শরণ রানী বাকলিওয়াল | |
---|---|
![]() | |
প্রাথমিক তথ্য | |
জন্মনাম | শরণ রানী মাথুর |
জন্ম | দিল্লি | ৯ এপ্রিল ১৯২৯
মৃত্যু | ৮ এপ্রিল ২০০৮ দিল্লি | (বয়স ৭৮)
ধরন | হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সংগীত |
পেশা | যন্ত্রবাদন, সঙ্গীতবিদ |
বাদ্যযন্ত্র | সরোদ |
শরণ রানী বাকলিওয়াল (৯ এপ্রিল ১৯২৯ – ৮ এপ্রিল ২০০৮) একজন সরোদ বাদক ও সঙ্গীতবিদ ছিলেন।[১][২] পঞ্চাদশ থেকে ঊনবিংশ শতাব্দীর ৩৭৯ টি বাদ্যযন্ত্র তার ব্যক্তিগত সংগ্রহে ছিল। সেগুলো এখন দিল্লিতে অবস্থিত জাতীয় সংগ্রহালয়ের 'শরণ রানী বাকলিওয়াল বাদ্যযন্ত্র গ্যালারি'র অন্তর্গত।[৩]
১৯২৯ সালের এপ্রিল মাসের ৯ তারিখে পুরানো দিল্লিতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। জন্মের পর তার নাম রাখা হয় শরণ রানী মাথুর। তিনি জন্মেছিলেন এক রক্ষণশীল হিন্দু পরিবারে।[৩] ছোটবেলায় ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ ও তার পুত্র ওস্তাদ আলী আকবর খানের কাছ থেকে সরোদ বাজানো শিখেন তিনি।
রক্ষণশীল পরিবারে জন্মগ্রহণ করা সত্ত্বেও তিনি সংগীতচর্চা অব্যাহত রাখেন। আমরা এমন সময়ের কথা বলছি যখন সংগীতচর্চাকে পেশা হিসেবে গ্রহণকে বাইজিদের কাজ হিসেবে ধরা হত। তিনি সংগীতের পাশাপাশি ভারতীয় ধ্রুপদী নৃত্যের একটি ধারা কত্থকনৃত্য এবং মণিপুরি নৃত্যও শিখেছিলেন।[৪] সাংস্কৃতিক জীবনের পাশাপাশি লেখাপড়াও চালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তিনি ১৯৫৩ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাস করেছিলেন।
ত্রিশের দশকের শেষ থেকে পরবর্তী সাত দশক ভারতের বিভিন্ন স্থানে সরোদ বাজিয়েছেন শরণ রানী বাকলিওয়াল। তিনি জাতিসংঘভুক্ত সংস্থা ইউনেস্কোর জন্য বাজিয়েছিলেন। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্সের নামি দামি রেকর্ডিং কোম্পানিতে তার সরোদ বাজানো রেকর্ড করা হয়েছে। পণ্ডিত জওহরলাল নেহ্রু তাকে 'ভারতের সাংস্কৃতিক দূত' বলে অভিহিত করেছিলেন।[৫] তিনি দূরদর্শন ও আকাশবাণীর প্রথম দিককার শিল্পী ছিলেন।
শরণ রানী বাকলিওয়াল দ্য ডিভাইন সরোদ: ইটস অরিজিন অ্যান্টিকুইটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট শিরোনামে সরোদের ইতিহাস নিয়ে একটি বই লেখেন।[৬] ১৯৯২ সালে ভারতের তৎকালীন উপরাষ্ট্রপতি কে. আর. নারায়ণন কর্তৃক বইটির মোড়ক উন্মোচিত হয়।[৩] ২০০৮ সালে বইটির দ্বিতীয় সংস্করণের মোড়ক উন্মোচিত হয় ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী আই কে গুজরাল কর্তৃক। এর বাইরে তিনি সংগীতবিষয়ক বিভিন্ন নিবন্ধও লিখেছেন।
তার বাসায় থেকে বহু শিক্ষার্থী তার কাছ থেকে শিক্ষালাভ করত। তিনি গুরু-শিষ্য প্রথায় বিশ্বাসী ছিলেন ও তাদের কাছ থেকে অর্থ গ্রহণ করতেন না। শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে তার বাসায় থাকার সুযোগ পেত।
তিনি তার সংগৃহীত বাদ্যযন্ত্র দিল্লিতে অবস্থিত জাতীয় জাদুঘরকে দান করেন। তার দানকৃত বাদ্যযন্ত্রগুলো নিয়ে গড়ে উঠেছে 'শরণ রানী বাকলিওয়াল গ্যালারি।
তিনি দেশের বিভিন্ন রাজ্য ঘুরে ঘুরে পঞ্চদশ থেক্র ঊনবিংশ শতাব্দীর বহু বাদ্যযন্ত্র সংগ্রহ করেছেন। এসব বাদ্যযন্ত্রের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:[৭]
১৯৬০ সালে তিনি সুলতান সিং বাকলিওয়ালের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৭৪ সালে রাধিকা নারায়ণ নামে তাদের এক কন্যার জন্ম হ[৩]
ক্যান্সারের সাথে দীর্ঘদিন লড়াইয়ের পর ২০০৮ সালের ৮ এপ্রিল তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
২০০৪ সালে ভারত সরকার তাকে 'জাতীয় শিল্পী' হিসেবে ঘোষণা করে। তিনিই প্রথম মহিলা বাদ্যযন্ত্রী, যিনি এমন খেতাব অর্জন করেন।
তার প্রাপ্ত অন্যান্য পুরস্কার ও সম্মাননা গুলো হল: