। হিন্দুধর্মের বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের কাছে এই দিনটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এই দিন বিষ্ণু ও লক্ষ্মীর পূজা করা হয়, সারা রাত্রিব্যাপী কীর্তন অনুষ্ঠিত হয়, ভক্তেরা উপবাস করেন এবং চতুর্মাস্য নামক চার মাসব্যাপী ব্রতের সূচনা হয়।[১]
হিন্দু বিশ্বাস অনুসারে, এই দিন বিষ্ণু ক্ষীরসমুদ্রে তার শেষনাগের শয্যায় নিদ্রা যান।[২] এই জন্য এই তিথিটিকে "দেবশয়নী একাদশী" বা "হরিশয়নী একাদশী" বা "শয়নী একাদশী" বলা হয়। চার মাস পর কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী তিথিতে (প্রবোধিনী একাদশী) নিদ্রা থেকে বুত্থিত হন। শয়নী একাদশী থেকে প্রবোধিনী একাদশী পর্যন্ত চার মাস সময়কাল "চতুর্মাস্য" নামে পরিচিত। এটি মূলত বর্ষাকাল। এই দিন ভক্তেরা বিষ্ণুকে তুষ্ট করতে চতুর্মাস্য ব্রত করেন।[৩]