শিলচর | |
---|---|
শহর | |
ভারতের আসাম রাজ্যের মানচিত্রে অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৪°৪৯′ উত্তর ৯২°৪৮′ পূর্ব / ২৪.৮২° উত্তর ৯২.৮° পূর্ব | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | অসম |
জেলা | কাছাড় |
সরকার | |
• শাসক | শিলচর পৌরসভা (৩০টি ওয়ার্ড) |
আয়তন | |
• শহর | ১৭.১২ বর্গকিমি (৬.৬১ বর্গমাইল) |
• মহানগর | ৩০.৩৯ বর্গকিমি (১১.৭৩ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ২২ মিটার (৭২ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• শহর | ২,২৮,৯৮৫ |
• জনঘনত্ব | ১৩,০০০/বর্গকিমি (৩৫,০০০/বর্গমাইল) |
• মহানগর | ১,৭৮,৮৬৫ |
ভাষা | |
• সরকারী | বাংলা |
• স্থানীয় | সিলেটি |
সময় অঞ্চল | ভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+৫:৩০) |
পিন | ৭৮৮০০১ থেকে ৭৮৮০৩২ এবং ৭৮৮১১৮ |
দূরভাষ কোড | ৯১ (০) ৩৮৪২ |
যানবাহন নিবন্ধন | এএস-১১ |
ওয়েবসাইট | www |
শিলচর (ইংরেজি: Silchar,বাংলা: শিলচর) ভারতের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত আসাম রাজ্যের কাছাড় জেলার সদর শহর এবং দক্ষিণ আসামের একটি প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র। মণিপুরের কিছু অংশ এবং মিজোরামের জন্য এই শহরের অর্থনৈতিক গুরুত্ব অপরিসীম। এর ফলে শিলচরে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের ব্যবসায়ীরা বসতি স্থাপন করেছেন।
বরাক নদীর তীরে অবস্থিত এই শহর উত্তর-পূর্ব ভারতের মধ্যে শান্তিপূর্ণ জায়গা হিসেবে তখনকার ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর কাছ থেকে "শান্তির দ্বীপ" আখ্যা লাভ করেছিল। [১] তৎকালীন পূর্ববঙ্গের সিলেটিরা এই শহরের অন্যতম প্রধান জনগোষ্ঠী। ভাত এবং মাছ এখানকার লোকদের প্রধান খাদ্য। এছাড়া "শুঁটকি" এবং "চুঙ্গা পিঠা" এখানকার বিখ্যাত উপাদেয় খাদ্য।
ব্রিটিশ শাসনকালে বরাক নদীতে মালবাহী জাহাজের নোঙর পড়তো৷ ধীরে ধীরে ঐ অঞ্চলে হাট-বাজার গড়ে ওঠে ও ব্যবসার অন্যতম কেন্দ্র হয়ে উঠতে থাকে৷ নদীর তীরবর্তী অঞ্চল নুড়িপাথরে ঢাকা থাকায় ডিঙ্গা বা বড়ো মালবাহী জাহাজ বাঁধতে সুবিধা হতো৷ স্থানীয়রা এইকারণে জায়গাটিকে 'শিলের চর' বলে অভিহিত করতে থাকে, যার অর্থ নুড়ি পাথরে আবৃৃৃত নদীর তীর৷ সময়প্রবাহে 'শিলের চর' আস্তে আস্তে শিলচর রূপ পায়৷ ব্রিটিশ সরকারি বিভিন্ন নথিপত্রে এই অঞ্চল সংলগ্ন বাজার ও বসতি এলাকাতে শিলচর নামেরই উল্লেখ হতে থাকে৷ স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এইনামেই শহরটির শ্রীবৃৃদ্ধি হতে থাকে৷[২]
১৮৫০ বঙ্গাব্দে ব্রিটিশ চা ব্যবসায়ীরা ভারত-ময়ানমার সীমান্তে অবস্থিত মণিপুরে প্রথম ভারতের পোলো খেলা চালু করেছিলেন৷ বিশ্বের প্রথম স্থাপিত পোলোক্লাবটি শিলচরে অবস্থিত৷[৩][৪] প্রথম প্রতিযোগীতামূলক আধুনিক পোলো খেলা শিলচরেই শুরু হয়, তার প্রমাণচিহ্ন শিলচরে কাছাড় জেলা গ্রন্থাগারে আজও উপস্থিত৷[৩][৪]
শিলচর বাংলা ভাষা আন্দোলনের জন্য অন্যতম৷ তৎকালীন আসাম সরকার তথা আসামের মুখ্যমন্ত্রী বিমলা প্রসাদ চলিহা অসমীয়া ভাষাকে আসামে বাধ্যতামূলক করার জন্য একটি আইনের অনুমোদন করলে সেখানে বাঙালি সমাজ তার তীব্র প্রতিবাদ জানায়৷ ৫ই জ্যৈষ্ঠ ১৩৬৮ বঙ্গাব্দে(১৯শে মে ১৯৬১ খ্রিষ্টাব্দ) আসাম পুলিশ শিলচর রেলওয়ে স্টেশনে নিরস্ত্র প্রতিবাদী বাঙালির ওপর গুলি চালায়৷ বাঙালির অধিকারের লড়াই করতে গিয়ে এগারো জন প্রতিবাদী বাঙালি শহিদ হন৷
এছাড়াও আসামেই বাংলা ভাষার জন্য ১৯৭২ সালের ১৭ আগস্ট আরো একজন শহীদ হন:
১৯৮৬ সালের ২১ জুলাই শহীদ হন দুজন:
এই জনবিদ্রোহের পরে আসাম সরকার তার সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটে ও দক্ষিণ আসাম বরাক উপত্যকায় বাংলা ভাষাকে সরকারী ভাষা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে বাধ্য হয়৷[৫][৬] ১৯৬১ খ্রিষ্টাব্দে আসাম এক্ট ১৪ এর ৫ম ধারার আইনটি কাছাড় জেলাতে বাংলা ভাষাকে সংরক্ষণের স্বীকৃৃতি দেয়৷ এই এক্ট অনুসারে - “Without prejudice to the provisions contained in Section 3, the Bengali language shall be used for administrative and other official purposes up to and including district level.”(৩য় ধারাতে উল্লেখিত পূর্বধারণার ব্যতিক্রম হিসাবে জেলাস্তরের সরকারি ভাষা হিসাবে প্রশাসনিক ও অন্যান্য কাজে বাংলা ভাষার ব্যবহার করা যাবে)৷
শিলচর আসামের দক্ষিণ সীমায় অবস্থিত।[৭] বরাক নদীর তীরে অবস্থিত এই শহর চা, চাল এবং আরো নানারকম কৃষিজাত দ্রব্যের জন্য বিখ্যাত। পাঁচগ্রাম কাগজ কল, সিমেন্ট কারখানা এবং চা-পাতা উৎপাদন এখানকার প্রধান শিল্প। শিলচর আসামের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগর। শিলচর ভারতের অন্যান্য জায়গার সঙ্গে রেল, সড়ক এবং আকাশপথের মাধ্যমে যুক্ত। শিলচর শিলচর গড়পড়তা ভাবে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২২ মিটার (৭২ ফুট) উঁচুতে। [৮]
শিলচরের জলবায়ু সীমান্তবর্তী ক্রান্তীয় মৌসুমী প্রকৃৃৃতির, যা কোপেন শ্রেণিবিন্যাসের "Am"(এএম) পর্যায়ভুক্ত৷ এই অঞ্চলে শীতকাল তুলনামুলকভাবে সামান্য উষ্ণ যা এই অঞ্চলকে আর্দ্র উপক্রান্তীয় জলবায়ুর ("Cwa") বিশিষ্ট এলাকায় উত্তীর্ণ করেছে৷ শীতকালে জলবায়ু সাধারণত সামান্য উষ্ণ ও শুষ্ক থাকে এবং ভোরের বেলার শীত উপলব্ধি করা যায়৷ এপ্রিল মাসর শুরু থেকে মৌসুমী জলবায়ুতে জলীয় বাষ্পের উপস্থিতি বাতাসকে আর্দ্র করে৷ এইকারণে বছরের সাত মাস শিলচরে গরম ও আর্দ্র আবহাওয়া লক্ষ করা যায় আবার অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত প্রায়শই বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে৷ নভেম্বরে শীতকালের অল্পশীতল ও শুষ্ক আবহাওয়া শুরুর আগে পর্যন্ত উষ্ণ আর্দ্র জলবায়ুই প্রধানত লক্ষ্যনীয়৷
শিলচর (১৯৭১–২০০০)-এর আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য | |||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
মাস | জানু | ফেব্রু | মার্চ | এপ্রিল | মে | জুন | জুলাই | আগস্ট | সেপ্টে | অক্টো | নভে | ডিসে | বছর |
সর্বোচ্চ রেকর্ড °সে (°ফা) | ৩১.০ (৮৭.৮) |
৩৫.০ (৯৫.০) |
৩৭.৮ (১০০.০) |
৩৯.৪ (১০২.৯) |
৩৯.১ (১০২.৪) |
৩৭.৯ (১০০.২) |
৩৯.৪ (১০২.৯) |
৩৯.০ (১০২.২) |
৩৮.৩ (১০০.৯) |
৩৬.৭ (৯৮.১) |
৩৫.০ (৯৫.০) |
৩১.৭ (৮৯.১) |
৩৯.৪ (১০২.৯) |
সর্বোচ্চ গড় °সে (°ফা) | ২৪.৫ (৭৬.১) |
২৬.৪ (৭৯.৫) |
২৯.৬ (৮৫.৩) |
৩০.৫ (৮৬.৯) |
৩১.০ (৮৭.৮) |
৩১.৫ (৮৮.৭) |
৩১.৪ (৮৮.৫) |
৩১.৯ (৮৯.৪) |
৩১.৫ (৮৮.৭) |
৩০.৯ (৮৭.৬) |
২৯.১ (৮৪.৪) |
২৬.১ (৭৯.০) |
২৯.৬ (৮৫.৩) |
সর্বনিম্ন গড় °সে (°ফা) | ১২.১ (৫৩.৮) |
১৪.১ (৫৭.৪) |
১৭.৭ (৬৩.৯) |
২১.০ (৬৯.৮) |
২৩.০ (৭৩.৪) |
২৪.৬ (৭৬.৩) |
২৫.১ (৭৭.২) |
২৫.২ (৭৭.৪) |
২৪.৬ (৭৬.৩) |
২২.৯ (৭৩.২) |
১৮.৬ (৬৫.৫) |
১৩.৯ (৫৭.০) |
২০.৪ (৬৮.৭) |
সর্বনিম্ন রেকর্ড °সে (°ফা) | ৩.৩ (৩৭.৯) |
২.৮ (৩৭.০) |
৮.৩ (৪৬.৯) |
১৩.২ (৫৫.৮) |
১৫.৬ (৬০.১) |
১৯.৩ (৬৬.৭) |
১৯.০ (৬৬.২) |
১৯.৪ (৬৬.৯) |
১৬.৮ (৬২.২) |
১৪.৪ (৫৭.৯) |
১০.৬ (৫১.১) |
৪.৪ (৩৯.৯) |
৫.০ (৪১.০) |
অধঃক্ষেপণের গড় মিমি (ইঞ্চি) | ১২.১ (০.৪৮) |
৪৪.২ (১.৭৪) |
২২৯.৩ (৯.০৩) |
২৫৮.১ (১০.১৬) |
৪৬০.৭ (১৮.১৪) |
৬১২.০ (২৪.০৯) |
৫০৩.২ (১৯.৮১) |
৪২৭.৭ (১৬.৮৪) |
৩৬৬.৫ (১৪.৪৩) |
১৬৮.৭ (৬.৬৪) |
৩৩.৩ (১.৩১) |
১২.৮ (০.৫০) |
৩,১২৮.৬ (১২৩.১৭) |
বৃষ্টিবহুল দিনগুলির গড় | ১.০ | ৩.৯ | ৮.৫ | ১২.৬ | ১৬.২ | ২১.৫ | ২২.৫ | ১৯.৩ | ১৫.৫ | ৭.৭ | ২.৪ | ০.৬ | ১৩১.৬ |
উৎস: ভারত আবহাওয়া অধিদপ্তর (রেকর্ড উচ্চ এবং নিম্ন পর্যন্ত ২০১০)[৯][১০] |
২০১১ জনগণনা অনুসারে শিলচর পৌরসভার জনসংখ্যা ১৭৮৮৬৫ জন৷ যার মধ্যে ৮৯৯৬১ জন পুরুষ ও ৮৮৯০৪ জন নারী৷ প্রতি হাজার পুরুষে নারী সংখ্যা ৯৮৮ জন, যা জাতীয় গড় ৯৫০ জনের থেকে বেশি৷ ৬ বৎসর অনূর্ধ্ব শিশু সংখ্যা ১৬৩৩৫ জন, যা সমগ্র জনসংখ্যার ৯.১৩%৷ শিশুদের লিঙ্গানুপাত প্রতি হাজার শিশুপুত্রে ৯২৭ জন শিশুকন্যা৷[১৪]
২০১১ জনগণনা অনুসারে শিলচর মহানগরের জনসংখ্যা ২২৯১৩৬ জন৷ যার মধ্যে ১১৫৪৯৭ জন পুরুষ ও ১১৩৬৩৯ জন নারী৷ প্রতি হাজার পুরুষে নারী সংখ্যা ৯৮৪ জন, যা জাতীয় গড় ৯৫০ জনের থেকে বেশি৷ ৬ বৎসর অনূর্ধ্ব শিশু সংখ্যা ২২৯৭৬ জন, যা সমগ্র জনসংখ্যার ১০.০৩%৷ শিশুদের লিঙ্গানুপাত প্রতি হাজার শিশুপুত্রে ৯৪৪ জন শিশুকন্যা৷[১৫]
শিলচর শহরটি বাঙালি অধ্যুষিত হলেও এই শহরে প্রমিত বাংলা ভাষার বদলে উত্তর-পূর্বের স্থানীয় সিলেটি বাংলারই প্রচলন বেশি৷ বাঙালি ছাড়াও হিন্দি, মণিপুরী, বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরীভাষী লোক বহুসংখ্যায় থাকেন৷
শিলচর পৌরসভায়,
শিলচর মহানগরের সাক্ষরতা হার ৯০.২৬%, যা রাষ্ট্রীয় গড় ৮৪%(২০১৭) সাক্ষরতার হারের থেকে বেশি৷ পুরুষ সাক্ষরতার হার ৯২.৯০% এবং নারী সাক্ষরতার হার ৮৭.৫৯%৷[১৭]
আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল প্রাঙ্গনটি শিলচর শহরেই অবস্থিত৷ বিশ্ববিদ্যালয়টিতে স্নাতক ও সাধারণ ও স্নাতকোত্তর পঠনপাঠনের সুবিধা রয়েছে৷ ১৯৯৪ খ্রিষ্টাব্দে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়, বর্তমানে ১৭ টি সাধারণ বিদ্যালয় ও ৩৫ স্নাতকোত্তর বিভাগ এর অধীনে রয়েছে৷ এছাড়া ৫৬ টি মহাবিদ্যালয় এই বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা অনুমোদিত৷[১৮][১৯] শিলচরের অধিকাংশ মহাবিদ্যালয় এর অধীনস্থ৷
তারাপুরে অবস্থিত এ.কে. চন্দ আইন মহাবিদ্যালয়
শিলচর হচ্ছে শিলচর লোকসভা কেন্দ্রের অংশ। শিলচর থেকে সংসদের বর্তমান সদস্য হচ্ছেন সুস্মিতা দেব। যিনি হচ্ছেন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রবীণ রাজনীতিবিদ সন্তোষ মোহন দেবের মেয়ে। [২১]
এছাড়া উল্লেখযোগ্য শহর হওয়ার কারণে সড়কপথে সামের অন্যান্য বিভিন্ন শহরসহ রাজধানী গুয়াহাটির সংযোগ রয়েছে৷ গুয়াহাটি শহরটি ৩৪৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত৷
শিলচর শহরের দুটি স্টেশন হলো যথাক্রমে নিউ শিলচর রেলওয়ে স্টেশন ও শিলচর রেলওয়ে স্টেশন৷ এটি উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে বিভাগের অন্তর্গত৷
শিলচর বিমানবন্দরটি এই শহরে অবস্থিত, যা মূল শহর থেকে প্রায় ২২কিলোমিটার দূরে অবস্থিত৷ এই বিমানবন্দর ১৯৪৪ সালে ব্রিটিশ সরকার চালু করে। এটি কিড়িগ্রাম এয়ার বেস হিসাবেও পরিচিত। এই বিমানবন্দর থেকে অসামরিক বিমান পরিবহন চালু রয়েছে। একই সঙ্গে এটি ভারতীয় বায়ু সেনার একটি বিমান ঘাটি।[২২] এই বিমানবন্দর থেকে প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ টি বিমান ওঠা-নামা করে এবং সপ্তাহে মোট প্রায় ৩০ টি বিমান চলাচল করে। এই বিমানবন্দরটি উত্তর-পূর্ব ভারত-এর চতুর্থ বৃহত্তম ও ব্যস্ততম বিমানবন্দর। ২০১৮-২০১৯ সালে এই বিমানবন্দরের যাত্রী পরিবহন সংখ্যা ৩ লক্ষ ৮৬ হাজার ৬৬৫ এবং বিমান চলাচলের সংখ্যা ৩,৩৮০ টি।
এই বিমানবন্দর থেকে গৌহাটি, কলকাতা, ইম্ফল, আগরতলা ও যোরহাট বিমানবন্দরে বিমান পরিচালনা করা হয়।
শিলচর শহরের অন্যতম দর্শনীয় স্থানসমূহ হলো:
|আর্কাইভের-তারিখ=
(সাহায্য)
|আর্কাইভের-তারিখ=
(সাহায্য)