ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | মোহাম্মদ শাহজাইব হাসান খান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | করাচি, সিন্ধু, পাকিস্তান | ২৫ ডিসেম্বর ১৯৮৯|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ১.৮৩ মিটার (৬ ফুট ০ ইঞ্চি) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডান হাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | অফ-ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১৭৫) | ১৫ জুন ২০১০ বনাম শ্রীলংকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ৮ নভেম্বর ২০১০ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টি২০আই অভিষেক (ক্যাপ ৩৩) | ১৩ জুন ২০০৯ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টি২০আই | ২৭ অক্টোবর ২০১০ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৮-২০১০ | করাচি জেব্রাস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১১-২০১৫ | করাচি ডলফিনস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৩ | দুরন্ত রাজশাহী | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৫ | ঢাকা ডায়নামাইটস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৬ | করাচি কিংস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৬- | করাচি ব্লুজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ২৫ নভেম্বর ২০১৩ |
মোহাম্মদ শাহজাইব হাসান খান (উর্দু: محمد شاہ زیب حسن خان, জন্ম: ২৫ ডিসেম্বর ১৯৮৯) একজন পাকিস্তানি ক্রিকেটার যিনি স্পট-ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার জন্য চার বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন। পূর্বে, তিনি করাচি জেব্রাসের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতেন, ২০০৮-০৯ মৌসুমে তাদের সাথে তার অভিষেক হয়েছিল।
করাচি জেব্রাসের হয়ে ব্যাটিং শুরু করে কিছু উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্সের পর (৯৬.১১ স্ট্রাইক রেটে সাতটি ম্যাচে ২৫০ রান), হাসান ২০০৯ সালের আইসিসি বিশ্বকাপ টি-টোয়েন্টির জন্য পাকিস্তান দলে ডাক পান, তিনি উক্ত পাকিস্তান দলে থাকা দুজন আনক্যাপড খেলোয়াড়ের একজন ছিলেন।[১] ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে, ২০১৭ পাকিস্তান সুপার লিগ স্পট-ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে অংশ নেওয়ার জন্য তাকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়, পরে একটি আপিল করা হলে যার মেয়াদ আরও চার বছর বাড়ানো হয়।
টুর্নামেন্টের শুরুতে সালমান বাটের খারাপ পারফরম্যান্সের পর, ১৩ জুন ২০০৯-এ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তার টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়, সেখানে তিনি ২৮ বলে ৪ চার এবং ২ ছক্কায় ৩৫ রান করেন। তিনি দলে নিজের জায়গা ধরে রাখেন ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফাইনালে ১৯ রান করেন, যা পাকিস্তান ২০০৯ সালের আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিততে সাহায্য করে।
টি-টোয়েন্টিতে তার পারফরম্যান্সের পর তার ওজন অনেক বেড়ে যায়, ফলে কোনো ফরম্যাটে খেলার জন্য তাকে নির্বাচিত করা হয়নি, তবে তাকেসহ শোয়েব আখতার, আসাদ শফিক, উমর আমিন এবং আবদুর রহমানের মতো অনেক চমককে ২০১০ এশিয়া কাপের দলে রাখা হয়েছিল। এরপর ২০১০ এশিয়া কাপের সময় তিনি তার তৃতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ফিফটি করেন। এরপর ২০১০ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিরপেক্ষ টেস্ট সিরিজে তাকে নির্বাচিত করা হয়। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্যও তিনি নির্বাচিত হন।[২] শাহজাইব হাসান এরপর সমারসেটের বিপক্ষে (ইংল্যান্ড সিরিজের ঠিক আগে) প্রস্তুতি ম্যাচে অংশ নেন এবং ১০৫ রান করেন এবং চতুর্থ উইকেটে ফাওয়াদ আলমের সাথে ১৬৯ রানের জুটি গড়েন।[৩]
শাহজাইব প্রাথমিকভাবে অক্টোবর ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের জন্য নির্বাচিত হননি, কিন্তু অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি, ওয়াকার ইউনিস, আকিব জাভেদ এবং ইন্তেখাব আলমের টিম ম্যানেজমেন্টের চাপের পর নির্বাচকরা শাহজাইব এবং ফাস্ট বোলার ওয়াহাব রিয়াজকে ওডিআইতে এবং টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে যোগ করেন। শাহজাইব ২০১০-২২ ফয়সাল ব্যাংক টোয়েন্টি-২০ কাপে ভাল পারফরম্যান্স করেছিলেন, তিনি টুর্নামেন্টে ২৩৯ রান করেছিলেন এবং তার নতুন ঘরোয়া দল করাচি ডলফিনকে টুর্নামেন্টের ফাইনালে যেতে সাহায্য করেছিলেন। ফাইনালে তিনি ৩৩ রান করেন কিন্তু করাচি ডলফিনসকে জিততে পারেনি। টুর্নামেন্টে শাহজাইবের সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ১০১* এবং তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি টুর্নামেন্টে সেঞ্চুরি করেছিলেন। [৪]
২০১৮ সালে ফেব্রুয়ারী, ২০১৭ পাকিস্তান সুপার লিগ স্পট-ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে তার অভিযুক্ত ভূমিকার জন্য হাসানকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয় এবং এক মিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি জরিমানা করা হয়।[৫] ২০১৮ সালে আগস্টে, তিনি এটির পর্যালোচনা আপিল করেন, যার ফলে তার নিষেধাজ্ঞা আরও চার বছর বাড়ানো হয় এবং জরিমানাও বহাল রাখা হয়।[৬]