শামলী জেলা | |
---|---|
উত্তরপ্রদেশের জেলা | |
![]() উত্তরপ্রদেশের মানচিত্রে শামলী জেলার অবস্থান | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | উত্তরপ্রদেশ |
বিভাগ | শাহারানপুর |
প্রতিষ্ঠা | ২০১১ |
সদরদপ্তর | শামলী |
তহশিল | |
সরকার | |
• বিধানসভার আসন | শামলী, থানাভবন এবং কাইরানা |
আয়তন | |
• সম্পূর্ণ | ১,০৬৩ বর্গকিমি (৪১০ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• সম্পূর্ণ | ১২,৭৪,৮১৫ |
• জনঘনত্ব | ১,২০০/বর্গকিমি (৩,১০০/বর্গমাইল) |
জনমিতিক | |
• সাক্ষরতা | ৮১.৯৭ |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০) |
প্রধান মহাসড়ক | (৭০৯বি), (৭০৯এ), (৭০৯এডি) |
শামলী ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের একটি জেলা। এই জেলাটি ২০১১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর মুজাফফরনগর জেলাকে ভেঙে প্রভূদনগর নামে গঠন করা এবং ২০১২ সালের জুলাইয়ে পুনরায় শামলী নামে নামকরণ করা হয়। শামলী এই জেলার সদর দফতর। শামলী জেলা দিল্লি – শাহারানপুর (জাতীয় মহাসড়ক - ৭০৯ বি), মীরাট-কর্ণাল (জাতীয় মহাসড়ক - ৭০৯ এ) এবং পানিপথ-খতিমা (জাতীয় মহাসড়ক - ৭০৯ এডি) মহাসড়কের পাশে অবস্থিত। শামলী জেলা ভারতের জাতীয় রাজধানী অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত।[১]
এই জেলাটির আয়তন ১,১৬৭.৫৮ বর্গ কিলোমিটার|[২] এর উত্তরে শাহারানপুর জেলা; দক্ষিণে বাগপাত জেলা; পূর্বে মুজাফফরনগর জেলা এবং পশ্চিমে হরিয়ানা জেলা অবস্থিত। এটি দিল্লি-শামলী জাতীয় মহাসড়কের পাশে অবস্থিত; যা দিল্লি থেকে ১০০ কিলোমিটার, সাহারানপুর থেকে ৬৫ কিলোমিটার, মুজাফফরনগর থেকে ৩৮ কিলোমিটার এবং পানিপথ থেকে ৩৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।[৩]
পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে দ্বাপর যুগে হস্তিনাপুর হতে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে যাবার সময় শ্রীকৃষ্ণ এই পথে গমন করেন এবং এখানকার কুয়া হতে মিষ্টজল গ্রহণ করেন; আবার কারো কারো মতে এই নগরের স্থপতি কুন্তির সন্তান ভীম সেন।[৩] ভারতীয় সংষ্কৃতির অন্যতম সূতিকাগার হিসাবে এই জেলাটির গুরুত্ব অপরিসীম। প্রাপ্ত তথ্য মতে এই জেলাটি মারাঠা যোদ্ধাদের একটি সামরিক এলাকা হিসাবে গড়ে তোলা হয় এবং তখন থেকেই এখানে বসবাসের শুরু।[৩] এটি ভারতের মহাবিদ্রোহের স্মৃতি বিজরিত একটি স্থান যেখানে ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিপ্লবের সময় সৈন্যরা বিদ্রোহ করে এবং রড়াই করে নিজেদের জীবন উত্সর্গ করে দেশের স্বাধীনতার জন্য।[৩] ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে এই জেলাটি মুজাফফরনগর জেলাকে ভেঙে গঠন করা হয়েছিল এবং এর নামকরণ করা হয় প্রভুদনগর।[৩] মুজাফফরনগরের শামলী ও কাইরানা তহসিল নিয়ে এই নতুন জেলাটি গঠন কর হয়। উত্তর প্রদেশ সরকার ২০১২ সালের জুলাই মাসে এর নাম পরিবর্তন করে শামলী করে।[৪]
এখানকার মোট জনসংখ্যা ১৩,১৩,৬৫০ জন; যার মধ্যে পুরুষ ৬,৯৯,৩৯০ জন এবং নারী ৬,১৪,২৬০ জন।[২]
যদিও এখানে ধর্মীয় সহনশীলতা দেখা যায় তবুও উত্তর প্রদেশের পশ্চিমাংশের অন্যান্য জেলাগুলির মতো শামলীও ২০১৩ সালে মুজফ্ফরনগরের দাঙ্গার সময় আক্রমণের শিকার হয়েছিল।[৫][৬] ইন্ডিয়া টুডেতে ২০১৫ সালের মে মাসের একটি প্রতিবেদনে বলা হয় যে, ২০১৩ সালের আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসের সহিংস দাঙ্গার পর থেকেই শামলি ও মুজাফফরনগর জেলাগুলি "সংবেদনশীল এলাকা" হিসাবে বিবেচিত হয়।[৭]
এই নিবন্ধটি ইংরেজি থেকে আনাড়িভাবে অনুবাদ করা হয়েছে। এটি কোনও কম্পিউটার কর্তৃক অথবা দ্বিভাষিক দক্ষতাহীন কোনো অনুবাদক কর্তৃক অনূদিত হয়ে থাকতে পারে। |