শাজারাতুদ দুর

শাজারাতুদ দুর
শাজারাতুদ দুররের দিনার মুদ্রা
মিশরের সুলতান
রাজত্ব২ মে – ৩০ জুলাই ১২৫০
পূর্বসূরিমুয়াযযাম তুরানশাহ
উত্তরসূরিইযযুদ্দিন আইবাক
মিশরের শাসক
রাজত্ব২১ নভেম্বর ১২৪৯ – ২৭ ফেব্রুয়ারি ১২৫০[]
জন্মঅজ্ঞাত
মৃত্যু২৮ এপ্রিল ১২৫৭(১২৫৭-০৪-২৮)
কায়রো
সমাধি
কায়রো
দাম্পত্য সঙ্গীসালিহ আইয়ুব (মৃ. ১২৪৯)
ইযযুদ্দিন আইবাক
(বি. ১২৫০; মৃ. ১২৫৭)
বংশধরখলিল
পূর্ণ নাম
মালিকা আসমাতুদ্দিন উম্মে খলিল শাজারাতুদ দুর
ধর্মসুন্নি ইসলাম

শাজারাতুদ দুর (আরবি: شجرة الدر, অনুবাদ'মুক্তা বৃক্ষ'[]) বা শাজারুদ দুর (شجر الدر)[] ছিলেন মুসলিম যুগের মিশরের নারী শাসক। তিনি মালিকা আসমাতুদ্দিন উম্মে খলিল শাজারাতুদ দুর (الملكة عصمة الدين أم خليل شجر الدر; তার উপনাম ছিল أم خليل উম্মে খলিল, 'খলিলের মাতা';[] মৃত্যু: ২৮ এপ্রিল ১২৫৭) নামধারণ করে সিংহাসনে আরোহণ করেন। তিনি ধারাবাহিকভাবে সালিহ আইয়ুবইযযুদ্দিন আইবাকের স্ত্রী ছিলেন। তাকে কেউ কেউ বাহরি মামলুক রাজবংশের প্রথম সুলতান হিসেবে গণ্য করেন। আইয়ুবের সাথে বিয়ের পূর্বে তিনি একজন ক্রীতদাসী ও আইয়ুবের উপপত্নী ছিলেন।[]

রাজনীতির ময়দানে শাজারাতুদ দুর মিশরের বিরুদ্ধে পরিচালিত সপ্তম ক্রুসেডের সময় (১২৪৯ - ১২৫০ খ্রিস্টাব্দ) তার প্রথম স্বামীর মৃত্যুর পরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। ১২৫০ সালের ২ মে তিনি মিশরের সুলতানা হন। যা আইয়ুবীয় রাজত্বের সমাপ্তি এবং মামলুক যুগের সূচনা করে।[] শাজারাতুদ দুররের বংশগত উদ্ভব সম্পর্কে বেশ কয়েকটি তত্ত্ব রয়েছে। অনেক মুসলিম ইতিহাসবিদ বিশ্বাস করতেন যে তিনি বেদুইন, সার্কাসীয়, গ্রীক বা তুর্কি বংশোদ্ভূত ছিলেন। আবার কেউ কেউ বিশ্বাস করতেন যে, তিনি আর্মেনীয় বংশোদ্ভূত ছিলেন।[][১২]

উপাধি

[সম্পাদনা]

কিছু উৎসে শাজারাতুদ দুররের সুলতানা (سلطانة, sulṭānah) উপাধি ধারণ করার ব্যাপারে পাওয়া যায়। সুলতানা শব্দটি সুলতান শব্দের স্ত্রীবাচক।[১৩] যাইহোক, ঐতিহাসিক সূত্রে (বিশেষ করে ইবনে ওয়াসিল) এবং শাজারাতুদ দুররের একমাত্র বিদ্যমান থাকা মুদ্রায় তাকে "সুলতান" হিসাবে নামকরণ করা হয়েছে।[১৪]

পটভূমি

[সম্পাদনা]

শাজারাতুদ দুর ছিলেন আর্মেনীয়[১৫] বা তুর্কি[] বংশের। ইতিহাসে তাকে সুন্দরী, ধার্মিক ও বুদ্ধিমতী নারী হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।[১০] সুলতান হবার পূর্বে সালিহ আইয়ুব তাকে শাম থেকে ক্রীতদাসী হিসেবে ক্রয় করেন।[১৬] শামে আইয়ুব সুলতান হওয়ার আগে এবং ১২৩৯ সালে সেখানে বন্দী হওয়ার সময় তিনি এবং মামলুক বাইবার্স[] কারাকে গিয়েছিলেন।[১০][১৭][১৮][১৯][] পরে যখন সালিহ আইয়ুব ১২৪০ সালে সুলতান হন তখন তিনি তার সাথে মিশরে যান এবং তাদের পুত্র খলিলের জন্ম দেন যাকে মালিকুল মানসুর বলা হত।[১০][২১][২২] এই জন্মের কিছুকাল পরেই আইয়ুব শাজারাতুদ দুরকে বিয়ে করেন।[]

১২৪৯ সালের এপ্রিল সালিহ আইয়ুব সিরিয়ায় গুরুতরভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাই তিনি মিশরে ফেরার পথে দমইয়াতের কাছাকাছি আশমুম তানাহে পৌঁছেন।[২৪][] তখন তিনি ফ্রান্সের নবম লুই কর্তৃক সাইপ্রাসে ক্রুসেডার বাহিনী একত্রিত করার ও মিশরে আক্রমণের প্রস্তুতি গ্রহণ করার সংবাদ পান।[] ১২৪৯ সালের জুনে ক্রুসেডাররা নীলনদের মুখে দমইয়াতের পরিত্যক্ত শহরে অবতরণ করে।[][] সালিহ আইয়ুবকে একটি স্ট্রেচারে করে মানসুরাহ শহরে তার প্রাসাদে নিয়ে যাওয়া হয় যেখানে তিনি প্রায় ১০ বছর মিশর শাসন করার পর ২২ নভেম্বর ১২৪৯ সালে মারা যান।[৩০][৩১][৩২] শাজারাতুদ দুর, আমির ফখরুদ্দিন ইবনুশ শাইখ (মিশরীয় সেনাবাহিনীর প্রধান কমান্ডার) এবং তাওয়াশি জামালুদ্দিন মুহসিনকে (রাজপ্রাসাদ নিয়ন্ত্রণকারী প্রধান নপুংসক) সুলতানের মৃত্যুর কথা জানান, কিন্তু দেশটি ক্রুসেডারদের আক্রমণের মুখে ছিল। তাই তারা তার মৃত্যু গোপন করার সিদ্ধান্ত নেন।[৩৩] সুলতানের কফিনবন্দী দেহটি গোপনে নৌকায় করে নীলনদের রুদাহ দ্বীপের দুর্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।[৩৪][] যদিও মৃত সুলতান তার মৃত্যুর পর কার উত্তরাধিকারী হবেন সে বিষয়ে কোনো সাক্ষ্য রাখেননি,[৩৭] ফারিসুদ্দিন আকতাইকে মৃত সুলতানের ছেলে মুয়াযযাম তুরানশাহকে ডাকার জন্য হাসানকেফে পাঠানো হয়েছিল।[৩৮][] প্রত্যক্ষদর্শী পর্যবেক্ষক, যারা সুলতানের মৃত্যুর সময় জীবিত ছিলেন এবং মিশরে ছিলেন তারা বলেছেন যে- নথিগুলি একজন ভৃত্য দ্বারা জাল করা হয়েছিল; যে সুলতানের হাতের লেখা নকল করতে পারত।[] আমির ফখরুদ্দিন ডিক্রি জারি এবং রাজকীয় আদেশ প্রদান করতে শুরু করেন[] এবং উপদেষ্টাদের এই ছোট বৃত্ত জনগণ এবং অন্যান্য সরকারী কর্মকর্তাদের বোঝাতে সফল হন যে সুলতান মৃত নন, বরঞ্চ অসুস্থ। শাজারাতুদ দুর সুলতানের জন্য খাবার প্রস্তুত করে তার তাঁবুতে নিয়ে যেতে থাকেন।[৪০] উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, সুলতানের মামলুক এবং সৈন্যদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল - "অসুস্থ" সুলতানের ইচ্ছায় - সুলতান, তার উত্তরাধিকারী তুরানশাহ[১০][] এবং প্রধান সেনানায়ক আতাবেগ[] ফখরুদ্দিন ইউসুফের[৩৩] প্রতি আনুগত্যের শপথ নিতে।

সপ্তম ক্রুসেডে বিজয়

[সম্পাদনা]
নবম লুই এগুয়েস-মর্তেস থেকে সপ্তম ক্রুসেডের জন্য একটি জাহাজে করে রওয়ানা শুরু করছেন।

