শেন বন্ড

শেন বন্ড
২০০৯ সালে ইউনিভার্সিটি ওভালে শেন বন্ড
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
শেন এডওয়ার্ড বন্ড
জন্ম (1975-06-07) ৭ জুন ১৯৭৫ (বয়স ৪৯)
ক্রাইস্টচার্চ, ক্যান্টারবারি, নিউজিল্যান্ড
ডাকনামজেমস বন্ড
উচ্চতা৫ ফুট ৯ ইঞ্চি (১.৭৫ মিটার)
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ২১৬)
২২ নভেম্বর ২০০১ বনাম অস্ট্রেলিয়া
শেষ টেস্ট২৪ নভেম্বর ২০০৯ বনাম পাকিস্তান
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ১২৪)
১১ জানুয়ারি ২০০২ বনাম অস্ট্রেলিয়া
শেষ ওডিআই১৩ মার্চ ২০১০ বনাম অস্ট্রেলিয়া
ওডিআই শার্ট নং২৭
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৯৬–২০১০ক্যান্টারবারি
২০০২ওয়ারউইকশায়ার
২০০৮হ্যাম্পশায়ার
২০১০কলকাতা নাইট রাইডার্স
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ১৮ ৮২ ৬০ ১৩৫
রানের সংখ্যা ১৬৮ ২৯২ ৮৩০ ৪৯৮
ব্যাটিং গড় ১২.৯২ ১৬.২২ ১৬.৬০ ১৩.৪৫
১০০/৫০ ০/০ ০/০ ১/২ ০/০
সর্বোচ্চ রান ৪১* ৩১* ১০০ ৪০
বল করেছে ৩,৩৭২ ৪,২৯৫ ১০,২৬৩ ৬,৯০৩
উইকেট ৮৭ ১৪৭ ২২৫ ২১৪
বোলিং গড় ২২.০৯ ২০.৮৮ ২৪.৩৪ ২৩.৭৫
ইনিংসে ৫ উইকেট ১২
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং ৬/৫১ ৬/১৯ ৭/৬৬ ৬/১৯
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৮/– ১৫/– ২৪/– ১৮/–
উৎস: ক্রিকইনফো, ৪ মে ২০১৭

শেন এডওয়ার্ড বন্ড (ইংরেজি: Shane Bond; জন্ম: ৭ জুন, ১৯৭৫) ক্যান্টারবারির ক্রাইস্টচার্চে জন্মগ্রহণকারী নিউজিল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটারটেস্ট, একদিনের আন্তর্জাতিকটুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট বোলিং করতেন। বিখ্যাত ফাস্ট বোলার স্যার রিচার্ড হ্যাডলি’র পর তাকে নিউজিল্যান্ডের সেরা ফাস্ট বোলাররূপে বিবেচনা করা হয়।[] ঘরোয়া ক্রিকেটে ক্যান্টারবারি দলের হয়ে খেলেছেন। ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেটে ওয়ারউইকশায়ারের দলে খেলেন। এছাড়াও, নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলে বোলিং কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন শেন বন্ড[]

খেলোয়াড়ী জীবন

[সম্পাদনা]

২০০৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে ভারত ক্রিকেট দলের বিপক্ষে তিনি ১৫৬.৪ কি.মি/ঘ গতিতে বোলিং করে দ্রুততম বোলিংয়ের রেকর্ড গড়েন।[] বন্ডের খেলোয়াড়ী জীবনে আঘাতপ্রাপ্তি সাধারণ ঘটনা ছিল। ২০০৪ সালে পুনরায় আঘাত থেকে রক্ষার্থে অস্ত্রোপচার করেন।[] কিন্তু এটি আংশিকভাবে সফলকাম হয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় পিঠের সমস্যা, হাঁটুর আঘাত, তলপেটের যন্ত্রণায় ভুগেছেন। এধরনের সমস্যার সাথে পুরোপুরি পেশাদার ক্রিকেট জীবনে দেরীতে প্রবেশের ফলে আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া - উভয় ক্ষেত্রেই তার অংশগ্রহণ সীমিত ছিল। ২০০১-০২ মৌসুমে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষিক্ত হন। কিন্তু নিউজিল্যান্ড দলের পক্ষে মাত্র ১৮টি টেস্টে অংশগ্রহণ করতে পেরেছেন। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে জর্জ লোহম্যানের পর তিনি সর্বকালের সেরা স্ট্রাইক রেট বোলিংয়ে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছেন।[] অবশেষে মাত্র ৩৪ বছর বয়সে ডিসেম্বর, ২০০৯ সালে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণ করতে বাধ্য হন শেন বন্ড।[] ক্রিকইনফোর ব্রাইডন কভারডেল তাকে নিউজিল্যান্ডের সেরা ফাস্ট বোলাররূপে আখ্যায়িত করেন।[]

