শাহ বেগম | |||||
---|---|---|---|---|---|
বাদাখশানের রাজকুমারী | |||||
মুঘলিস্তানের রাণী সহধর্মিণী | |||||
কার্যকাল | ১৪৬১ – ১৪৮৭ | ||||
জন্ম | বাদাখশান | ||||
মৃত্যু | আনু. ১৫০৮ বাদাখশান | ||||
দাম্পত্য সঙ্গী | ইউনুস খান | ||||
বংশধর | মাহমুদ খান আহমদ আলাক সুলতান নিগার খানুম দৌলত সুলতান খানুম | ||||
| |||||
রাজবংশ | বোর্জিগিনের বাড়ি (বিবাহের মাধ্যমে) | ||||
পিতা | সুলতান মুহাম্মদ | ||||
ধর্ম | ইসলাম |
শাহ বেগম (উইগুর ভাষায়: شاہ بیگم ; মৃত্যু ১৫০৮) ছিলেন চেঙ্গিস খানের দ্বিতীয় পুত্র চাঘাটাই খানের বংশধর ইউনুস খানের দ্বিতীয় স্ত্রী হিসাবে মুঘলিস্তানের রাণী সহধর্মিণী।[১] তিনি মুগলিস্তানের পরবর্তী মুঘল খানদ্বয় মাহমুদ খান ও আহমেদ আলকের মা ছিলেন।[২]
শাহ বেগম ছিলেন বাদাখশানের রাজা শাহ সুলতান মুহাম্মদের চতুর্থ কন্যা।[৩] তার পিতার পরিবার আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট থেকে তাদের বংশধর বলে গর্ব করে। তিনি দাবি করেছিলেন যে, তারা তিন হাজার বছর ধরে বাদাখশানের রাজত্বকে প্রভাবিত করেছে।[৪]
তার পাঁচ বোন ছিল, তাদের মধ্যে একজন সুলতান মাসুদ কাবুলির সাথে বিয়ে করেছিলেন, যিনি আমির তৈমুরের বংশধর ছিলেন। তার আরেক বোন, শাহজাদা বেগম সুলতান আবু সাঈদ মির্জার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ও আবুবকর মির্জাকে জন্ম দেন। মির্জা তার পিতার মৃত্যুর পর সুলতান হোসেন মির্জার সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হন ও রাজ্যে অনেক অশান্তি সৃষ্টি করেন। তার তৃতীয় বোন ইব্রাহিম বারলাসের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ও তিনি জিহাঙ্গীর বারলাস নামে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন, যিনি চাঘাটাই শাসনের শেষে মুখ্যমন্ত্রী হন। তার চতুর্থ বোন সাইয়্যেদ শাহ বুজুর্গ আরহাঙ্গীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তার পঞ্চম বোন শেখ আবদুল্লাহ বারলাসের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন, যিনি সুলতান ভাইস বারলাস, মিজরাব বারলাস ও সুলতান সানজার নামে তিন পুত্র সন্তানের জন্ম দেন।[৫]