সালিহ আইয়ুবের মৃত্যুর খবর দমইয়াতে ক্রুসেডারদের কাছে পৌঁছায়[৪১][] আর রাজা নবম লুইয়ের ভাই আলফানসু, কাউন্ট অব পোইতুর নেতৃত্বে সৈন্যশক্তি আগমনের কারণে তারা কায়রোর দিকে অগ্রসর হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। নবম লুইয়ের অপর ভাই আর্টোইসের রবার্ট প্রথমের নেতৃত্বে একটি ক্রুসেডার বাহিনী আশমুমের খাল (বর্তমানে বাহরে সগির নামে পরিচিত) অতিক্রম করে এবং মানসুরাহ থেকে দুই মাইল (৩ কিলোমিটার) দূরে গিদিলায় মিশরীয় ক্যাম্পে আক্রমণ করে। আকস্মিক আক্রমণে আমির ফখরুদ্দিন নিহত হন এবং ক্রুসেডার বাহিনী মানসুরাহ শহরের দিকে অগ্রসর হয়। শাজারাতুদ দুর মানসুরাহ রক্ষার জন্য বাইবার্সের পরিকল্পনায় সম্মত হন।[৪৪] মিশরীয় সেনাবাহিনীর কৌশলে ক্রুসেডার বাহিনী শহরের ভিতরে আটকা পড়েছিল, সৈন্যদল ও শহরের জনগণ আর্টোইসের রবার্টকে হত্যা করেছিল এবং ক্রুসেডার বাহিনীকে ধ্বংস করেছিল।[] এর দ্বারা তারা কয়েক দশক ধরে দক্ষিণ ভূমধ্যসাগরে আধিপত্য বিস্তারকারী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চলেছিলেন। তাদের নেতৃত্বে ছিলেন: বাইবার্স বুন্দুকদারি, ইযযুদ্দিন আইবাক এবং কালাউন আলফি[]

১২৫০ সালের ফেব্রুয়ারিতে মৃত সুলতানের পুত্র মুয়াযযাম তুরানশাহ মিশরে আসেন এবং সালিহিয়ায় সিংহাসনে বসেন।[][] কারণ, তার কায়রো যাওয়ার সময় ছিল না। তার আগমনের সাথে সাথে শাজারাতুদ দুর সালিহ আইয়ুবের মৃত্যুর ঘোষণা দেন। তুরানশাহ সরাসরি মানসুরাতে চলে যান[৪৯] এবং ৬ এপ্রিল ১২৫০ ফারিসকুরের যুদ্ধে ক্রুসেডাররা সম্পূর্ণভাবে পরাজিত হয় আর রাজা নবম লুই বন্দী হন।

তুরান শাহের সাথে বিরোধ

[সম্পাদনা]

সপ্তম ক্রুসেডে পরাজিত হবার পর নবম লুই বন্দী হন আর আইয়ুবীয়রা বিজয়ী হয়। কিন্তু তুরানশাহ আর শাজারাতুদ দুররের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। এসময়ে মামলুকরা শাজারাতুদ দুররের পক্ষ নেয়। তুরানশাহ জানতেন যে, শাজারাতুদ দুর আর তার মৃত বাবার মামলুকরা তার সাথে থাকলে তিনি পূর্ণ ক্ষমতা পাবেননা। তাই তিনি পুরাতন অফিসারদের বাদ দিয়ে নতুন অফিসার নিয়োগ দিতে শুরু করেন। এমনকি তিনি নায়েবে সুলতানকেও পরিবর্তন করেন[] আর হিসনে কাইফা থেকে আনীত নিজের অনুগামীকে নায়েব হিসেবে নিয়োগ দেন।[৫১] তিনি তারপর জেরুসালেমে অবস্থান করা[১০] শাজারাতুদ দুরকে সতর্ক করে বার্তা প্রেরণ করেন আর তার মৃত পিতার সম্পত্তি ও স্বর্ণ-কড়ি তার কাছে ফেরত দিতে অনুরোধ করেন।[১০] অনুরোধটি আর পাশাপাশি তুরানশাহের বার্তার ভাষা শাজারাতুদ দুরকে রাগান্বিত করে। তিনি বিষয়টি মামলুকদের কাছে তুলে ধরেন। আর তুরানশাহের ধমকি আর অকৃতজ্ঞতার[] কারণে মামলুকরা (বিশেষতঃ ফারিসুদ্দিন আকতাই) রাগান্বিত হন।[] পাশাপাশি তুরানশাহ মদ্যপান করতেন। তিনি মদ্যপ অবস্থায় তার পিতার মুক্ত দাসদের গালাগাল করেন আর মামলুকদের হুমকি দেন।[] তুরানশাহ ফারিসকুরে ২রা মে ১২৫০ সালে বাইবার্স ও একদল মামলুকের হাতে নিহত হন। তিনিই সর্বশেষ আইয়ুবীয় সুলতান ছিলেন।[৫৩][]

ক্ষমতায় উত্থান

[সম্পাদনা]
১৯৬৬ সালের একটি স্কেচ যাতে শাজারাতুদ দুরকে অঙ্কন করা হয়েছে।

তুরানশাহকে হত্যার পর মামলুক ও আমিররা সুলতানীয় দেহলিজে[] সাক্ষাত করেন এবং শাজারাতুদ দুরকে সিংহাসনে বসানোর সিদ্ধান্ত নেন। পাশাপাশি ইযযুদ্দিন আইবাককে আতাবেগ (কমান্ডার ইন চিফ) হিসেবে গ্রহণ করা হয়। শাজারাতুদ দুর কায়রোর পাহাড়ের দুর্গে[] থাকাকালীন এই সংবাদ পান এবং দায়িত্ব নিতে সম্মত হন।[৫৪] শাজারাতুদ দুর রাজকীয় নাম "মালিকা ইসমাতুদ্দিন উম্মে খলিল শাজারুদ্দুর" গ্রহণ করেন। পাশাপাশি আরো কিছু উপাধিও নেন, যেমন- মালিকাতুল মুসলিমিন (মুসলিমদের রানী) এবং ওয়ালিদাতুল মালিকুল মানসুর আমিরুল মুমিনিন (মুমিনদের আমির ও মালিকুল মানসুর খলিলের মাতা)। তিনি তার নাম জুমার নামাজের খুতবায় জারি করেন। সেখানে তার নামের সাথে "উম্মুল মালিকুল খলিল" (মালিক খলিলের মাতা) এবং "সাহিবাতুল মালিকুস সালিহ" (মালিকুস সালিহের স্ত্রী) উপাধি যুক্ত করা হয়। তার নামে মুদ্রাও মুদ্রিত হয় আর তিনি ডিক্রি জারি করতে "ওয়ালিদাতুল খলিল" নামে স্বাক্ষর করেন।[১৬][৫৫] তার প্রয়াত স্বামী এবং তার মৃত পুত্রের নাম ব্যবহার করে সালতানাতের উত্তরাধিকারী হিসেবে তার রাজত্বের জন্য সম্মান ও বৈধতা অর্জনের চেষ্টা করেছিলেন।

শাজারাতুদ দুররের প্রতি রাজকীয় কর প্রেরণ করার পর আমির হুসামুদ্দিনকে রাজা নবম লুইয়ের নিকট প্রেরণ করা হয়। নবম লুই তখনও মানসুরাতে কয়েদ ছিলেন। তারপর তারা এই বিষয়ে সম্মত হন যে, আগেরবার নবম লুইয়ের উপর আরোপিত মুক্তিপণের অর্ধেক পরিশোধ করার পর এবং তার জীবনের বিনিময়ে দমইয়াত সমর্পণ করলে তাকে মুক্ত করে দেওয়া হবে।[৫৬] লুই দমইয়াত সমর্পণ করেন এবং ৮ মে ১২৫০-এ প্রায় ১২,০০০ মুক্ত যুদ্ধবন্দীর সাথে আক্কায় যাত্রা করেন।[]

আইয়ুবীয়দের সাথে বিরোধ

[সম্পাদনা]

মুয়াযযাম তুরানশাহকে হত্যার সংবাদ এবং শাজারাতুদ দুররের নতুন সুলতানা হিসেবে সংবাদ সিরিয়ায় পৌঁছল। সিরীয় আমিরদেরকে শাজারাতুদ দুররের প্রতি আনুগত্য ও রাজকীয় কর প্রেরণ করার আদেশ দেয়া হলে তারা অস্বীকার করেন। আর কারাকে থাকা তুরানশাহের নায়েব কায়রোর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন।[৫৭] সিরীয় আমিররা মিশরীয় আইয়ুবীয় ক্ষমতা পুনরুদ্ধার করতে আলেপ্পোর আইয়ুবীয় আমির নাসির ইউসুফকে দামেস্কের ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।[৫৮] সিরিয়ার আইয়ুবীয়দের পাশাপাশি, বাগদাদের আব্বাসীয় খলিফা মুসতাসিমও মিশরে মামলুকের পদক্ষেপকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এবং শাজারাতুদ দুরকে সুলতান হিসাবে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করেছিলেন।[] শাজারাতুদ দুরকে নতুন সুলতানা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে খলিফার প্রত্যাখ্যান মিশরের মামলুকদের জন্য একটি বড় ধাক্কা ছিল। কারণ, আইয়ুবীয় যুগের প্রথা ছিল যে সুলতান শুধুমাত্র আব্বাসীয় খলিফার স্বীকৃতির মাধ্যমে বৈধতা পেতে পারেন।[][]মামলুকরা তখন ইযযুদ্দিন আইবাককে নতুন সুলতান হিসেবে অধিষ্ঠিত করার সিদ্ধান্ত নেয়। তিনি শাজারাতুদ দুরকে বিয়ে করে। শাজারাতুদ দুর তিন মাসের মত সময় সুলতানা হিসেবে মিশর শাসন করার পর সিংহাসন ত্যাগ করে আইবাকের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।[৬১] সুলতানা হিসেবে শাজারাতুদ দুররের শাসনের সময়কাল স্বল্প মেয়াদের হলেও এটি ইতিহাসে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সাক্ষী ছিল: প্রথমত মিশর থেকে নবম লুইয়ের বহিষ্কার, যা দক্ষিণ ভূমধ্যসাগরীয় অববাহিকা জয় করার জন্য ক্রুসেডারদের উচ্চাকাঙ্ক্ষার সমাপ্তি ঘটায়। দ্বিতীয়তঃ আইয়ুবী রাজবংশের সমাপ্তি এবং মামলুক রাজ্যের উত্থান যা দক্ষিণ ভূমধ্যসাগর অঞ্চল কয়েক শতক ধরে আধিপত্য বিস্তার করেছিল।

খলিফাকে খুশি করতে এবং তার স্বীকৃতি নিশ্চিত করার জন্য, আইবাক ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি বাগদাদের আব্বাসীয় খলিফার একজন প্রতিনিধি মাত্র।[][৬২] সিরীয় আইয়ুবীয়দের শান্ত করতে তিনি আইয়ুবীয় শিশু আশরাফ মুসাকে সহ-সুলতান হিসেবে নির্বাচন করেন।[][ড়]কিন্তু এটি আইয়ুবীয়দের শান্ত করেনি। তাই আইয়ুবীয় ও মামলুকদের মধ্যে সশস্ত্র যুদ্ধ শুরু হয়।[ঢ়] বাগদাদের খলিফা তখন মঙ্গোলদের সাথে ব্যস্ত ছিলেন যারা তার রাজধানীর কাছাকাছি অঞ্চলগুলিতে অভিযান চালাচ্ছিল। তাই তিনি মিশরের মামলুক এবং সিরিয়ার আইয়ুবীয়দের মধ্যে বিষয়টি শান্তিপূর্ণভাবে মীমাংসা করতে পছন্দ করেছিলেন। রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর খলিফার আলোচনা এবং মধ্যস্থতার মাধ্যমে, সামরিক শ্রেষ্ঠত্ব প্রদর্শন করা মামলুকরা[য়] আইয়ুবীয়দের সাথে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছিল যা তাদের গাজা এবং জেরুসালেম এবং সিরিয়ার উপকূলসহ দক্ষিণ ফিলিস্তিনের নিয়ন্ত্রণ দেয়।[৬৬][৬৭] এই চুক্তির মাধ্যমে মামলুকরা নিজেদের দখলে থাকা অঞ্চলগুলো ছাড়াও নতুন রাষ্ট্রের স্বীকৃত অধিকার পেয়েছিল। সিরীয় আইয়ুবীয়দের সাথে সংঘাতের পাশাপশি মামলুকরা মধ্য ও উচ্চ মিশরের কয়েকটি বড় ধরনের বিদ্রোহ সফলভাবে দমন করে।[] তারপর আইবাক সালিহিয়া মামলুকদের ক্রমবর্ধমান শক্তির ভয়ে, যারা শাজারাতুদ দুররের সাথে তাকে সুলতান হিসাবে অধিষ্ঠিত করেছিলেন; তাদের নেতা ফারিসুদ্দিন আকতাইকে হত্যা করেছিলেন। আকতাই হত্যার পর তাৎক্ষণিকভাবে সিরিয়ায় মামলুক যাত্রা শুরু হয় যেখানে তারা আইয়ুবীয় সুলতান নাসির ইউসুফের সাথে যোগ দেয়।[৬৫] বাইবার্স বুন্দুকদারি এবং কালাউন আলফির মতো বিশিষ্ট মামলুকরা সিরিয়ায় পালিয়ে যাওয়া মামলুকদের মধ্যে ছিলেন।[কক] শাজারাতুদ দুররের সমর্থক সালিহিয়া মামলুকদের[কখ] চলে যাওয়ার পরে আইবাক মিশরের একচ্ছত্র এবং নিরঙ্কুশ শাসক হয়ে ওঠেন এবং শাজারাতুদ দুর তার বিরুদ্ধে চলে যান।[৬৯]

মৃত্যু

[সম্পাদনা]
শাজারাতুদ দুররের মাজার

১২৫৭ সালের দিকে আইবাকের সাথে তার সম্পর্ক ঝগড়া ও বিতর্কের দিকে গড়ায়।[৭০] একদিকে আইবাক একজন নেতৃত্বদানকারী অভিভাবক ও নিরাপত্তাদানকারী কাউকে খুঁজছিলেন। আরেকদিকে তার স্ত্রী শাজারাতুদ দুর, একজন প্রাক্তন সুলতানা যার ইচ্ছা দৃঢ় ছিল আর একটি বহিরাগত আক্রমণের সময় দেশটিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে থাকা অবস্থায়ও পরিচালনা করেছিলেন; তিনি মিশরের মূল শাসন ক্ষমতা হাতে রাখতে চেয়েছিলেন। তিনি আইবাকের কাছ থেকে সালতানাতের বিষয়গুলো গোপন করেছিলেন। তিনি তাকে তার অন্য স্ত্রীকে অনুসন্ধান করতে বাধা দেন এবং তার অন্য স্ত্রীকে[কগ] তালাক দেওয়ার জন্য জোর দেন।[৭০] আবার আইবাকের একজন শক্তিশালী আমিরের সাথে যুক্ত হওয়া প্রয়োজন ছিল; যিনি তাকে সিরিয়ায় পালিয়ে যাওয়া মামলুকদের বিরুদ্ধে সহায়তা করবেন।[৭১] তাই তিনি ১২৫৭ সালে মসুলের আমির বদরুদ্দীন লুলুর কন্যাকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন।[১০][৭০] বদরুদ্দীন লুলু আইবাককে সতর্ক করেছিলেন যে, শাজারাতুদ দুররের সাথে দামেস্কের নাসির ইউসুফের সংযোগ রয়েছে।[৭২][কঘ] এহেন পরিস্থিতিতে শাজারাতুদ দুর নিজেকে অনিরাপদ ভাবা শুরু করেন[১০][কঙ] আর তিনি যেই আইবাককে সুলতান বানিয়েছিলেন; সে-ই তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল। তাই তিনি দাসদের সাহায্যে আইবাককে গোসলের সময়ে হত্যা করেন।[৭০][৭৩][কচ] আইবাক সাতবছর মিশর শাসন করেছিলেন।

শাজারাতুদ দুর দাবি করেন যে আইবাক রাতে হঠাৎ মারা গিয়েছেন। কিন্তু কুতুযের নেতৃত্বে আইবাকের (মুইযযিয়া) মামলুকরা তাকে বিশ্বাস করেনি[৭৫][৭২][কছ] এবং জড়িত চাকররা নির্যাতনের কারণে স্বীকার করতে বাধ্য হয়। শাজারাতুদ দুর এবং চাকরদের গ্রেপ্তার করা হয় এবং আইবাকের মামলুকরা (মুইযযিয়া মামলুক) তাকে হত্যা করতে চেয়েছিল, কিন্তু সালিহিয়া মামলুকরা তাকে রক্ষা করেছিল এবং তাকে লাল টাওয়ারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল যেখানে তিনি অবস্থান করেন।[১০][৭৩][৭৬][কজ] মুইযযিয়া মামলুকরা আইবাকের ১৫ বছর বয়সী ছেলে মানসুর আলিকে নতুন সুলতান হিসাবে সিংহাসনে বসায়।[১০][২৭][৭৫][৭৮] ২৮শে এপ্রিল মনসুর আলি ও তার মায়ের দাসরা শাজারাতুদ দুরকে অপহরণ করে এবং খড়ম দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। দুর্গের বাইরে তার নগ্ন দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।[১০][৭২][৭৯][৮০] ঐতিহাসিক ইবনে আইয়াসের মতে, শাজারাতুদ দুরকে তার পা থেকে টেনে টেনে উপর থেকে নগ্ন অবস্থায় ফেলে দেওয়া হয়েছিল। কেবল তার কোমরে একটি কাপড় ছিল। তার মৃতদেহ পরিখায় দাফন করার আগে তিন দিন যাবত পড়ে ছিল। এমনকি, এক রাতে একটি দল এসে তার কোমরের চারপাশের কাপড় খুলে নিয়ে যায়। কারণ এটি মুক্তাযুক্ত রেশমের ছিল এবং এতে কস্তুরির গন্ধ ছিল।[৮১] আইবাকের হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া দাসদেরকে ফাঁসি দেওয়া হয়।[কঝ]

শাজারাতুদ দুরকে তুলুন মসজিদের কাছাকাছি একটি মাজারে সমাহিত করা হয়েছিল। তার মাজারটি মুসলিম অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া স্থাপত্যের একটি অন্যতম উদাহরণ। ভিতরে একটি মিহরাবে "শাজারাতুদ দুর" লিখিত মোজাইক দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে। বিশেষ করে এই কাজটি কনস্টান্টিনোপল থেকে আনা শিল্পীদের দ্বারা কার্যকর করা হয়েছে। তার সমাধির অভ্যন্তরের চারপাশে যে কাঠের কুফীয় শিলালিপি রয়েছে, তা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও অত্যন্ত সূক্ষ্ম কারুকার্যের।

স্থাপত্যশিল্প

[সম্পাদনা]

শাজারাতুদ দুর বাহরি মামলুক সমাধির আদিবাসী স্থাপত্য গ্রহণ এবং মাদ্রাসা বা ইসলামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে তাদের সমন্বয় করার জন্য সুপরিচিত ছিলেন। তিনি ছিলেন মিশরের প্রথম ইসলামি সুলতান যিনি এই সাংস্কৃতিক-সমৃদ্ধ স্থাপত্য ব্যবহার করেছিলেন। মামলুক সালতানাতের নেতৃস্থানীয়রা তার কবরের কাঠামো গ্রহণ করা অব্যাহত রাখেন। তারা সেগুলো মাদ্রাসাগুলোর জন্য গ্রহণ করেছিলেন এবং ইসলামি শাসনের অনেক পরেও এই স্থাপত্যশৈলী বাহরি মামলুকদের ব্যবহারে ছিল।[৮২]

শাজারাতুদ দুর ১২৫০ সালে তার স্বামীর শহুরে মাদ্রাসা সালিহিয়াতে একটি সমাধি যোগ করার জন্য তার সম্পদ এবং ক্ষমতা ব্যবহার করেছিলেন। এবং এই উদ্ভাবনের কারণে মাদ্রাসা এবং অন্যান্য অনেক দাতব্য স্থাপত্য কমপ্লেক্স স্মারক স্মৃতিস্তম্ভে পরিণত হয়েছিল। এই প্রথাটি মামলুক শাসকদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং পরেও ব্যাপকভাবে রয়ে গিয়েছিল। ট্রি অফ পার্লস (২০২০), রাগলস লিখেছেন:

“প্রাথমিক মাদ্রাসা ফাউন্ডেশন পৃষ্ঠপোষককে রাস্তার দৃশ্য অলঙ্কৃত করতে, শহরের প্রতি দাবি রাখতে এবং তার জীবদ্দশায় তার উদারতা এবং ধার্মিকতা প্রদর্শন করতে সক্ষম করেছিল। কিন্তু যদিও এটি তার নাম এবং উপাধি বহন করে, এর প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষাদান এবং অধ্যয়নের জন্য একটি জায়গা প্রদান করা। বিপরীতে, সমাধিটি স্মরণের একমাত্র উদ্দেশ্যে বিদ্যমান ছিল। সমস্ত মাউসোলিয়ার মতো, এটি একটি দৃশ্যমান চিহ্ন হিসাবে দাঁড়িয়েছিল যার স্পষ্ট উদ্দেশ্য ছিল অনন্তকালের জন্য এর বাসিন্দার স্মৃতি সংরক্ষণ করা। সমাধি এবং মাদ্রাসার একীকরণের সাথে, একটি নতুন সংমিশ্রণ তৈরি করা হয়েছিল যেখানে উভয় ফাংশন উন্নত করা হয়েছিল: সমাধিটি সংলগ্ন বিদ্যালয়ের দাতব্য উদ্দেশ্যকে শুষে নেয় এবং এর কার্যকলাপের থ্রুম ক্যাপচার করে, মাদ্রাসা স্মৃতির একটি মূর্ত স্থান হিসাবে নতুন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য লাভ করে। —একটি সমালোচনামূলকভাবে গুরুত্বপূর্ণ আইয়ুবীয়দের স্মৃতি, যা আমরা স্মরণ করি মৃত সুলতানের শেষ অবশিষ্ট যোগসূত্র হিসেবে শাজারাতুদ দুররের দেওয়া ছিল। অধিকন্তু কমপ্লেক্সটি পূর্ববর্তী সমাধিগুলির তুলনায় আরও বেশি জায়গা নিয়ে শহুরে স্থান দখল করেছে এবং এটির চারপাশের শহরকে রূপান্তরিত করেছে আর চারপাশের রাস্তাকে স্পষ্ট করেছে। এর সুদর্শন মিনার এবং বড় গম্বুজ মানুষের মনোযোগ দেওয়ার দাবি রাখে।”[]

তিনি ১২৫০ সালের পর থেকে ১২৫৭ সালের মধ্যে তার মৃত্যুর আগে যেকোনো সময়ে নিজের জন্য একটি সমাধিও তৈরি করেছিলেন। যেটি ছিল একটি বৃহত্তর দাতব্য কমপ্লেক্সের অংশ। তবে শুধুমাত্র সমাধিটি আজ টিকে আছে। আর এটি সম্প্রতি আছার লিনা ফাউন্ডেশন দ্বারা পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।[৮৩] যদিও ফাতেমীয় শহরের দেয়ালের বাইরে নির্মিত, কিন্তু এই সমাধিটি ছিল- সুলতান সালিহের জন্য যে সমাধিটি তিনি নির্মাণ করেছিলেন তার মত একটি অসাধারণ এবং উদ্ভাবনী কাঠামোর। রাগলস লিখেছেন:

“এটি সাধারণভাবে জানা যায় যে শিলালিপিগুলো মুসলিম শিল্পে যোগাযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম প্রদান করে এবং মুসলিম ধর্মীয় স্থাপনা যেমন মসজিদ এবং সমাধিতে মানুষ এবং প্রাণীর ছবি সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে যাওয়া হয়। একইভাবে, শাজারাতুদ দুররের মাজারে যেখানে প্রার্থনা করা হয়, মিহরাবের সবচেয়ে উচ্চ জায়গায় নিজের সম্পর্কে একটি স্পষ্ট উদ্ধৃতি সন্নিবেশ করেন। যেখানে মুক্তাযুক্ত ফলসহ একটি খাড়া শাখার চিত্র তার নাম স্মরণ করে: শাজার (বৃক্ষ) ও দুরর (মুক্তা)।”[৮৪]

প্রভাব

[সম্পাদনা]

একজন স্বেচ্ছাচারী ক্রীতদাসী হিসেবে; যিনি আইয়ুবীয়দের বংশের ছিলেন না, শাজারাতুদ দুররের মিশর ও সিরিয়ার প্রথম মামলুক শাসক হওয়ার গৌরব রয়েছে।[৮৫] আইবাক এবং শাজারাতুদ দুর তাদের মৃত্যুর আগে দৃঢ়ভাবে মামলুক রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যা শেষ পর্যন্ত মঙ্গোলদের বিতাড়িত করেছিল, ইউরোপীয় ক্রুসেডারদের পবিত্র ভূমি থেকে বিতাড়িত করেছিল এবং উসমানীয়দের আগমন পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে শক্তিশালী রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে স্থায়ী ছিল।

মিশরীয় লোককাহিনীতে

[সম্পাদনা]

শাজারাতুদ দুর হাজার হাজার পৃষ্ঠার লোককাহিনী মহাকাব্য[কঞ] সিরাতুয যাহির বাইবার্সের (যাহির বাইবার্সের জীবনী) একটি চরিত্র, যেই লোককাহিনীটি মামলুক যুগের প্রথম দিকে মিশরে রচিত হওয়া শুরু হয়েছিল এবং উসমানীয় যুগের প্রথম দিকে চূড়ান্ত রূপ নেয়।[কট] গল্পটি কল্পকাহিনী এবং সত্যের মিশ্রণ। বাইবার্স এবং শাজারাতুদ দুর উভয়ের জন্য মিশরীয় সাধারণ মানুষের মুগ্ধতা প্রতিফলিত করে। গল্পটিতে তার সুন্দর নাম ছিল- ফাতিমা শাজারাতুদ দুর, যিনি ছিলেন বাগদাদের খলিফা মুকতাদির বিল্লাহের কন্যা। যার সময়ে বাগদাদে মঙ্গোলরা আক্রমণ করেছিল।[কঠ] কাহিনীটির মতে, তাকে শাজারাতুদ দুর (মুক্তার গাছ) বলা হত, কারণ তার বাবা তাকে মুক্তো দিয়ে তৈরি পোশাক পরিয়েছিলেন। তার বাবা তাকে মিশর দিয়েছিলেন কারণ তিনি মিশরের রানী হতে চেয়েছিলেন। মিশর তার ছিল বলে ক্ষমতায় থাকার জন্য সালিহ আইয়ুব তাকে বিয়ে করেছিলেন। যখন বাইবার্সকে কায়রোর দুর্গে আনা হয়েছিল, তখন তিনি তাকে ভালোবাসতেন এবং পুত্রের মতো আচরণ করেছিলেন। আর বাইবার্স তাকে মা বলে ডাকতেন। আইবাক তুর্কমানি গ্রন্থটির একজন দুষ্ট চরিত্র, যে মসুল থেকে শাজারাতুদ দুর এবং তার স্বামী সালিহ আইয়ুব থেকে মিশর দখল করতে এসেছিল। শাজারাতুদ দুর আইবাককে তলোয়ার দিয়ে হত্যা করে। কিন্তু তার ছেলের কাছ থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় তিনি দুর্গের ছাদ থেকে পড়ে মারা যান।[৮৬] উপরন্তু শাজারাতুদ দুররের নামের অর্থ আসলে মুক্তার গাছ। তাই কবিতায় তার উল্লেখ একটি ফলের গাছ দেখায় যা ঝিনুকের টুকরো দ্বারা গঠিত।[৮১]

চলচ্চিত্র ও সাহিত্যে

[সম্পাদনা]

তাইয়েব সালিহ তার গল্প "দ্য ওয়েডিং অব জেইন"-এ শাজারাতুদ দুরকে ত্রয়োদশ শতাব্দীতে মিশর শাসন করা ক্রীতদাসী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তার গল্পের একটি চরিত্র বলে, "একজন পুরুষ পুরুষই থাকে, যদিও না তার নাক দিয়ে পানি পড়তে থাকে। আর একজন নারী নারী থাকে, যদিও না সে শাজারাতুদ দুররের ন্যায় সুন্দরী হয়।"[৮৭]

শাজারাতুদ দুররের নামে ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে আহমদ জালাল একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছিলেন।[৮৮][৮৯]

মুদ্রা

[সম্পাদনা]

শাজারাতুদ দুররের মুদ্রায় নিম্নোক্ত নাম ও উপাধি খোদাই করা হয়েছিল: মুস্তাসিমিয়াহ সালিহিয়াহ মালিকাতুল মুসলিমিন ওয়ালিদাতুল মালিকুল মানসুর খলিল আমিরুল মুমিনীন। আরও লেখা ছিল, শাজারাতুদ দুর। এমনকি আব্বাসীয় খলিফার নাম "আবদুল্লাহ বিন মুসতানসির বিল্লাহ" তার মুদ্রায় খোদাইকৃত ছিল।[৯০]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

পাদটীকা

[সম্পাদনা]
  1. মূল আরবিতে শেষ বর্ণে তাশদিদ ( ّ ) আছে। তাই উচ্চারণ শাজারাতুদ দুরর করা যেতে পারে। কিন্তু বাংলায় শেষ "র" দ্বিরুক্ত সহজ নয় বলেই হয়ত দুর লেখা হয়। কিন্তু পরবর্তী শব্দের কারণে এ-কার সংযুক্ত হলে উভয় ব্যবহার করা হয়৷ যেমন- শাজারাতুদ দুররের। এই নিবন্ধেও এই নিয়ম অনুসরণ করা হয়েছে।
  2. তার মুদ্রায় শাজারাতুদ দুর মুদ্রিত পাওয়া গিয়েছে। বিস্তারিত মুদ্রা অনুচ্ছেদে দেখুন।
  3. অথবা ওয়ালিদাতুল খলিল (والدة خليل), উভয় কথার অর্থ একই। খলিল ছিল মৃত স্বামী সুলতান সালিহ আইয়ুবের মাধ্যমে তার সন্তান। নামগুলো শাজারাতুদ দুর নিজের উত্তরাধিকার প্রমাণ করতে ও রাজনৈতিক ক্ষমতায় শাসন হিসেবে অধিষ্ঠিত থাকতে ব্যবহার করতেন। তিনি ওয়ালিদাতুল খলিল নামে তার সুলতানীয় ডিক্রির প্রাতিষ্ঠানিক নথিপত্রে স্বাক্ষর করতেন।[][]
  4. কিছু ইতিহাসবিদের মতে শাজারাতুদ দুর প্রথম মামলুক সুলতান ছিলেন।[] মাকরিজি শাজারাতুদ দুরকে প্রথম তুর্কি বংশোদ্ভূত মামলুক সুলতান হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি লিখেন, "এই শাজারাতুদ দুর নাম্নী মহিলা ছিলেন প্রথম তুর্কি মামলুক রাজা, যিনি মিশর শাসন করেছিলেন।"[] ইবনে ইয়াস শাজারাতুদ দুরকে আইয়ুবীয় হিসেবে গণ্য করেছেন।[] জে. ডি. ফেইজের মতে, "এটা কঠিন যে এই রাণীর (শাজারাতুদ দুর) ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া যে, তিনি শেষ আইয়ুবীয় ছিলেন নাকি প্রথম মামলুক ছিলেন। কারণ, তিনি শেষ হওয়া আইয়ুবীয় ও শুরু হওয়া মামলুক উভয় রাজবংশের সাথে সংযুক্ত ছিলেন[]
  5. মাকরিজি, ইবনে তাগরি আর আবুল ফিদা শাজারাতুদ দুরকে তুর্কি হিসেবে গণ্য করেছেন। যদিও মাকরিজি ও আবুল ফিদা উল্লেখ করেছেন যে, কেউ কেউ বিশ্বাস করে যে- তিনি আর্মেনীয় বংশোদ্ভূত ছিলেন।[][১০][১১]
  6. যে বাইবার্স সুলতান হয়েছিলেন, তিনি নন
  7. ১২৩৯ সালে সুলতান হওয়ার আগে যখন তার ভ্রাতা মালিকুল আদিলের সাথে তার বিরোধ চলছিল, তখন সালিহ আইয়ুব নাবলুসে আটক হন এবং কারাকের দূর্গে তাকে বন্দী করে রাখা হয়। তখন রুকনুদ্দিন বাইবার্স নাম্নী মামলুক আর শাজারাতুদ দুর ও তাদের সন্তান খলিল সালিহ আইয়ুবের সঙ্গে ছিলেন[২০]
  8. সালিহ আইয়ুব তার সন্তান খলিলের জন্মের পরই শাজারাতুদ দুরকে বিয়ে করেন।[২৩]
  9. সালিহ আইয়ুবের পীড়া এত বেশি ছিল যে, তিনি ঘোড়ায় চড়তেও অক্ষম ছিলেন। তাই তাকে স্ট্রেচারে করে মিশরে আনা হয়েছিল।[২৫][২৪]
  10. এটা বিশ্বাস করা হয় যে, সিসিলির রাজা দ্বিতীয় ফ্রেডরিক সালিহ আইয়ুবকে লুইয়ের পরিকল্পনার ব্যাপারে জানিয়েছিলেন।[২৫]
  11. ক্রুসেড সৈন্যরা অবতরণের আগেই আমির ফখরুদ্দিনের নেতৃত্বে দমইয়াতের মিশরীয় গ্যারিসন এবং শহরের জনগণ শহর ছেড়ে আশমুম-তানাহ চলে যায়।[২৬][২৭] সম্ভবত ফখরুদ্দিন দমইয়াত থেকে সরে আসার কারণ ছিল, তিনি ভেবেছিলেন সুলতান মারা গেছেন। কারণ তিনি কিছু সময়ের জন্য তার কাছ থেকে বার্তা পাচ্ছিলেন না।[২৮]
  12. এছাড়াও জোইনভিলের ক্রুসেড ক্রনিকর লর্ড উল্লেখ করেছেন যে- দমইয়াতকে পরিত্যক্ত করা হয়েছিল: "সারসেনরা তিনবার সুলতানের কাছে বাহক-কবুতরের মাধ্যমে খবর পাঠিয়েছিল যে রাজা অবতরণ করেছেন। সুলতানের অসুস্থতার কারণে তিনি উত্তর দিতে পারেননি। তাই তারা সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিলেন যে সুলতান অবশ্যই মারা গেছেন। একারণে তারা দমইয়াত ত্যাগ করেন।" এবং "তুর্কিরা নৌকার ব্রিজ না কেটে দমইয়াত ছেড়ে চলে যাওয়ার একটি ভুল করেছে, যা আমাদের খুব অসুবিধায় ফেলবে।"[২৯]
  13. রুদাহ (ক্বালাআ'তুর রুদাহ) দূর্গটি সালিহ আইয়ুব কায়রোর রুদাহ দ্বীপে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এটি মামলুকদের আবাস হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল।[৩৫] পরবর্তীতে সুলতান আইবাক কায়রোর বাইনুল কাসরাইন জেলায় সালিহ আইয়ুব কর্তৃক (মৃত্যুর পূর্বে) প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসার কাছের মাজারে দাফন করেন।[৩৬] আরও দেখুন: ইযযুদ্দিন আইবাক
  14. মুয়াযযাম তুরানশাহ ছিলেন হিসমে কাইফায় তার পিতার (সুলতানের) নায়েব।[৩৯]
  15. আবুল ফিদা এবং মাকরিজির মতে, শাজারাতুদ দুর সুলতানি নথি জাল করার জন্য সুহাইল নামের একজন ভৃত্যকেও ব্যবহার করেছিলেন।[৩১][৩৩]
  16. যেহেতু সালিহ আইয়ুব তার উত্তরাধিকারী সম্পর্কে কোন সাক্ষ্য দেননি। এই কর্মের মাধ্যমে শাজারাতুদ দুর সুলতানের মৃত্যুর পর তুরানশাহকে উত্তরাধিকারী করে তোলেন।
  17. কমান্ডার ইন চীফ। বিস্তারিত দেখুন: আতাবেগ
  18. সুলতানের মৃত্যুর খবর ফাঁস হতে থাকে। মিশরীয় শিবিরের কিছু লোক সালিহ আইয়ুবের মৃত্যুর কথা জানত। নায়েবে সুলতান হুসামুদ্দিন ভৃত্য সোহেলের তৈরি একটি সুলতানিক চিহ্ন সম্পর্কে সন্দেহ করলে তাকে ক্যাম্পে থাকা তার কয়েকজন লোক জানায় যে সুলতান মারা গেছেন। লোকেরা লক্ষ্য করেছিল যে আমির ফখরুদ্দিন একজন সার্বভৌম হিসাবে কাজ করছেন। এসব কারণে তারা জানত যে সুলতান মারা গেছেন, কিন্তু কথা বলার সাহস পায়নি।[৪২] আবুল ফিদার মতে অনেক মানুষই হিসনে কাইফায় তুরানশাহকে ডাকতে দূত প্রেরণের সময়ে জানতে পেরেছিল যে, সুলতান মারা গেছেন।[৪৩]
  19. মাকরিজির মতে, প্রায় ১৫০০ ক্রুসেডার নিহত হয়েছিল।[৪৫] ম্যাথিও প্যারিসের মতে, শুধুমাত্র ২জন টেম্পলার ১জন হসপিটালার, আর ১জন নিম্নমানের সৈন্য পলায়ন করতে পেরেছিল।[৪৬]