নিষেধাজ্ঞা

[সম্পাদনা]

মার্চ, ২০০৮ সালে ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লীগে দিল্লি জায়েন্টস দলে অংশগ্রহণের প্রেক্ষাপটে তাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে ১৮ মাসের নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়।[] জানুয়ারি, ২০০৮ সালে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড তার সাথে চুক্তি স্থগিত করে।[] জুন, ২০০৯ সালে বিদ্রোহী প্রতিযোগিতা থেকে নিজ নাম প্রত্যাহার করায় তাকে পুনরায় জাতীয় দলে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হয়।[] জানুয়ারি, ২০১০ সালে আইপিএলের ৩য় মৌসুমে কলকাতা নাইট রাইডার্স দলের সাথে চুক্তিতে উপনীত হন। ১৩ মে, ২০১০ তারিখে সকল স্তরের ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণ করায় তিনি আইপিএলের চতুর্থ আসরে অংশগ্রহণ করেননি।

ডিসেম্বর, ২০০৯ সালে দীর্ঘদিন যাবৎ আঘাতপ্রাপ্তির কারণে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের কথা ঘোষণা করেন। তবে তিনি সীমিত ওভারে অংশগ্রহণের কথা জানান। ১৮ টেস্টে ২২.০৯ রান গড়ে ও ৩৮.৭ স্ট্রাইক রেটে তিনি ৮৭ উইকেট লাভ করেন। ১৪ মে, ২০১০ তারিখ টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে আকস্মিকভাবে অবসরের ঘোষণা দেন। এর প্রধান কারণ ছিল ২০১০ সালের আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতার সেমি-ফাইনালে নিউজিল্যান্ড দল উন্নীত হতে পারেনি।[১০]

২০১০ সালে ঘরোয়া ক্রিকেটের এইচআরভি ও চ্যাম্পিয়ন্স লীগে সেন্ট্রাল স্ট্যাগস দলের সহকারী কোচের দায়িত্ব পালন করেন। অক্টোবর, ২০১২ সাল থেকে তাকে নিউজিল্যান্ড জাতীয় ক্রিকেট দলের বোলিং কোচের দায়িত্ব দেয়া হয়।[] কিন্তু, ২০১৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালে নিউজিল্যান্ড দল খেললেও এ পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। এ তিন বছরে ট্রেন্ট বোল্টটিম সাউদি’র ন্যায় বোলার তৈরির ক্ষেত্রে তার অবদান প্রশংসনীয়। ২০১৫ সালে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বোলিং কোচ হিসেবে যোগ দিয়েছেন তিনি।

সম্মাননা

[সম্পাদনা]

ড্যানিয়েল ভেট্টোরিসহ তাকে সর্বকালের সেরা নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট একাদশে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[১১][১২]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. http://www.cricinfo.com/newzealand/content/current/story/440750.html
  2. "Bond named New Zealand Bowling Coach"। Wisden India। ১৮ অক্টোবর ২০১২। ২৬ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০১৪ 
  3. Top 10 World’s Fastest Deliveries in the Cricket History ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩১ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে. Retrieved 6 January 2013.
  4. Bond decides to go under the knife. Cricinfo, retrieved 28 March 2008
  5. "Best Test career strike rates."Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ retrieved 6 April 2008  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  6. "Shane Bond retires from all cricket"Cricinfo। ১৪ মে ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৫-১৫ 
  7. Bond's New Zealand days appear over. Cricinfo, retrieved 28 March 2008
  8. New Zealand terminate Bond contract. Cricinfo, retrieved 27 March 2008
  9. http://www.cricinfo.com/newzealand/content/current/story/409911.html
  10. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৬ মে ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০১৪ 
  11. "All-time XI - New Zealand"। espncricinfo। সংগ্রহের তারিখ 2015-7-9  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  12. "vettori-and-bond-in-nz-all-time-xi"। tvnz.co.nz। সংগ্রহের তারিখ 2015-7-9  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]