ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | শরণদীপ সিং | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ২১ অক্টোবর, ১৯৭৯ অমৃতসর, পাঞ্জাব, ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার, দল নির্বাচক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২৩৩) | ২৫ নভেম্বর ২০০০ বনাম জিম্বাবুয়ে | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১১ এপ্রিল ২০০২ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১৪৩) | ৩১ জানুয়ারি ২০০২ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১৮ এপ্রিল ২০০৩ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৫ অক্টোবর ২০২০ |
শরণদীপ সিং (মারাঠি: शरणदीपसिंग; জন্ম: ২১ অক্টোবর, ১৯৭৯) পাঞ্জাবের অমৃতসর এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০০-এর দশকের সূচনালগ্নে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
;ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে দিল্লি ও পাঞ্জাব দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি অফ ব্রেক বোলার ছিলেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন তিনি।
১৯৯৮-৯৯ মৌসুম থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত শরণদীপ সিংয়ের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ১৯৯৮-৯৯ মৌসুমে অমৃতসরে খেলোয়াড়ী জীবন শুরু করেন। এ পর্যায়ে তিনি পাঞ্জাবের পক্ষে খেলেন। অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ের ক্রিকেটে অংশগ্রহণ শেষে ঐ বছরের শেষদিকে পাঞ্জাব দলে যোগ দেন। দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের পক্ষে খেলেছেন তিনি।
১৯৯৮-৯৯ মৌসুমে অমৃতসরে হরিয়াণার বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। কিশোরদের ক্রিকেটে ব্যাটিং করতেন। এ ধারা প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটেও অব্যাহত রেখে ৪৫ রান সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। ঐ খেলায় তিনি কোন উইকেট লাভে সক্ষমতা দেখাতে পারেননি। সুপার লীগে হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে দূর্দান্ত স্পেল করেন। এরফলে, ক্রিকেটবোদ্ধারা নড়েচড়ে বসেন ও নতুন করে ভাবতে থাকেন। খেলায় তিনি পাঞ্জাবের পক্ষে আট উইকেট পান। মামুলী ১৭৬ রানের লক্ষ্যমাত্রায় ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় জয়ের সন্ধান পায়নি তার দল। ঐ মৌসুম শেষ হবার পূর্বেই শ্রীলঙ্কা সফরে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সদস্যরূপে খেলার জন্যে মনোনীত হন।
১৯৯৯-২০০০ মৌসুমের রঞ্জী ট্রফি প্রতিযোগিতায় ১৯.৪৩ গড়ে ৩৭ উইকেট লাভ করেন। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে নিজস্ব দ্বিতীয় মৌসুমে তার এ সাফল্যে জাতীয় দল নির্বাচকমণ্ডলীর দৃষ্টি আকর্ষিত হয় তার প্রতি। ফলশ্রুতিতে, মে, ২০০০ সালে বেঙ্গালুরুভিত্তিক ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমিতে প্রথম পর্যায়ে তাকে মনোনীত করা হয়। ইরাপল্লী প্রসন্ন ও শ্রীনিবাসরাঘবন ভেঙ্কটরাঘবনের ন্যায় বিখ্যাত ক্রিকেটারদের ছত্রচ্ছায়ায় চার মাসের প্রশিক্ষণ লাভের সুযোগ হয় তার।
২০০৬-০৭ মৌসুমে দিল্লি দল ত্যাগ করে হিমাচলপ্রদেশের সদস্য হন। ঐ দলে স্পিনারের ঘাটতি মোকাবেলা করেন। ২২.২৮ গড়ে ২৮ উইকেট লাভ করেন তিনি। এ দায়িত্বে থাকাকালে তিনি নিজেকে উজাড় করে দেন ও পূর্বের তুলনায় আরও স্বাভাবিক খেলা উপহারে সচেষ্ট ছিলেন।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনটিমাত্র টেস্টে ও পাঁচটিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন শরণদীপ সিং। ২৫ নভেম্বর, ২০০০ তারিখে নাগপুরে সফরকারী জিম্বাবুয়ে দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১১ এপ্রিল, ২০০২ তারিখে জর্জটাউনে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
অভিষেক টেস্টের পূর্বে গত ছয় মাসে ভারত দলে শুধুই অফ স্পিনার হিসেবে কোন বোলারকে রাখা হয়নি। নাগপুরে অনুষ্ঠিত তিনি তার প্রথম টেস্টে ছয় উইকেট পান। জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ১৪৫ থাকা অবস্থায় শরণদীপকে বোলিং আক্রমণে নিয়ে আসা হয়। পরপর চারটি মেইডেন ওভার দেন। এরপর, দশ বলের ব্যবধানে দুইজন খেলোয়াড়কে বিদেয় করেন। বলকে বাঁক খাওয়াতে থাকেন ও চারদিকে ফিল্ডার দিয়ে আবদ্ধ করে রাখেন। ঐ খেলায় তিনি ছয় উইকেট পেয়েছিলেন।
২০০১ সালের ঘরোয়া ক্রিকেটে দূর্দান্ত খেলেন। এরফলে, বেঙ্গালুরুতে সফররত ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট খেলায় তাকে দলে রাখা হয়। এরপর, এপ্রিল, ২০০২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলেন। কিন্তু, বিশাল রান সংগ্রহের ঐ খেলায় তিনি ৮০ রান খরচায় মাত্র এক উইকেট পান। এরপর, তাকে আরও তিনটি ওডিআইয়ে রাখা হয়।
ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর প্রশাসনের দিকে ঝুঁকে পড়েন। বর্তমানে তিনি জাতীয় ক্রিকেট দল নির্বাচকমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য।[১]