  20. তাদের ফারিসুদ্দিন আকতাই নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন।[৪৭]
  21. রাজ্যাভিষেকের বিচারক বদরুদ্দিন সিনজারি গাজায় তুরানশাহের জন্য অপেক্ষা করেছিলেন। গাজা থেকে তারা সালহিয়ায় যান যেখানে নায়েবে সুলতান হুসামুদ্দিন তাদের অভ্যর্থনা জানান।[৪৮]
  22. সালহিয়া উত্তর মিশরে অবস্থিত, নীল ব-দ্বীপের পূর্বে। বর্তমানে মিশরের শারকিয়া গভর্নরেটের অধীনে।
  23. তুরানশাহ নায়েবে সুলতান হুসামুদ্দীনকে পদচ্যুত করে জামালুদ্দিন আকুশকে নায়েব হিসেবে নিয়োগ দেন।[৫০]
  24. শাজারাতুদ দুর সপ্তম ক্রুসেডের সময়ে মিশরকে রক্ষা করেছিলেন। তিনি আইয়ুবীদের সিংহাসন রক্ষা করেন এবং তুরানশাহকে তার অনুপস্থিতিতে সুলতান বানিয়েছিলেন।
  25. ফারিসুদ্দিন আকতাই ইতিমধ্যেই তুরানশাহের প্রতি রাগান্বিত ছিলেন কারণ তিনি হিসনে কাইফায় থাকার সময় ওয়াদা করেও তাকে আমির পদে উন্নীত করেননি।[১০][৫২]
  26. মদ্যপ অবস্থায় তরবারি দিয়ে মোমবাতি কাটতে কাটতে মামলুকদের নাম ধরে ধরে বলছিলেন, "আমি বাহরিয়াদের সাথে এমনই করব।"[১০][৫০]
  27. আইয়ুবীয় শিশু আশরাফ মুসা, যাকে ছয় বছর বয়সে সহ-সুলতান বানানো হয়েছিল; তার মূলতঃ কোনও কর্তৃত্ব ছিলনা।
  28. দেহলিজ ছিল সুলতানের রাজকীয় তাবু।
  29. পাহাড়ের দুর্গ ছিল কায়রোতে সুলতানের আবাসস্থল ও দরবার।
  30. ফ্রাঙ্ক যুদ্ধবন্দীদের মধ্যে পুরাতন যুদ্ধসমূহের বন্দীরাও অন্তর্ভুক্ত ছিল।[৫৬]
  31. আব্বাসীয় খলিফা মুতাসিম বাগদাদ থেকে মিশরীয় মামলুকদের এই বলে বার্তা প্রেরণ করেন, "যদি তোমাদের কাছে পুরুষ না থাকে; তাহলে আমাকে বল- আমি পুরুষ কাউকে প্রেরণ করব।"[৫৯] মিশরীয় জনসাধারণেরও শাজারাতুদ দুররের নবম লুইকে জীবিত ছেড়ে দেওয়া নিয়ে অভিযোগ ছিল।
  32. আইয়ুবীয়রা স্বাধীন রাজা হিসেবে শাসন করা সত্ত্বেও, তারা আব্বাসীয়দের প্রতি রাজকীয়ভাবেই আনুগত্যশীল ছিল। মামলুকদের এই বিষয়টি সামঞ্জস্য করতে কিছু বছর সময় লেগেছিল। ১২৫৮ সালে মঙ্গোলদের দ্বারা বাগদাদের সাথে আব্বাসীয় খিলাফত ধ্বংস হয়। সুলতান বাইবার্সের শাসনামলে মিশরে একটি নামকাওয়াস্তে আব্বাসীয় খিলাফত স্থাপন করা হয়েছিল। এর ফলে মামলুকরা পূর্ণ স্বাধীনতা এবং যেকোন বহিরাগত শক্তি থেকে স্বাধীনতা পেয়েছিল।[৬০]
  33. মালিকুল আশরাফ মুযাফফরুদ্দিন মুসা ছিলেন মালিকুল কামিলের প্রপৌত্র।[৬২][৬৩][৬৪][৬৫] আরও দেখুন: ইযযুদ্দিন আইবাক
  34. বিস্তারিত আইবাক প্রবন্ধে দেখুন।
  35. মামলুক বাহিনী আইয়ুবীয় সুলতান নাসির ইউসুফের বাহিনীকে সকল যুদ্ধেই পরাজিত করে। আরও বিস্তারিত ইযযুদ্দিন আইবাক আর নাসির ইউসুফ নিবন্ধে দেখুন।
  36. ১২৫৩ সালে হিসনুদ্দিন ছালাবের নেতৃত্বে মধ্য ও উচ্চ মিশরে গুরুতর বিদ্রোহ শুরু হয়। বাহরি মামলুক নেতা আকতাইয়ের নেতৃত্বে বিদ্রোহ দমন করা হয়। বিস্তারিত ইযযুদ্দিন আইবাক নিবন্ধে দেখুন।
  37. বাইবার্স আর কালাউনের মত মামলুকরা সিরিয়ায় পলায়ন করেন। আর বাকি অন্যান্যরা কারাক, বাগদাদ আর সেলজুক রুম সালতানাতে পলায়ন করেন।[৬৮]
  38. সালিহ আইয়ুবের মুক্ত দাসদের সালিহিয়া বলা হয়।
  39. আইবাকের উম্মে আলী নামীয় আরেকজন স্ত্রী ছিলেন। তিনি আইবাকের পরে সুলতান হওয়া মানসুর আলীর মাতা ছিলেন।
  40. মাকরিজির মতে, শাজারাতুদ দুর নাসির ইউসুফকে উপহারাদি প্রেরণ করেছিলেন। সাথে এই বার্তা দিয়েছিলেন যে, তিনি আইবাককে হত্যা করে তাকে বিয়ে করবেন আর তাকে সুলতান হিসেবে উন্নীত করবেন।[৭০]
  41. মাকরিজির মতে, আইবাক শাজারাতুদ দুরকে হত্যা করার পরিকল্পনা করছিলেন।[৭০]
  42. মাকরিজির মতে, আইবাককে দাসেরা হত্যার সময়ে সাহায্যের জন্য শাজারাতুদ দুরকে ডেকেছিলেন। শাজারাতুদ দুর দাসদেরকে তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য আদেশ দেন। কিন্ততু মহসিন জজরি নামীয় দাস রেগে বলেছিল, "আমরা তাকে যেতে দিলে সে তোমাকে ও আমাদেরকে হত্যা করবে।"[৭৪]
  43. মাকরিজির মতে, সে রাতেই শাজারাতুদ দুর আইবাকের কর্তিত আঙ্গুল আর আংটি ইযযুদ্দিন আইবাক হালাবির কাছে প্রেরণ করেন এবং তাকে ক্ষমতা গ্রহণ করতে বলেন। কিন্তু হালাবি সেটি প্রত্যাখ্যান করেন।[৭২] ইবনে তাগরির মতে, শাজারাতুদ দুর ইযযুদ্দিন আইবাক ও আমির জামালুদ্দিন আয়দগুরিকে ক্ষমতা গ্রহণের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্ত উভয়েই প্রত্যাখ্যান করেন।[১০]
  44. লাল টাওয়ার মালিকুল কামিল কর্তৃক দুর্গে তৈরি করা হয়েছিল।[৭৭]
  45. মহসিন জজরি ছাড়াও ৪০জন দাসকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল।[৭২]
  46. ১৯২৩ সালে কায়রো থেকে মুদ্রিত সংস্করণে ১৫,০০০ এরও বেশি পৃষ্ঠা ছিল।
  47. সিরাতুয যাহির বাইবার্স দেখুন।
  48. এছাড়াও, সিরাতুয যাহির বাইবার্স গ্রন্থে উল্লেখ করা হয়েছে যে, শাজারাতুদ দুর ছিলেন একজন দাসী থেকে খলিফা মুকতাদিরের পিতা কামিল বিল্লাহর কন্যা। কিন্তু তাকে মুকতাদির দত্তক নিয়েছিলেন।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. স্টেওয়ার্ট, জন (১৯৮৯)। আফ্রিকান স্টেটস এন্ড রুলার্স। লন্ডন: ম্যাকফার্ল্যান্ড। পৃষ্ঠা আইএসবিএন 0-89950-390-X 
  2. আবুল ফিদা, পৃষ্ঠা: ৬৬-৮৭/Year 648H.
  3. মাকরিজি,পৃষ্ঠা: ৪৫৯/খণ্ড: ১.
  4. রাগলস, ড. ফেয়ারচাইল্ড (২০২০)। ট্রি অব পার্লস: দ্য এক্সট্রাঅর্ডিনারি আর্কিটেকচারাল পেট্রোনেজ অব দ্য থার্টিন্থ-সেঞ্চুরি ইজিপশিয়ান স্লেভ-কুইন শাজার আল-দুর। নিউইয়র্ক সিটি, নিউইয়র্ক। পৃষ্ঠা ৯৮। আইএসবিএন 978-0-19-087322-6ওসিএলসি 1155808731 
  5. শাইয়াল, পৃষ্ঠা: ১১৫/খণ্ড: ২
  6. মাকরিজি, পৃষ্ঠা: ৪৫৯/ খণ্ড: ১
  7. ইবনে ইয়াস, পৃষ্ঠা: ৮৯
  8. ফেজ, পৃষ্ঠা: ৩৭
  9. মাকরিজি, পৃষ্ঠা: ৪৫৯/খণ্ড: ১
  10. ইবনে তাগরি, পৃষ্ঠা: ১০২-২৭৩/খণ্ড: ৬
  11. আবুল ফিদা, পৃষ্ঠা: ৬৮-৮৭/৬৫৫ হিজরি সন
  12. ড. তুলে ইয়ুরেকলি (২০১১), দ্য পুরস্যুট অব হিস্টোরি (আদনান মেন্ডারেস বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক পর্যায়ক্রমিক গবেষণা ধারাবাহিক), সংখ্যা: ৬, পৃষ্ঠা ৩৩৫, দ্য ফিমেল মেম্বার্স অব দ্য আইয়ুবিদ ডিনেস্টি, অনলাইন তথ্যসূত্র: "আর্কাইভ কপি" (পিডিএফ)। ১৫ ডিসেম্বর ২০১১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর ২০১১ 
  13. মেরি, জোসেফ ডব্লিউ., সম্পাদক (২০০৬)। মেডিভাল ইসলামিক সিভিলাইজেশন: এন এনসাইক্লোপেডিয়া। ২: এল–জেড, ইনডেক্স। নিউ ইয়র্ক: রটলেজ। পৃষ্ঠা ৭৩০। আইএসবিএন 978-0-415-96692-4ওসিএলসি 314792003। সংগ্রহের তারিখ ১ মার্চ ২০১০...শাজারাতুদ দুরকে আইয়ুবীয়দের আধিপত্যের সুলতানা (সুলতানের স্ত্রীবাচক শব্দ) ঘোষণা করা হয়েছিল, যদিও এটি সিরিয়ার আইয়ুবী আমিরদের দ্বারা স্বীকৃত ছিল না। 
  14. রাগলস, ড. ফেয়ারচাইল্ড (১৯ মে ২০২০)। ট্রি অব পার্লস। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ৬০–৬২। আইএসবিএন 978-0190873202 
  15. মার্সট, আফাফ লুতফি সাইয়িদ (২৯ মে ২০০৭)। এ হিস্টোরি অব ইজিপ্ট: ফ্রম দ্য অ্যারাব কনকুয়েস্ট টু দ্য প্রেজেন্ট (ইংরেজি ভাষায়)। ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ২৮। আইএসবিএন 978-1-139-46327-0 
  16. মাকরিজি, পৃষ্ঠা: ৪৫৯/খণ্ড: ১
  17. মাকরিজি, পৃষ্ঠা: ৪১৯/খণ্ড: ১
  18. আবুল ফিদা, পৃষ্ঠা: ৬৮-৮৭/৬৫৫ হিজরি সন
  19. শাইয়াল, পৃষ্ঠা: ১১৬/খণ্ড: ২
  20. মাকরিজি, পৃষ্ঠা: ৩৯৭-৩৯৮/খণ্ড: ১
  21. মাকরিজির ৬৩৮ হিজরীর (১২৪৯ খ্রি.) বিবরণ – পৃষ্ঠা: ৪০৫/খণ্ড: ১
  22. মাকরিজি, পৃষ্ঠা: ৪০৪/খণ্ড: ১
  23. মাকরিজি, পৃষ্ঠা: ৩৯৭-৩৯৮/খণ্ড: ১/টীকা:১
  24. মাকরিজি, পৃষ্ঠা: ৪৩৭/খণ্ড: ১
  25. শাইয়াল,পৃষ্ঠা: ৯৫/খণ্ড: ২
  26. মাকরিজি, পৃষ্ঠা: ৪৩৮-৪৩৯/খণ্ড: ১
  27. আবুল ফিদা,পৃষ্ঠা: ৬৬-৮৭/ ৬৪৭ হিজরি
  28. শাইয়াল, পৃষ্ঠা: ৯৭/খণ্ড: ২
  29. লর্ড অব জোইনভিল, পার্গ: ৭২/ষষ্ঠ চ্যাপ্টার/দ্বিতীয় অংশ
  30. মাকরিজি, পৃষ্ঠা: ৪৩৯-৪৪১/খণ্ড: ২
  31. আবুল ফিদা, পৃষ্ঠা: ৬৮-৮৭/বছর ৬৪৭ হিজরী
  32. শাইয়াল, পৃষ্ঠা: ৯৮/খণ্ড: ২
  33. মাকরিজি, পৃষ্ঠা: ৪৪৪/খণ্ড: ১
  34. (মাকরিজি, পৃষ্ঠা: ৪৪১/খণ্ড: ১) – (শাইয়াল,পৃষ্ঠা: ৯৮/খণ্ড: ২)
  35. মাকরিজি,পৃষ্ঠা: ৪৪৩/খণ্ড: ১
  36. মাকরিজি, পৃষ্ঠা: ৪৪১/খণ্ড: ১
  37. আবুল ফিদা, পৃষ্ঠা: ৬৮-৮৭/সালিহ আইয়ুবের মৃত্যু
  38. মাকরিজি, পৃষ্ঠা: ৪৪৫/খণ্ড: ১
  39. ইবনে তাগরি, পৃষ্ঠা: ১০২-২৭৩/খণ্ড: ৬/৬৪৬ হিজরি
  40. গোল্ডস্টোন, ন্যান্সি (২০০৯)। ফোর কুইন্স: দ্য প্রোভেনচাল সিস্টার্স হো রুলড ইউরোপ। লন্ডন: ফিনিক্স পেপারব্যাকস। পৃষ্ঠা ১৬৯। 
  41. শাইয়াল/পৃষ্ঠা: ৯৮/খণ্ড: ২
  42. মাকরিজি,পৃষ্ঠা: ৪৪৪-৪৪৫/খণ্ড: ১
  43. আবুল ফিদা/পৃষ্ঠা: ৬৬-৮৭/সালিহ আইয়ুবের মৃত্যু
  44. কাসিম,পৃষ্ঠা: ১৮
  45. মাকরিজি, পৃষ্ঠা: ৪৪৮/খণ্ড: ১
  46. ম্যাথিউ প্যারিস: নবম লুইয়ের ক্রুসেড; পৃষ্ঠা: ১৪৭/খণ্ড: ৫
  47. সাদাওয়ি, পৃষ্ঠা: ১২
  48. মাকরিজি, পৃষ্ঠা: ৪৪৯/খণ্ড: ১
  49. মাকরিজি, পৃষ্ঠা: ৪৪৯-৪৫০/খণ্ড: ১
  50. মাকরিজি, পৃষ্ঠা: ৪৫৭/খণ্ড: ১
  51. আবুল ফিদা,পৃষ্ঠা: ৬৬-৮৭/ ৬৪৮ হিজরি সন
  52. মাকরিজি, পৃষ্ঠা: ৪৫৭/খণ্ড: ১
  53. মাকরিজি, পৃষ্ঠা: ৪৫৮-৪৫৯/ খণ্ড: ১
  54. মাকরিজি, পৃষ্ঠা: ৪৫৯/খণ্ড: ১
  55. আবুল ফিদা,পৃষ্ঠা: ৬৬-৮৭/ ৬৪৮ হিজরি
  56. মাকরিজি, পৃষ্ঠা: ৪৬০/খণ্ড: ১
  57. মাকরিজি, পৃষ্ঠা: ৪৬২/খণ্ড: ১
  58. মাকরিজি,পৃষ্ঠা: ৪৬২-৪৬৩/খণ্ড: ১
  59. মাকরিজি, পৃষ্ঠা: ৪৬৪/খণ্ড: ১)
  60. শাইয়াল, পৃষ্ঠা: ১০৯/খণ্ড: ২
  61. মাকরিজি, পৃষ্ঠা: ৪৬৩/খণ্ড: ১
  62. মাকরিজি, পৃষ্ঠা: ৪৬৪/খণ্ড: ১
  63. শাইয়াল, পৃষ্ঠা: ১১৫/ খণ্ড: ২
  64. ইবনে তাগরি, পৃষ্ঠা: ১০৩-২৭৩/ মুইয আইবাক তুর্কমানির সালতানাত
  65. আবুল ফিদা, পৃষ্ঠা: ৬৮-৮৭/৬৫২ হিজরি
  66. মাকরিজি, পৃষ্ঠা: ৪৭৯/খণ্ড: ১
  67. শাইয়াল, পৃষ্ঠা: ১১৬/খণ্ড: ২
  68. শাইয়াল, পৃষ্ঠা: ১১৮/খণ্ড: ২
  69. আসিলি,পৃষ্ঠা: ১৮
  70. মাকরিজি, পৃষ্ঠা: ৪৯৩/খণ্ড: ১
  71. শাইয়াল, পৃষ্ঠা: ১১৯/ খণ্ড: ২
  72. মাকরিজি, পৃষ্ঠা: ৪৯৪/খণ্ড: ১
  73. আবুল ফিদা, পৃষ্ঠা: ৬৮-৮৭/৬৫৫ হিজরি
  74. মাকরিজি, p,493/খণ্ড: ১
  75. কাসিম,পৃষ্ঠা: ৪৪
  76. ( মাকরিজি, পৃষ্ঠা: ৪৯৩/খণ্ড: ১
  77. মাকরিজি, পৃষ্ঠা: ৪৯৪/ ২য় পাদটীকা /খণ্ড: ১
  78. মাকরিজি, পৃষ্ঠা: ৪৯৫
  79. মেরি ২০০৬, পৃষ্ঠা: ৭৩০
  80. ইরওয়িন, রবার্ট (১৯৮৬)। দ্য মিডল ইস্ট ইন দ্য মিডল অ্যাজেস: দ্য আর্লি মামলুক সালতানাত, ১২৫০-১৩৮২ (ইংরেজি ভাষায়)। ক্রুম হেলম। পৃষ্ঠা ২৯। আইএসবিএন 978-0-7099-1308-5 
  81. রোডেনব্যাক, ম্যাক্স (জানুয়ারি ২০০০)। কায়রো: দ্য সিটি ভিক্টোরিয়াস (ইংরেজি সংস্করণ)। মধ্যপ্রাচ্য: এইউসি প্রেস। পৃষ্ঠা ৭৩–৭৫। আইএসবিএন 9789774245640। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০১৫ 
  82. বেহরেনস-আবুসেইফ, দোরিস (১৯৮৯)। ইসলামিক আর্কিটেকচার ইন কায়রো। ব্রিল। 
  83. "DOME OF SHAJAR AL-DURR CONSERVATION PROJECT"Al Atharlina। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-১০ 
  84. রাগলস, ডি.এফ (২০১৫)। "ভিজিবল এন্ড ইনভিজিবল বডিজ: দ্য আর্কিটেকচারাল প্যাট্রোনেজ অব শাজার আল-দুরর"মুকারনাস৩২: ৬৩–৭৮। ডিওআই:10.1163/22118993-00321P05 – আর্কনেট-এর মাধ্যমে। 
  85. রাগলস, ডি. এফ. (২০২০)। ট্রি অব পার্লস। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ১৪১–১৪২। 
  86. সিরাতুয যাহির বাইবার্স
  87. সালিহ, তাইয়েব (জানুয়ারি ১৯৯৯)। দ্য ওয়েডিং অব জেইন এন্ড আদার স্টোরিজ (ইংরেজি সংস্করণ)। পোর্টসমাউথ, নিউ হ্যাম্পশায়ার, যুক্তরাষ্ট্র: হাইনম্যান। পৃষ্ঠা ১২০। আইএসবিএন 0-435-90047-1 
  88. কাসিম, মাহমুদ। موسوعة الأفلام العربية - المجلد الثاني (মাউসুআতুল আফলামুল আরাবিয়্যা - ২য় খণ্ড) (আরবি ভাষায়)। ই-কুতুব লিমিটেড। আইএসবিএন 978-1-78058-322-8 
  89. "من 84 سنة.. عرض أول فيلم ناطق فى السينما المصرية.. تعرف على أبطاله"اليوم السابع (আরবি ভাষায়)। ২০১৯-০২-২৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-১০ 
  90. মাহদি,পৃষ্ঠা: ৬৮–৬৯

গ্রন্থপঞ্জি

[সম্পাদনা]
  • খলিল, নুরুদ্দিন (২০২১)। শাজারাতুদ দুর। সিলেট: কালান্তর প্রকাশনী। আইএসবিএন 978-984-96854-0-1 
  • আবুল ফিদা, মানবজাতির সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
  • মাকরিজি, আসসুলুক লিমারিফাতিল মুলুক, দারুল কুতুব, ১৯৯৭।
  • ইংরেজিতে আইডেম: বোন, হেনরি জি, দ্য রোড টু নলেজ অফ দ্য রিটার্ন অফ কিংস, ক্রনিকলস অফ দ্য ক্রুসেডস, এএমএস প্রেস, ১৯৬৯.
  • মাকরিজি, মাওয়াইজ ওয়াল ইতিবার বি যিকরিল খিতাত ওয়াল আছার, মাকতাবাতুল আদাব, কায়রো, ১৯৯৬, আইএসবিএন ৯৭৭-২৪১-১৭৫-X
  • ফরাসি ভাষায় আইডেম: বোরিয়ান্ট, আরবেইন, বর্ণনা টপোগ্রাফিক এবং হিস্টোরিক ডি ল'ইজিপ্টে, প্যারিস ১৮৯৫
  • ইবনে আইয়াস, বাদাইজ জুহুর ফি ওয়াকাইদ দুহুর, ডক্টর এম আলজায়ার দ্বারা সংক্ষিপ্ত ও সম্পাদিত, আলমিসরিয়া লিলকিতাব, কায়রো ২০০৭, আইএসবিএন ৯৭৭-৪১৯-৬২৩-৬
  • ইবনে তাগরি, নুজুমুজ জাহিরাহ ফি মিলুক মিসর ওয়াল কাহিরাহ, হাইআতুল মিসরিয়াহ ১৯৬৮।
  • মিশরের ইতিহাস, আবুল মাহাসিন ইবনে তাগরি বিরদি, ১৩৮২-১৪৬৯ খ্রি. জোসেফ উইলিয়াম পপার কর্তৃক অনূদিত, ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া প্রেস ১৯৫৪।
  • আসলি, বি., যাহির বাইবার্স, দারুন নাফায়েস পাবলিশিং, বৈরুত ১৯৯২।
  • গোল্ডস্টোন, ন্যান্সি (২০০৯)। Four Queens: The Provençal Sisters Who Ruled Europe [ফোর কুইন্স: দ্য প্রোভেনচাল সিস্টার্স হো রুলড ইউরোপ]। লন্ডন: ফিনিক্স পেপারব্যাক। 
  • সাদাউই এইচ, মামালিক, মারুফ ইখওয়ান, আলেকজান্দ্রিয়া।
  • মাহদী, ডা. শফিক, মামালিক মিসর ওয়াশ শাম (মিশর ও লেভান্তের মামলুক), আলদার আলারাবিয়া, বৈরুত ২০০৮
  • শাইয়াল, জামাল, ইসলামী ইতিহাসের অধ্যাপক, তারিখ মিসরিল ইসলামিয়াহ (ইসলামী মিশরের ইতিহাস), দারুল মারেফ, কায়রো ১২৬৬, আইএসবিএন ৯৭৭-০২-৫৯৭৫-৬
  • সিরাতুয যাহির বাইবার্স, মুস্তফা সাবা দ্বারা মুদ্রিত, কায়রো ১৯২৩। হাইআতুল মিসরিয়াহ, সম্পাদক জামাল আল গিতানি, কায়রো ১৯৯৬, আইএসবিএন ৯৭৭-০১-৪৬৪২-০
  • সিরাতুয যাহির বাইবার্স, একত্রিত এইচ. জোহর, এম. ব্রানিক, এ. আতার, দারুল মারিফ, কায়রো ১৯৮৬, আইএসবিএন ৯৭৭-০২-১৭৪৭-৬
  • দ্য ক্রনিকলস অফ ম্যাথু প্যারিস (ম্যাথু প্যারিস: ক্রনিকা মেজোরা) অনুবাদ করেছেন হেলেন নিকলসন ১৯৮৯
  • জোইনভিলের লর্ডের স্মৃতি, এথেল ওয়েজউড ১৯০৬ দ্বারা অনূদিত
  • দ্য নিউ এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা, ম্যাক্রোপিডিয়া, এইচএইচ বার্টন প্রকাশক, ১৯৭৩-১৯৭৪
  • মেরি, জোসেফ ডব্লিউ (সম্পাদক)। মধ্যযুগীয় ইসলামিক সভ্যতা: একটি বিশ্বকোষ। রুটলেজ, ২০০৬।
  • পেরি, গ্লেন আর্ল। মিশরের ইতিহাস - মামলুক সালতানাত। গ্রীনউড প্রেস, ২০০৪. পৃষ্ঠা ৪৯।
  • কাসিম, আবদু কাসিম ড., আসর সালাতিন আল মামলিক (মামলুক সুলতানদের যুগ), মানব ও সামাজিক গবেষণার জন্য চোখ, কায়রো ২০০৭
  • আরউইন, রবার্ট। মধ্যযুগে মধ্য প্রাচ্য: প্রারম্ভিক মামলুক সালতানাত, ১২৫০-১৩৮২। রটলেজ, ১৯৮৬.
  • রাগলস, ডি. ফেয়ারচাইল্ড (২০২০)। মুক্তা বৃক্ষ: ১৩ শতকের মিশরীয় ক্রীতদাস-রানী শাজারাতুদ দুরের অসাধারণ স্থাপত্য পৃষ্ঠপোষকতা। নিউইয়র্ক। পৃষ্ঠা ৯৮, আইএসবিএন ৯৭৮-০-১৯-০৮৭৩২২-৬. ওসিএলসি ১১৫৫৮০৮৭৩১।
  • রাগলস, ডি. ফেয়ারচাইল্ড (২০২০) " দাসদের ভৌগলিক এবং সামাজিক গতিশীলতা: শাজারাতুদ দুরের উত্থান, ১৩ শতকের মিশরে একজন ক্রীতদাস-উপপত্নী," দ্য মেডিয়েভ্যাল গ্লোব, খণ্ড ২.১। ২.১ (২০১৬): ৪১-৫৫
  • রাগলস, ডিএফ " দৃশ্যমান এবং অদৃশ্য দেহ: শাজারাতুদ দুররের স্থাপত্য পৃষ্ঠপোষকতা," মুকারনাস ৩২ (২০১৫): ৬৩–৭৮

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]
শাজারাতুদ দুর
জন্ম:  ? মৃত্যু: ২৮ এপ্রিল ১২৫৭
রাজত্বকাল শিরোনাম
পূর্বসূরী
মুয়াযযাম তুরানশাহ
মিশরের সুলতান
২ মে – জুলাই ১২৫০
উত্তরসূরী
ইযযুদ্দিন আইবাক