শিয়াল | |
---|---|
পাতিশিয়াল (Canis aureus) | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | প্রাণী জগৎ |
পর্ব: | কর্ডাটা |
শ্রেণী: | স্তন্যপায়ী |
বর্গ: | শ্বাপদ |
পরিবার: | ক্যানিডি |
গণ: | ক্যানিস-এর অন্তর্ভুক্ত |
প্রজাতি | |
পাতিশিয়াল, Canis aureus | |
শিয়াল বা শৃগাল ক্যানিডি গোত্রের ক্যানিস গণের তিনটি সর্বভূক প্রজাতির প্রাণীর সাধারণ নাম। দক্ষিণ এশিয়া, ইউরেশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকায় এদের দেখতে পাওয়া যায়। এদেরকে ফেউ এবং গিধড় ’ইয়াল’ খেঁকশিয়ালও বলা হয়ে থাকে।[১]
বাংলায় খেঁকশিয়ালকেও সাধারণত "শিয়াল" ডাকা হয়, যদিও তা ভিন্ন প্রজাতির প্রাণী। সংস্কৃত শব্দ "শৃগাল"-এর সঙ্গে সম্পর্কিত ফার্সি "শাগাল" (شغال)-এর তুর্কি উচ্চারণ "চাকাল" থেকেই ইংরেজি নাম "জ্যাকেল" (jackal)-এর উৎপত্তি। চট্টগ্রাম অঞ্চলে ইয়াল নামে ডাকা হয় এবং সিলেটে হিয়াল।
এরা সাধারণত মাংসাশী প্রাণী। এদের প্রধান খাবার মৃত প্রাণীর মাংস, খরগোশ, ইঁদুর, টিকটিকি, মুরগি, হাঁস, মথুরা ইত্যাদি। তবে জলজ প্রাণি কাঁকড়া এদের প্রিয় খাবার। খাল-বিল, নদ-নদী এবং হাওড়ের পাশে এরা গর্ত থেকে নিজের লেজ ফাঁদ হিসেবে ব্যবহার করে কাঁকড়া ধরে। ফাঁদ হিসেবে গর্তে লেজ ঢুকিয়ে দেয় এরা। লেজে কাঁকড়া কামড় দিয়ে ধরলেই লেজ বের করে খেয়ে নেয়।
বন-জঙ্গল কেটে মানুষের প্রয়োজনে আবাসস্থল ও কৃষি জমি ব্যবহারের কারণে শেয়ালরা আজ বাসস্থান সংকটে।
আধুনিক পদ্ধতিতে হাঁস-মুরগি পালনের কারণে এরা আর সহজে তাদের খাবারও চুরি করে খেতে পায় না। ফলে বাসস্থান আর খাদ্যাভাবে এরা এখন বিপন্ন কিংবা বিলুপ্ত প্রাণির হিসাবে। শোনা যায়, এখন অনেক মানুষের প্রিয় খাবার শেয়াল। প্রতিনিয়ত এরা শিকারে পরিণত হয়ে বেঘোড়ে প্রাণ দিচ্ছে।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |