বালাসাহেবাঞ্চী শিবসেনা | |
---|---|
সভাপতি | একনাথ শিন্ডে |
লোকসভায় নেতা | রাহুল শেওয়ালে |
প্রতিষ্ঠাতা | একনাথ শিন্ডে |
প্রতিষ্ঠা | ১০ অক্টোবর ২০২২ |
ভাঙ্গন | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ |
বিভক্তি | শিবসেনা |
ভাবাদর্শ | হিন্দুত্ব[১] Hindu nationalism[২] |
রাজনৈতিক অবস্থান | ডানপন্থী |
স্বীকৃতি | নিবন্ধিত |
জোট | এনডিএ (কেন্দ্রীয়) মহাযুতি (মহারাষ্ট্র) |
লোকসভায় আসন | ১২ / ৫৪৩ |
রাজ্যসভায় আসন | ০ / ২৪৫ |
মহারাষ্ট্র বিধানসভা-এ আসন | ৪০ / ২৮৮ |
মহারাষ্ট্র বিধান পরিষদ-এ আসন | ০ / ৭৮ |
নির্বাচনী প্রতীক | |
![]() | |
ভারতের রাজনীতি রাজনৈতিক দল নির্বাচন |
বালাসাহেবাঞ্চী শিবসেনা[৩][৪][৫] হচ্ছে ভারতের মহারাষ্ট্র-ভিত্তিকি একটি রাজনৈতিক দল। মহারাষ্ট্রের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে ২০২২ সালের ১০ অক্টোবরে দলটি গঠিত হয়। মূল শিবসেনার প্রতীক তীর-ধনুক স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন দলটির জন্য নতুন প্রতীক ঢাল ও জোড়া তলোয়ার প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছে।[৬] ২০২২ সালের মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক সংকটের ফলাফল হিসেবে সৃষ্ট মূল শিবসেনার দুটি পৃথক উপদলের আরেকটি হলো শিবসেনা (উদ্ধব বালাসাহেব ঠাকরে)। এটি বর্তমানে ভারতীয় জনতা পার্টির জোট শরিক হিসেবে মহারাষ্ট্র রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল।
২০২২ সালের মহারাষ্ট্র রাজনৈতিক সংকটের ফলে শিবসেনায় বিভক্তির পরে দলটি গঠিত হয়েছিল। তখন শিবসেনা, কংগ্রেস ও এনসিপির সমন্বয়ে গঠিত জোট সরকার পতনের লক্ষ্যে শিবসেনার গুরুত্বপূর্ণ নেতা ও মন্ত্রী একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভব ঠাকরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে করে শিবসেনার বিধায়কদের অধিকাংশ নিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টির সাথে মিলে সরকার গঠন করে। ফলে একনাথ শিন্ডে মুখ্যমন্ত্রী এবং বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবিস উপমুখ্যমন্ত্রী হন।
এরপর থেকে একনাথ শিন্ডে ও উদ্ধব ঠাকরের দুই পক্ষই নিজেদেরকে "আসল" শিবসেনা দাবি করতে থাকে। এই অবস্থার প্রেক্ষিতে মূল শিবসেনার প্রতীক তীর-ধনুক নিয়ে দুই শিবিরের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করতে থাকে। কিন্তু মহারাষ্ট্র বিধানসভার অন্ধেরি আসনের উপনির্বাচনের পূর্বে প্রতীক নিয়ে দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব বেড়ে গেলে ভারতের নির্বাচন কমিশন দুই পক্ষকে দুটি নাম ও প্রতীক ঠিক করে দেয়।
ফলে ফলে একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে অতি-ডানপন্থী গোষ্ঠী বালাসাহেবঞ্চি শিবসেনা গঠনটি করে। অন্যদিকে ঠাকরের নেতৃত্বে মধ্যপন্থী এবং তুলনামূলকভাবে ধর্মনিরপেক্ষ গোষ্ঠী শিবসেনা (উদ্ধব বালাসাহেব ঠাকরে) গঠন করে।
এসআই № | ছবি | নাম | উপাধি |
---|---|---|---|
1 | একনাথ শিন্ডে | প্রতিষ্ঠাতা ও জাতীয় সভাপতি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী | |
2 | রাহুল শেওয়ালে | নেতা, লোকসভা | |
3 | ![]() |
উদয় সামন্ত | মহারাষ্ট্র বিধান পরিষদের ভারপ্রাপ্ত উপনেতা মহারাষ্ট্রের ক্যাবিনেট মন্ত্রী |
এসআই № | ছবি | নাম | উপাধি |
---|---|---|---|
1 | একনাথ শিন্ডে | রাষ্ট্রপতি | |
2 | দীপক কেসরকার | প্রধান মুখপাত্র | |
3 | রামদাস কদম | নেতা | |
4 | আনন্দরাও আদসুল | নেতা | |
5 | যশবন্ত যাদব | উপনেতা | |
6 | গুলাবরাও পাতিল | উপনেতা | |
7 | ![]() |
উদয় সামন্ত | উপনেতা |
8 | ![]() |
শরদ পঙ্কশে | উপনেতা |
9 | তানাজি সাওয়ান্ত | উপনেতা | |
10 | বিজয় নাহাটা | উপনেতা | |
11 | শিবাজিরাও আধালারাও পাতিল | উপনেতা | |
সূত্র :[৭] |
একনাথ শিন্ডে ও দেবেন্দ্র ফড়নবিশের নেতৃত্বে জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট এবং উদ্ধব ঠাকরে ও শারদ পাওয়ারের নেতৃত্বে মহা বিকাশ আঘাড়ির মধ্যে প্রথম মুখোমুখি লড়াই হয়েছিল ২০২২ সালের মহারাষ্ট্র গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে। সেখানে এমভিএ ৪৫৭ গ্রাম পঞ্চায়েত আসন জিতেছিল। এরমধ্যে এর মধ্যে এনসিপি ১৫৫টি শিবসেনা (উদ্ভব) ১৫৩টি এবং কংগ্রেস ১৪৯টি আসন পেয়েছে। অন্যদিকে এনডিএ ৩৫২টি আসন পেয়েছে। এর মধ্যে বিজেপি ২৩৯টি এবং শিন্ডের দল ১১৩টি আসন জিতেছে। এছাড়া অন্যান্য দল ২৪১টি আসন জিতেছে।[৮] এমভিএ এনডিএ-র চেয়ে ১০৫টি বেশি আসন জিতায় সার্বিকভাবে শিন্ডের বালাসাবেবঞ্চী শিবসেনা ও বিজেপি পরাজয় বরণ করেছে।