শীলা বরঠাকুর | |
---|---|
জন্ম | ১৯৩৫ ছরঙ্গিয়া গ্রাম, যোরহাট জেলা , আসাম, ভারত |
মৃত্যু | ২১ জুন ২০২০ |
পেশা | সমাজকর্মী সাহিত্যিক |
কর্মজীবন | ১৯৪৫–২০২০ |
পরিচিতির কারণ | সদৌ অসম লেখিকা সমরোহ সমিতি |
দাম্পত্য সঙ্গী | সরনন বরঠাকুর |
সন্তান | ১৪ |
পিতা-মাতা | নবিন শর্মা প্রীতিলতা দেবী |
পুরস্কার | পদ্মশ্রী |
শীলা বরঠাকুর (১৯৩৫ - ২১ জুন ২০২০) ছিলেন একজন ভারতীয় সমাজকর্মী, সাহিত্যিক এবং আসাম রাজ্যের সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও সাহিত্যিক পরিমণ্ডলে কাজ করে এমন একটি বেসরকারি সংস্থা সদৌ অসম লেখিকা সমরোহ সমিতি এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।[১] তিনি ১৯৭৪ থেকে ১৯৭৬, ১৯৯০ থেকে ১৯৯২ এবং ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৪ পর্যন্ত তিনটি মেয়াদে সংগঠনের সভাপতি এবং ১৯৭৬ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত দুই মেয়াদে এর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[২]
বরঠাকুর ১৯৩৫ সালে উত্তর-পূর্ব ভারতীয় রাজ্য আসামের জোড়হাটের একটি ছোট গ্রাম চরিঙ্গিয়ায় নবীন শর্মা এবং প্রীতিলতা দেবীর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তবে তার জীবনের প্রথম বছরগুলো ঢাকায় কেটেছে।[৩] তিনি জগন্নাথ বড়ুয়া মহাবিদ্যালয়ে তার স্নাতক অধ্যয়ন করেন, এবং নৃত্যশিল্পী সারনান বরঠাকুরের সাথে তার বিয়ের পর তিনি তেজপুর হাই স্কুলের একজন শিক্ষক হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। কিন্তু স্নাতকোত্তর এবং ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জনের জন্য তার পড়াশোনা চালিয়ে যান, তার থিসিস ছিল আসামের সামাজিক পরিবর্তনের উপর। পরে তিনি দর্শনের প্রভাষক হিসেবে দারাং কলেজে যোগদান করেন এবং চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত সেখানে কাজ করেন।[৪] এর মধ্যে ১৯৭৯ সালে যখন তেজপুরে প্রথম গার্লস কলেজ, গোপীনাথ বর্দোলোই কন্যা মহাবিদ্যালয় চালু হয়, তখন তিনি সেখানে প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ হিসেবে কাজ শুরু করেন। দারাং কলেজে থাকাকালীন তিনি ১৯৭৪ সালে অসমিয়া মহিলাদের জন্য একটি স্বাধীন সাহিত্য সংগঠনের ধারণা প্রস্তাব করেছিলেন যা সদৌ অসম লেখিকা সমরোহ সমিতি গঠনের পথ প্রশস্ত করে।[৫] তেজপুরের পাঁচটি প্রাপ্তবয়স্ক শিক্ষা কার্যক্রমের সংগঠনেও তার প্রচেষ্টার কথা জানা গেছে এবং তিনি নলিনীবালা দেবী, ধর্মেশ্বরী দেবী বরুয়ানি এবং স্নেহা দেবীর লেখা নিয়ে গঠিত তিনটি বইয়ের সম্পাদক ছিলেন।[৩] সমাজে তার অবদানের জন্য ভারত সরকার তাকে ২০০৮ সালে চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান পদ্মশ্রী প্রদান করে।[৬]
শীলা বরঠাকুর ২১ জুন ২০২০-এ গুয়াহাটিতে দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতার কারণে মারা যান। মৃত্যুর সময় তার বয়স ছিল ৮৪ বছর।[৭][৮]