শাম্মী আখতার | |
---|---|
জন্ম | শামীমা আখতার ২২ সেপ্টেম্বর ১৯৫৫[১] |
মৃত্যু | ১৬ জানুয়ারি ২০১৮ (৬২ বছর) ঢাকা |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
পেশা | শিল্পী |
কর্মজীবন | ১৯৭০-২০১৮ |
দাম্পত্য সঙ্গী | আকরামুল ইসলাম |
পুরস্কার | জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (২০১০) |
শামীমা আখতার (২২ সেপ্টেম্বর ১৯৫৫ - ১৬ জানুয়ারি ২০১৮; যিনি শাম্মী আখতার নামে পরিচিত) বাংলাদেশ একজন নারী সংগীত শিল্পী।[২] ২০১০ সালে তিনি ‘ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না’ চলচ্চিত্রে গানের জন্য শ্রেষ্ঠ নারী সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।[৩]
শাম্মী আখতার ১৯৫৫ সালের ২২ সেপ্টেম্বর যশোরের তালতলা গ্রামে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন কিন্তু তিনি বেড়ে উঠেছেন খুলনায়। বাবার বদলির কারণে দেশের কয়েকটি জেলায় বিভিন্ন শিক্ষকের কাছে সংগীতের তালিম নেওয়ার সুযোগ পান তিনি। ১৯৭৭ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি আকরামুল ইসলামের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি।[৪]
ছয় বছর বয়সে তার সংগীতজীবনের শুরু হয়। গানের জগতে তার হাতেখড়ি হয় বরিশালের ওস্তাদ গৌরবাবুর কাছে। তার বাবা শামসুল করিম সরকারি চাকরি করতেন। বাবার বদলির সুবাদে দেশের কয়েকটি জেলায় বিভিন্ন শিক্ষকের কাছে সংগীতের তালিম নেওয়ার সুযোগ পান তিনি। যার মধ্যে রাজবাড়ী ও খুলনায় সংগীত শিক্ষা নেন বাবু বামনদাস গুহ রায়, রণজিৎ দেবনাথ, সাধন সরকার, নাসির হায়দার ও প্রাণবন্ধু সাহার কাছে।
১৯৭০ সালে তিনি খুলনা বেতারে তালিকাভুক্ত হন।[১] সেখানে আধুনিক গানের পাশাপাশি নজরুল সংগীত পরিবেশন করতেন। ১৯৭৫ সালে ঢাকায় এসে গান গাওয়ার আমন্ত্রণ পান। খুলনা থেকে ঢাকায় চলে আসেন শাম্মী আখতার। নিয়মিত গাইতে শুরু করেন বেতার ও টেলিভিশনে। প্রখ্যাত সংগীত পরিচালক সত্য সাহা তাকে ‘অশিক্ষিত’ চলচ্চিত্রে গান গাওয়ার সুযোগ দেন। এতে গান গাওয়ার মধ্য দিয়ে প্লেব্যাক শিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। প্রথম প্লেব্যাকেই দারুণ জনপ্রিয় হয় তার গাওয়া গান ‘ঢাকা শহর আইসা আমার আশা ফুরাইছে’।[১][৪]
তিনি প্রায় ৪০০টি ছবিতে প্লেব্যাক করেছেন। তার গাওয়া গানের দুটি ক্যাসেট প্রকাশিত হয়েছে।। ‘ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না’ ছবির ‘ভালোবাসলেই সবার সাথে ঘর বাঁধা যায় না’ গানের জন্য ২০১০ সালে শাম্মী আখতার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।
বছর | পুরস্কার | বিভাগ | চলচ্চিত্র | ফলাফল |
---|---|---|---|---|
২০১০ | জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ নারী সঙ্গীত শিল্পী | ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না | বিজয়ী[৫] |
তিনি প্রায় পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে স্তন ক্যান্সারের ভুগছিলেন। ১৬ জানুয়ারি ২০১৮, মঙ্গলবার বিকেলে তার শারীরিক অবস্থার অবনতির হলে চামেলিবাগের বাসা থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।[৪] ১৭ জানুয়ারি তাকে ঢাকার শাহজাহানপুর কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।[৬]