শুবিয়া (আরবি: الشعوبية) আন্দোলন ছিল একটি সাহিত্যিক-রাজনৈতিক আন্দোলন যা মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে আরবদের বিশেষ মর্যাদা এবং বিশেষ করে উমাইয়াদের আরবীকরণ প্রচারণার বিরোধিতা করেছিল। শুবিদের অধিকাংশই ছিলেন পারস্যদেশী।[১][২]
কোনো নির্দিষ্ট আন্দোলনের প্রসঙ্গে উল্লেখ করা হলে, এই শব্দটি নবম ও দশম শতাব্দীতে ইরানের ক্রমবর্ধমান আরবীকরণের প্রেক্ষিতে পারস্য মুসলমানদের প্রতিক্রিয়াকে নির্দেশ করে। এ আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিল পারস্যের সংস্কৃতি সংরক্ষণ এবং পারস্য পরিচয় রক্ষা করা।[৩]
অষ্টম শতাব্দীর শেষভাগে এবং নবম শতাব্দীর গোড়ার দিকে পারস্য জাতীয় পরিচয়ের এক পুনরুত্থান ঘটে। এটি মূলত সুন্নি ইরানি সামানি রাজবংশের পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে এসেছিল। এই আন্দোলনটি ফার্সি সাহিত্য এবং কবিতার নতুন রূপের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন রেখে যায়। আন্দোলনের পেছনের অধিকাংশ ব্যক্তিত্বই ছিলেন পারস্য, তবে মিশরীয়, বার্বার ও আরামীয়দেরও অবদানের উল্লেখ পাওয়া যায়।[৪]
প্রাচ্যে শুবিয়া আন্দোলনের সমাপ্তির দুই শতাব্দী পরে, আন্দোলনের আরেকটি রূপ ইসলামী ইবেরিয়া আসে এবং মুওয়াল্লাদ (মিশ্র আরব ও আইবেরিয়ান মুসলমান) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এটি প্রধানত বারবারদের দ্বারা ইন্ধন দেওয়া হয়েছিল, তবে গ্যালিশিয়ানরা, কাতালানরা (সেই সময় ফ্রাঙ্কস), ক্যালাব্রিয়ানরা, এবং বাস্করা সহ অনেক ইউরোপীয় সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী অন্তর্ভুক্ত ছিল। শুবি সাহিত্যের একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হলো আন্দালুসীয় কবি ইবনে ঘার্সিয়া (গার্সিয়া)-এর পত্র (রিসালা)।[৫][৬]
ইবনে কুতাইবাহ (একজন পারসীয় পণ্ডিত) এবং আরব লেখক ও পণ্ডিত আল-জাহিজ শুউবিবাদী চিন্তাধারার নিন্দা করে লেখা রচনা করেছেন বলে জানা যায়।