শুবরা এল খেইমা شبرا الخيمة | |
---|---|
শহর | |
মিশরে কায়রোর অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ৩০°৭′৪৩″ উত্তর ৩১°১৪′৩২″ পূর্ব / ৩০.১২৮৬১° উত্তর ৩১.২৪২২২° পূর্ব | |
দেশ | মিশর |
গভর্নরেট | কালুইবিয়া |
আয়তন | |
• মোট | ২৭০.৬৮ বর্গকিমি (১০৪.৫১ বর্গমাইল) |
• স্থলভাগ | ২৭০.৬৮ বর্গকিমি (১০৪.৫১ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ১৬ মিটার (৫২ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১২) | |
• মোট | ১০,৯৯,৩৫৪ |
• জনঘনত্ব | ৪,১০০/বর্গকিমি (১১,০০০/বর্গমাইল) |
সময় অঞ্চল | মিশর মান সময় (ইউটিসি+২) |
শুবরা এল খেইমা, (আরবি: شبرا الخيمة, মিশরীয় আরবি: ˈʃobɾɑ lˈxeːmæ) হচ্ছে মিশরের চতুর্থ বৃহত্তম শহর। কায়রো গভর্নরেটের উত্তর পার্শ্বে কাল্যুবিয়া গভর্নরেটে এটি অবস্থিত। এটি বৃহত্তর কায়রো ইউনিয়নের অংশ গঠন করেছে।
শুবরা এল খেইমাতে প্রাথমিকভাবে শ্রমিকরা (এবং তাদের পরিবার) বসবাস করতেন, যারা ১৯৪০ সাল থেকে পার্শ্ববর্তী কারখানায় কাজ করেছেন। যাইহোক, সম্প্রতি এখানে পার্শ্ববর্তী গ্রামাঞ্চল থেকে অভিবাসনের ফলে উত্তরে বৃহত্তর কায়রোর বিশাল সম্প্রসারিত রূপ ধারণ করে। ২০০৬ সালের আদমশুমারি অনুসারে এর জনসংখ্যা ছিল ১,০১৬,৭২২ জন। এটি দুটি কিজম (ওয়ার্ড) হিসেবে পরিচালিত হয়:[১]
২০১৭ সালের জাতীয় আদমশুমারি থেকে গভর্নরেটের মধ্যে একটি তৃতীয় কিজম (আল খুসাস) চালু আছে। যেহেতু 'পৌর' পদবীটি মিশরে অনানুষ্ঠানিক বলে মনে হয়, তাই এটি শুবরা এল খেইমাতে চালু করা হবে নাকি একটি পৃথক শহর হিসেবে বিবেচনা করা হবে তা জানা ছিল না। ২০১৮ সালের উপাত্ত (সংশোধিত ২০১৭ সালের CAPMAS ডাটা প্রক্ষেপণের উপর ভিত্তি করে) অনুসারে, ওয়ার্ড দুটির জনসংখ্যা ১,১৮৭,৭৪৭ জন এবং প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৪২,৯১০ জন মানুষ বাস করে। তিনটি কিজমে একত্রে মোট জনসংখ্যা ১,৬৫৫,৯৪১ জন এবং প্রতি কিলোমিটারে ৪৬,৭৬৪ জন মানুষ বসবাস করে।
শুবরা এল খেইমা, রাজধানী কায়রো, গিজা, শারকিয়া এবং মানোফিইয়া ও অন্যান্য অনেক গভর্নরেটের একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগসূত্র হিসেবে কাজ করে। উদাহরণস্বরূপ, এটি মিশরের রাজধানী কায়রোর সাথে অনেক রাস্তার সংযোগ, যেমন যদি কেউ শহরের কেন্দ্রস্থলে যেতে চায় তবে কর্নিশ এল-নীল সড়ক ব্যবহার করতে হবে। যদি কেউ রামসেস এলাকায় যেতে চায় তবে আহমেদ হেলমি স্ট্রিট ব্যবহার করতে হবে। একই সাথে শুবরা এল খেইমার এর কায়রো মেট্রোর লাইন- ২ এর উত্তর টার্মিনাস আছে।
শুবরা এল খেইমাতে আধুনিক মিশরের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আলী পাশা প্রাসাদ নির্মাণ করেন। তিনি শুবরা জেলার দুর্গ থেকে দূরে একটি বিচ্ছিন্ন প্রাসাদ বা সরকারী বাসভবন বেছে নেন। প্রাসাদটির নির্মাণ কাজ ১৮০৮ সালে শুরু হয় এবং এটি ১৮২১ সালে এর কাজ সম্পন্ন হয়। মোহাম্মদ আলীর প্রাসাদ বা শুবরা প্রাসাদ এর সাজসজ্জা শৈলীর কারণে আলাদা, যা ইসলামী সাজসজ্জা শৈলী এবং ইউরোপীয় শৈলীর মধ্যে মিশ্রণে তৈরি করা হয়েছে।
মোহাম্মদ আলীর প্রাসাদ শুবরার প্রথম সমৃদ্ধ অবকাঠামো। এই প্রাসাদ একসময় প্রায় ১৩ টি ভবন নিয়ে গঠিত ছিল। কিন্তু বর্তমানে এর একমাত্র অবশিষ্ট অংশ হচ্ছে অভ্যর্থনা এলাকা, ফাউন্টেন কিওস, বেসিন এলাকা এবং বাগান যাতে দুর্লভ উদ্ভিদের সংগ্রহ তৈরি করা হয়েছিল এবং এর কিছু এখনও বিদ্যমান আছে। এটি এখন একটি জাদুঘর হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
প্রাসাদটি অবশেষে ১৯৭৮ সালে সুপ্রিম কাউন্সিল অফ এন্টিকুইটিসের কর্তৃত্বের অধীনে আসে। সবচেয়ে লক্ষণীয় ব্যাপার হচ্ছে, ড্রয়িং রুম যা একটি ডাইনিং রুম হিসেবে ব্যবহার করা হত, এই রৈখিক পাহাড়ের প্রতিটি ধাপে একটি ছোট বাগান তৈরি করা হয় যা বাগান এবং ভিলায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য নির্মিত ওয়াটারহুইল টাওয়ার দ্বারা সেচ করা পানি ব্যবহার করতো।
উইকিমিডিয়া কমন্সে Shubra El-Kheima সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।