শাহনায পাহলভি | |||||
---|---|---|---|---|---|
ইরানের রাজকন্যা | |||||
![]() ১৯৬৭ সালে রাজকন্যা শাহনায | |||||
জন্ম | শাহনায ২৭ অক্টোবর ১৯৪০ তেহরান, ইরান | ||||
দাম্পত্য সঙ্গী |
| ||||
বংশধর |
| ||||
| |||||
রাজবংশ | পাহলভি | ||||
পিতা | মোহাম্মদ রেজা পাহলভি (১৯১৯–১৯৮০) | ||||
মাতা | মিশরের ফাউযিয়া ফুয়াদ (১৯২১–২০১৩) |
রাজকন্যা শাহনায পাহলভি (ফার্সি: شهناز پهلوی; জন্ম ২৭ অক্টোবর ১৯৪০) ছিলেন ইরানের রাজকন্যা এবং ইরানের শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভি এবং তার প্রথম স্ত্রী মিশরের ফৌযিয়া ফুয়াদের প্রথম ও জ্যেষ্ঠ কন্যা।[১] সাম্রাজ্যে আনুষ্ঠানিক ব্যবহারশৈলী অনুযায়ী তাকে "আপনার রাজকীয় মহিমা" সম্মোধন করা হতো।
শাহনায পাহলভি ২৭ অক্টোবর ১৯৪০ সালে ইরানের তেহরানে পাহলভি রাজবংশে জন্ম নেন।[২] তিনি ইরানের সর্বশেষ শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভির এবং তার প্রথম সম্রাজ্ঞী মিশরের ফৌযিয়া ফুয়াদের প্রথম এবং জ্যেষ্ঠ সন্তান।[৩][৪] শাহনায, মাকুটধারী যুবরাজ রেজা পাহলভি, রাজকন্যা ফারাহনায পাহলভি, যুবরাজ ২য় আলি-রেজা পাহলভি এবং রাজকন্যা লেইলা পাহলভির বৈমাত্র ভাইবোন- যারা শাহ এবং তার তৃতীয় স্ত্রী ফারাহ দিবার চার সন্তান।[৫]
মিশরের রাজা প্রথম ফুয়াদ তার মাতৃক পিতামহ এবং রানী নাজলি তার মাতৃক মাতামহ ছিলেন; এবং ইরানের রেজা শাহ পাহলভি তার পৈতৃক পিতামহ ও রানী তাদজ অল-মোলোক তার পৈতৃক মাতামহ ছিলেন।[২] তিনি মিশরের রাজা প্রথম ফারুকের ভ্রাতুষ্পুত্রী এবং শেষ মিশরীয় রাজা দ্বিতীয় ফুয়াদের চাচাতো বোন।[৬]
শাহনায পাহলভি সুইজারল্যান্ডে শিক্ষা গ্রহণ করেন।[২][৭]
১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামি বিপ্লবের ফলে শাহনায ইরান ত্যাগ করতে বাধ্য হন এবং সুইজারল্যান্ডে চলে যান।[৫]
ইরানের রাজকন্যা ফারাহনায পাহলভি এর রীতি | |
---|---|
![]() | |
উদ্ধৃতিকরণের রীতি | তার রাজকীয় মহিমা |
কথ্যরীতি | আপনার রাজকীয় মহিমা |
১৯৫৫ সালে জার্মানিতে জেনারেল ফজলুল্লাহ জহেদির পুত্র, তৎকালীন ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরডেশির জাহেদির সঙ্গে সাক্ষাৎ ঘটে।[৭] বছর দুয়েক পর, ১৯৫৭ সালের ১১ অক্টোবর, তেহরানের গোলেস্তান প্রাসাদে শাহনায ১৬ বছর বয়সে আরডেশির জাহেদিকে বিয়ে করেন।[১][৭] জহেদি একবার ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং দু'বার (১৯৫৭–৬৪ ও ১৯৭২–৭৯) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইরানি রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন।[৭][৮] ১৯৫৮ সালের ২ ডিসেম্বর তেহরানে রাজকন্যা জহরা মাহনাজ জহেদি নামে এই দম্পতির একমাত্র কন্যাসন্তানের জন্ম হয়।[৯] ১৯৬৪ সালে এই আরডেশির জাহেদির সঙ্গে শাহনাযের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে।[২]
শাহনায পরবর্তীকালে ফেব্রুয়ারি ১৯৭১ সালে প্যারিসের ইরানি দূতাবাসে খসরো জাহানবানিকে বিয়ে করেন।[১০] যদিও ২০১৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত জাহানবানির মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তাদের বিবাহ স্থায়ী হয়। ১৯৭১ সালের ২০ নভেম্বর, এই দম্পতির এক পুত্রসন্তানের জন্ম হয়, যার নাম কিখোশো জাহানবানি। ১৯৭৩ সালে শাহনাযের প্রথম এবং শাহনায-খসরো দম্পতির দ্বিতীয় সন্তান ফৌযিয়া জাহানবানির জন্ম হয়।[২]
পিতার পাহলভি রাজত্বের সময় শাহনায হোন্ডা বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেলের কৃষি উদ্যোগ ও সমাবেশে বিনিয়োগ করেছিলেন।[১১]
শাহনায পাহলভি-এর পূর্বপুরুষ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
|