শেরিল কারা স্যান্ডবার্গ | |
---|---|
![]() ফেসবুকে স্যান্ডবার্গ, লন্ডন (এপ্রিল, ২০১৩) | |
জন্ম | শেরিল কারা স্যান্ডবার্গ ২৮ আগস্ট ১৯৬৯ |
মাতৃশিক্ষায়তন | হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় (BA, MBA) |
পেশা | COO, ফেসবুক |
কর্মজীবন | ১৯৯১ - বর্তমান |
রাজনৈতিক দল | ডেমোক্রেটিক |
বোর্ড সদস্য | দ্য ওয়াল্ট ডিজনি কোম্পানি Women for Women International Center for Global Development V-Day SurveyMonkey |
দাম্পত্য সঙ্গী | ব্রায়ান ক্রাফ (তালাকপ্রাপ্ত ১৯৯৪) ডেভিড গোল্ডবার্গ (বিবাহ ২০০৪) |
সন্তান | ২ (গোল্ডবার্গের সাথে) |
শেরিল কারা স্যান্ডবার্গ (ইংরেজি: Sheryl Sandberg) (জন্ম ২৮শে আগস্ট, ১৯৬৯) একজন মার্কিন নারী ব্যবসায় নির্বাহী, জনহিতৈষিনী ও শতকোটিপতি (মার্কিন ডলারে)। ২০২২ সালের তথ্য অনুযায়ী তিনি মার্কিন তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি মেটা প্ল্যাটফর্মসের (প্রাক্তন নাম ফেসবুক) প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ও লিনইন ডট অর্গ নামক নারীদের সহায়তা প্রদানকারী সংস্থার প্রতিষ্ঠাত্রী। ২০১২ সালের জুনে তিনি ফেসবুক পরিচালনা পরিষদের বিদ্যমান সদস্যদের দ্বারা নির্বাচিত হয়ে প্রথম নারী সদস্য হিসেবে পরিষদে যোগদান করেন। ফেসবুকের আগে তিনি অনলাইন বিক্রয় ও অভিযানের উপপ্রধান ছিলেন। তিনি গুগলের সহপ্রতিষ্ঠান গুগল ডট অর্গ সংস্থার সাথেও জড়িত ছিলেন। গুগলের পূর্বে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব বিভাগের সচিব লরেন্স সামার্সের অধীনে প্রধান কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেন। ২০১২ সালে তিনি টাইমস ম্যাগাজিনের মতে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন। ২০২২ সালে তাঁর সম্পত্তির মূল্যমান ছিল ১৭০ কোটি মার্কিন ডলার। তাঁর বিত্তের প্রধান উৎস হল মেটা ও অন্যান্য কোম্পানির অংশপত্র বা শেয়ার।
শেরিল স্যান্ডবার্গ ১৯৬৯ সালের ২৮ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে জন্মগ্রহণ করেন। তার আরও এক ভাই ও বোন রয়েছেন। ভাইয়ের নাম ডেবিড এবং বোনের নাম মিচেল। তার বয়স যখন ২ বছর তখন তার বাবা-মা নর্থ মিয়ামি বীচ থেকে ওয়াশিংটনে চলে আসেন। তিনি ২৫ বছর বয়সে বিশ্বের খ্যাতনামা হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা নেন।
হার্ভার্ড থেকে গ্রাজুয়েশন শেষ করে যোগ দেন বিশ্ব ব্যাংকে। তার ২০০৪ সালে যোগ দেন বিশ্বের প্রধান সার্চ ইঞ্জিন ‘গুগল’ এ। তিনি সার্চ ইঞ্জিন গুগলের 'গ্লোবাল অনলাইন সেলস' এর ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন। গুগলে চাকরি নেয়ার আগে স্যান্ডবার্গ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রীর চীফ অব স্টাফ হিসেবে কাজ করেছেন। ৪ বছর সেখানে চাকরি করার পর ২০০৮ সালে যোগ ফেসবুকে। স্বয়ং মার্ক জুকারবার্গই তাকে গুগল থেকে ফেসবুকে নিয়ে আসেন। ওই বছর ‘ওম্যান ইন টেকনোলজি, ইন্টারন্যাশনাল’ বিশ্বপ্রযুক্তিতে শীর্ষ ১০ ক্ষমতাবান নারীর তালিকায় চলে আসেন তিনি। ফেসবুকের চিফ অপারেটিং অফিসার পদে দায়িত্ব পালনে শেরিল স্যান্ডবার্গ বিপণন, বিকিকিনি, লোকসম্পদ, লোকনীতি এবং যোগাযোগের বিষয়গুলো সরাসরি তত্ত্বাবধান করেন। নিত্যদিনই ফেসবুকে অনলাইনে সার্চ ইঞ্জিন ক্রয়-বিক্রয়ে নিত্যনতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে অবদান রেখে চলেছেন এ নারী প্রযুক্তিবিদ। প্রতিষ্ঠানের তথ্যানুযায়ী ২০১১ সালে তিনি সবচেয়ে বেশি বেতনের কর্মকর্তার মর্যাদা পান। এ বছর ফেসবুক থেকে বেতন হিসেবে শেরিল তিন কোটি ৯০ লাখ ডলার সম্মানী পেয়েছেন। ২০১২ সালের জুনে তিনি ফেসবুক কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের একজন প্রভাবশালী সদস্য নির্বাচিত হন। ফেসবুক ছাড়াও তিনি ওয়াল্ট ডিজনি ও উইমেন ইন্টারন্যাশনালের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য।
ব্লুমবার্গ এর এক প্রতিবেদনে শেরিল স্যান্ডবার্গকে বিশ্বের অন্যতম কম বয়সী বিলিয়নেয়ার হিসেবে উল্লেখ করেন। তার সম্পদের পরিমাণ এক বিলিয়ন বা ১০০ কোটি ডলার অতিক্রম করেছে। শেরিলের এ ধনী হওয়ার পেছনে রয়েছে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের শেয়ার। জানা গেছে শেরিলের প্রায় এক কোটি ২৩ লাখ ফেসবুক শেয়ার রয়েছে। সম্প্রতি এ শেয়ারগুলোর মূল্য বৃদ্ধিই তার অর্থবিত্তের কারণ। ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেস্ক ইতিমধ্যেই ৪৪ বছর বয়সী শেরিলকে বিশ্বের অন্যতম তরুণ বিলিয়নেয়ার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে। ২০১৪ সালে ফোর্বস ম্যাগাজিন আরেক প্রতিবেদনে তাকেই বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী বিলিয়নিয়ার নারী হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
১৯৯৩ সালে ব্রেইন ক্রাফ এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। তার পরের বছর ১৯৯৪ সালে তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে। ২০০৪ সালে ডেভিড গোল্ডবার্গকে বিয়ে করেন তিনি। পারিবারিক জীবনে তিনি এক ছেলে এবং এক মেয়ে সন্তানের মা।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |