শিশুতোষ ছড়া বাংলাদেশ, ভারত, ব্রিটেনসহ অন্যান্য অনেক দেশের শিশুদের জন্য রচিত ঐতিহ্যবাহী কবিতা বা গান। ইংরেজিতে একে নার্সারি রাইম বলা হয়ে থাকে। তবে নার্সারি রাইম শব্দটির ব্যবহার ১৮ শতকের শেষ অথবা ১৯ শতকের প্রথম দিকে শুরু হয়। মাদার গোজ রাইম শব্দটি এর সমার্থকপ্রায়।[১]
ষোড়শ শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকে শিশুতোষ ছড়াগুলো ইংরেজি নাটকে রেকর্ড করা শুরু হয়। অধিকাংশ জনপ্রিয় ইংরেজি ছড়াই ১৭ তম এবং ১৮ শতকে রেকর্ড করা হয়েছে।[২]
শিশুতোষ ছড়া তৈরি হয় মূলত শিশু-মনোরঞ্জনের উদ্দেশ্যে। ১৮৯৯ খ্রিষ্টাব্দে যোগীন্দ্রনাথ সরকার শিশুতোষ ছড়াকে প্রথম গ্রন্থভুক্ত করেন এবং গ্রন্থটির নাম দেন 'খুকুমণির ছড়া' এই গ্রন্থটির ভূমিকায় সর্বপ্রথম রামেন্দ্র সুন্দর ত্রিবেদী ছড়াকে সাহিত্যের একটি অন্যতম শাখা হিসেবে স্বীকৃতি দেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার সম্পাদিত কাব্যগ্রন্থে সুকুমার রায়ের ছড়া সংকলিত করে ছড়ার গ্রহণযোগ্যতাকে মজবুত করেন।
শিশুতোষ ছড়া প্রায়শই এলোমেলো অর্থবিশিষ্ট হয়। তবে কোনো কোনোটি গূঢ় ও সন্নিহিত অর্থ বহন করে।
এটি যৌক্তিক প্রমাণিত হয়েছে যে শিশুতোষ ছড়াগুলো বাচ্চাদের মনোজাগতিক বিকাশে বিস্তর সহায়তা করে।[৩][৪] গবেষণাটিতে আরো বলা হয়েছে যে সঙ্গীত এবং ছড়া স্থানিক যুক্তিতে একটি শিশুর দক্ষতা বৃদ্ধি করে, যা গণিত দক্ষতায় সহায়তা করে।[৫][৬]
উৎস