শীলা দীক্ষিত | |
---|---|
দিল্লি কংগ্রেসের কমিটি এর সভাপতি | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ১০ জানুয়ারি ২০১৯ | |
জাতীয় সভাপতি | রাহুল গান্ধী |
পূর্বসূরী | অজয় মাকেন |
কেরালার গভর্নর | |
কাজের মেয়াদ ১১ মার্চ ২০১৪ – ২৫ আগস্ট ২০১৪ | |
পূর্বসূরী | নিখিল কুমার |
উত্তরসূরী | পি. সাঠাসিভাম [১] |
দিল্লির ৬তম মুখ্যমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ৩ ডিসেম্বর ১৯৯৮ – ২৮ ডিসেম্বর ২০১৩ | |
পূর্বসূরী | সুষমা স্বরাজ |
উত্তরসূরী | অরবিন্দ কেজরীওয়াল |
আইন পরিষদের সদস্য নতুন দিল্লি গোলে মার্কেট (১৯৯৮-২০০৮) | |
কাজের মেয়াদ ৩ ডিসেম্বর ১৯৯৮ – ২৮ ডিসেম্বর ২০১৩ | |
পূর্বসূরী | কির্তি আজাদ |
সংসদ সদস্য কানৌজ | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ১৯৮৪ | |
পূর্বসূরী | ছত্তী সিং যাদব |
উত্তরসূরী | ছত্তী সিং যাদব |
ভারতীয় প্রতিনিধিদলের সদস্য নারীর অবস্থা সম্পর্কে জাতিসংঘ কমিশন | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ১৯৮৪ | |
প্রধানমন্ত্রী | ইন্দিরা গান্ধী রাজিব গান্ধী |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | কাপুরথালা, পাঞ্জাব, ব্রিটিশ ভারত | ৩১ মার্চ ১৯৩৮
মৃত্যু | ২০ জুলাই ২০১৯ |
রাজনৈতিক দল | ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের |
দাম্পত্য সঙ্গী | বিনোদ দীক্ষিত |
সন্তান | সন্দীপ দীক্ষিত লতিকা দীক্ষিত সৈয়দ |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | মিরান্ডা হাউস, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় |
শীলা দীক্ষিত (বিবাহ-পূর্ব কাপুর;[২] মাঝে ইংরেজিকরণ দীক্সিত) (৩১ মার্চ ১৯৩৮ - ২০ জুলাই ২০১৯) একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ যিনি দীর্ঘতম মেয়াদের দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী, ১৯৯৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ১৫ বছর একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। তিনি দিল্লিতে পরপর তিনটি নির্বাচনে জয়লাভ করেন কংগ্রেস পার্টির নেতৃত্বে। ডিসেম্বর ২০১৩ সালে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে নতুন দিল্লি আসনে তিনি পরাজিত হন আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরীওয়ালের কাছে এবং অরবিন্দ কেজরীওয়াল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তার স্থলাভিষিক্ত হন। তারপরে ১১ই মার্চ ২০১৪ সালে কেরালার গভর্নর হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। তবে ২৫শে আগস্ট ২০১৪ সালে তিনি পদত্যাগ করেন।[৩] ২০১৭ সালের উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের জন্য প্রধান পদপ্রার্থী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করা হয় তবে পরে তিনি তা প্রত্যাহার করে নেন। তাকে ১০ জানুয়ারি ২০১৯ সালে দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি হিসাবে নিযুক্ত করা হয়।[৪]
শীলা কাপুরের জন্ম ১৯৩৮ সালের ৩১ মার্চ পাঞ্জাবেরর কাপুরথালায় একটি পাঞ্জাবী ক্ষত্রি পরিবারে।[৫] তিনি নতুন দিল্লিতে কনভেন্ট অফ জেসস অ্যান্ড মেরি স্কুল থেকে পড়াশোনা করেন এবং দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের মিরান্ডা হাউস থেকে ইতিহাসে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।[৬]
১৯৮৪ থেকে ১৯৮৯ সালের মধ্যে তিনি উত্তর প্রদেশের কানৌজ সংসদীয় এলাকার প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। সংসদ সদস্য হিসাবে তিনি লোকসভায় আনুমানিক কমিটির দায়িত্ব পালন করেন। শীলা দীক্ষিত ভারতের স্বাধীনতার ৪০ বছর পূর্তির জন্য বাস্তবায়ন কমিটি এবং জওহরলাল নেহ্রু শতবর্ষ স্মরণার্থে কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতিত্ব করেন। তিনি পাঁচ বছর (১৯৮৪-১৯৮৪) নারীর স্থিতি সম্পর্কিত জাতিসংঘ কমিশনে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। ১৯৮৬-১৯৮৯ সালের সময়কালে তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন, প্রথমে সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে এবং পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রতিমন্ত্রী হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেন। উত্তর প্রদেশে, তিনি এবং তার ৮২ জন সহকর্মীকে ১৯৯০ সালের ২৩ আগস্ট রাজ্য সরকার কর্তৃক কারাগারে বন্দি করা হয়েছিল, যখন তিনি নারীদের উপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন পরিচালনা করেছিলেন।
উত্তর প্রদেশের উন্নাওএর উগু গ্রামের, স্বাধীনতা আন্দোলনকারী পশ্চিমবঙ্গের গভর্নর, উমা শংকর দীক্ষিতের ছেলে, বিনোদ দীক্ষিতের সঙ্গে শীলা দীক্ষিতের বিবাহ হয়েছিল।[৭] তিনি আইএএস-এর একজন কর্মকর্তা ছিলেন। তার স্ত্রী ও সন্তানদের সাথে ট্রেনের যাত্রায় হৃদরোগের কারণে তিনি মারা যান।
শীলা দীক্ষিতের দুই সন্তান রয়েছে। তার ছেলে সন্দীপ দীক্ষিত, পূর্ব দিল্লি থেকে পঞ্চদশ লোকসভার সংসদ সদস্য।[৮] শীলা দীক্ষিতের মেয়ে হলেন লতিকা সৈয়দ।
শীলা দীক্ষিত ২০১৯ সালের ২০ জুলাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে দিল্লীর একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।[৯][১০][১১]
পার্টির রাজনৈতিক কার্যালয় | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী অজয় মাকেন |
সভাপতি দিল্লি কংগ্রেস কমিটি ১০ জানুয়ারি ২০৯১ – বর্তমান |
নির্ধারিত হয়নি |
বিধানসভার আসন | ||
পূর্বসূরী ছত্তী সিং যাদব |
সংসদ সদস্য কানৌজ ৩১ ডিসেম্বর ১৯৮৪ - ২৭ নভেম্বর ১৯৮৯ |
উত্তরসূরী ছত্তী সিং যাদব |
সরকারি দফতর | ||
পূর্বসূরী নিখিল কুমার |
কেরালা গভর্নর ১১ মার্চ ২০১৪ – ২৫ আগস্ট ২০১৪ |
উত্তরসূরী পি. সাঠাসিভাম |
রাজনৈতিক দপ্তর | ||
পূর্বসূরী সুষমা স্বরাজ |
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ৩ ডিসেম্বর ১৯৯৮ – ২৮ ডিসেম্বর ২০১৩ |
উত্তরসূরী অরবিন্দ কেজরিওয়াল |