ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | শরণ্যা সদারঙ্গানি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | বেঙ্গালুরু, ভারত | ৩ জুলাই ১৯৯৫|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডান-হাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি স্পিন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | উইকেট-রক্ষক-ব্যাটার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টি২০আই অভিষেক (ক্যাপ ১৭) | ১২ই আগস্ট ২০২০ বনাম অস্ট্রিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টি২০আই | ৩রা জুলাই ২০২২ বনাম নামিবিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৪ | এসেক্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: Cricinfo, ১৮ই নভেম্বর ২০২২ |
শরণ্যা "শরু" সদারঙ্গানি (জন্ম ৩রা জুলাই ১৯৯৫) হলেন একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ক্রিকেটার, যিনি জার্মানির মহিলা জাতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে উইকেট-রক্ষক-ব্যাটার এবং কখনও কখনও বোলার হিসাবে খেলেন। এর আগে, তিনি ডেনমার্কের হয়ে আন্তর্জাতিকভাবে এবং এসেক্সের হয়ে ইংলিশ কাউন্টি ক্রিকেটে খেলেছেন। ২০২০ সালে, তিনি ইউরোপীয় ক্রিকেট সিরিজে খেলা প্রথম মহিলা ক্রিকেটার ছিলেন।[১][২][৩]
ভারতের বেঙ্গালুরুতে সদারঙ্গানি ছোটবেলায় ক্রিকেট খেলা শুরু করেন।[৩] প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ার সময়, তিনি ছিলেন একমাত্র মেয়ে যিনি ছেলেদের ক্রিকেট দলে খেলেছিলেন এবং এটি করার জন্য জাতীয় সমিতি থেকে বিশেষ অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন হয়েছিল।[৪] তিনি ছিলেন একজন প্রতিভাধর শিশু, তিনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে থাকাকালীন সৃজনশীলভাবে জটিল, উপন্যাস-দৈর্ঘ্যের গল্প লেখার দক্ষতা অর্জন করেছিলেন। তিনি কর্ণাটক ইনস্টিটিউট অফ ক্রিকেটের (কেআইওসি) প্রশিক্ষণ থেকেও উপকৃত হন এবং পরবর্তীতে ভারতীয় মহিলা দলের ক্রিকেটার বেদা কৃষ্ণমূর্তির তত্ত্বাবধানে কয়েকটি ম্যাচ সহ অনূর্ধ্ব-১৬ এবং অনূর্ধ্ব-১৯ কর্ণাটক মহিলা ক্রিকেট দলের হয়ে বেশ কয়েকবার খেলেছেন।[৩]
বেঙ্গালুরুর জৈন কলেজে প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রি শেষ করার পর, সদারঙ্গানি লিবারেল আর্টসে স্নাতক ডিগ্রির জন্য পড়াশোনা করতে ইংল্যান্ডের এসেক্সে চলে যান। সেখানে তিনি এসেক্স মহিলা ক্রিকেট দলের হয়েও খেলেছেন। কয়েক বছর পরে, তিনি আরেকটি শিক্ষাগত ডিগ্রি অর্জনের জন্য জার্মানিতে যান।[৩] সেখানে তিনি ইংরেজি শেখানো এবং তরুণ ক্রিকেটারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেন।[১] তিনি জার্মানির প্রতিবেশী দেশ ডেনমার্কের একটি ক্লাব দলের হয়েও খেলা শুরু করেন।[১]
২০১৭ সালের জুনে, ডেনমার্ক জাতীয় দলের স্কোয়াডে নির্বাচিত হন সদারঙ্গানি।[৫] দুই মাস পরে, ২০১৭ সালের আগস্টে, তিনি বেলজিয়ামের এন্টওয়ার্পে ইউরোপীয় মহিলাদের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে ডেনমার্কের হয়ে উইকেট-রক্ষক-ব্যাটার হিসেবে খেলেন।[৬]
২০২০ সালের ১২ই আগস্ট তারিখে, ভিয়েনার কাছে জিবার্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত জার্মানি এবং অস্ট্রিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সিরিজের প্রথম ম্যাচে, সদারঙ্গানি জার্মানির হয়ে আত্মপ্রকাশ করেন এবং এছাড়াও একজন বিশেষজ্ঞ ব্যাটার হিসাবে মহিলাদের টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিকে (মহিলাটিটোয়েন্টি) তাঁর অভিষেক হয়। ২০২০ সালের ১৩ই আগস্ট অনুষ্ঠিত সেই সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে, তিনি জার্মানির হয়ে সর্বোচ্চ ২৫* (নট আউট) স্কোর করেছিলেন, এবং মহিলাটি-টোয়েন্টিতে প্রথমবারের মতো উইকেটও আগলে ছিলেন।[৭]
২০২১ সালের ৮ই জুলাই তারিখে, ক্রেফেল্ডের বায়ার উয়ারডিংগ্ন ক্রিকেট মাঠে জার্মানি এবং ফ্রান্সের মধ্যে আরেকটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজের প্রথম ম্যাচে একটি মহিলাটি-টোয়েন্টিতে প্রথমবারের মতো বোলিং করেন সদারঙ্গানি। তাঁর দলের পক্ষে সেরা বোলিংয়ের পরিসংখ্যানও তাঁরই ছিল, ১০ রানে ২ উইকেট। ২০২১ সালের ১০ই জুলাইতে খেলা সেই সিরিজের পঞ্চম এবং শেষ ম্যাচে, তিনি একজন বোলার হিসাবে আরও বেশি সফল হয়েছিলেন, তাঁর পরিসংখ্যান ছিল ৬ রানে ২ উইকেট।[৭] পরের মাসে, তিনি ২০২১ আইসিসি মহিলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইউরোপ বাছাইপর্বে জার্মানির হয়ে চারটি ম্যাচ খেলেন।[৮]
সদারঙ্গানি জার্মানিতে ইংরেজির শিক্ষক হিসেবে তিন বছর কাজ করেছেন এবং এখন জাতীয় সমিতির জন্য জনসংযোগের কাজ করছেন। জার্মানিতে যাওয়ার পর তাঁর স্বামী ফিনের সাথে তাঁর দেখা হয়েছিল; তাঁরা হামবুর্গের শহরতলী সাসেলে বাস করেন।[৪]