শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ | |
---|---|
পরিচালক | হরনাথ চক্রবর্তী |
প্রযোজক | শ্রীকান্ত মোহতা |
রচয়িতা | মনোতোষ চক্রবর্তী |
শ্রেষ্ঠাংশে | প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত রঞ্জিত মল্লিক অনামিকা সাহা শুভাশিষ মুখোপাধ্যায় টোটা রায়চৌধুরী |
সুরকার | বাবুল বোস |
সম্পাদক | স্বপন গুহ |
প্রযোজনা কোম্পানি | |
পরিবেশক | এসকে মুভিজ |
মুক্তি |
|
দেশ | ভারত |
ভাষা | বাংলা |
নির্মাণব্যয় | ₹ ৬০-৭০ লক্ষ[১][২] |
আয় | ₹ ২.৫ কোটি[৩] |
শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ ২০০০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলা অ্যাকশন চলচ্চিত্র যার পরিচালক হরনাথ চক্রবর্তী ও শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস প্রযোজনা সংস্থা। প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত আর গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন রঞ্জিত মল্লিক, অনামিকা সাহা, শুভাশিষ মুখোপাধ্যায় এবং টোটা রায়চৌধুরী। বাবুল বোস সুর রচনা করেছিলেন। এটি ২০০০ সালে প্রকাশিত হওয়ার সময়ে বক্স-অফিসে রেকর্ড তৈরি করার সাথে সবচেয়ে বেশি আয় করা বাংলা চলচ্চিত্র ছিল।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
প্রখ্যাত শিল্পপতি শ্রীমতী বিনোদিনী রায় (অনামিকা সাহা) তার বড় মেয়ে রূপাকে (ঋতুপর্ণা) তার ব্যবসায়িক অংশীদারের ছেলের সাথে বিয়ে করাতে চান। রুপা বিয়ের বিরুদ্ধে এবং তাই সে বাবার (রঞ্জিত মল্লিক) সহায়তায় বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। রূপা তার মামার বাড়ির যাওয়ার পথে, একটি ট্যাক্সি চালক তার জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে এবং সোমু (প্রসেনজিৎ) নামের সুদর্শন এক মোটর-মেকানিক এসে তাকে রক্ষ্যা করে। সোমু তাকে তার মামার বাড়িতে নিয়ে যায়। যতোই সময় যায় রূপা ও সোমু একে অপরের কাছে চলে আসতে থাকে। একদিন তাদের মধ্যে খুব তর্ক-বিতর্ক হয় এবং তারা উপলব্ধি করে তারা একে অপরকে ভালবাসে। তারা রুপার মাকে না জানিয়ে গোপনে বিয়ে করে। শীঘ্রই, রূপার বাবার অনুরোধে সে ঘরে ফিরে আসে, তবে তার মা তার এই বিবাহকে অস্বীকার করে; পরিবর্তে তিনি তার আগের ঠিক করা ব্যবসায়িক অংশীদারের ছেলের সাথে বিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত নেন। রুপার বিয়ের দিন ঠিক যখন রুপা সমস্ত আসা ছেড়ে দিয়েছে; সোমু তার ‘শ্বশুরবাড়ি’ বাড়িতে নাটকীয়ভাবে প্রবেশ করে। তবে কেবল রূপের প্রতি তার ভালবাসা কি তাকে এখানে এনেছে; নাকি সোমুর নিজের কিছু গোপনীয়তা আছে?
"শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ", পশ্চিমবঙ্গে ২ কোটি টাকার ও বেশি টাকার ব্যবসা করা প্রথম বাংলা ছবি হয়ে বক্স-অফিস ইতিহাস তৈরি করে। বড় বাজেটে তৈরি প্রায় ৬০-৭০ লক্ষ টাকায় নির্মিত,[১][২] চলচ্চিত্রেটি শেষ অবধি বক্স-অফিসে ২.৫০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল;[৩] এইভাবে এটি 'সর্বকালের ব্লকবাস্টার' হিসাবে ঘোষিত সমস্ত মানদণ্ড পূরণ করেছিল। প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা জুটীর আগের চলচ্চিত্রগুলি, "শুধু একবার বল", "বাবা কেন চাকর" এবং "মনের মানুষ" ব্লকবাস্টার চলচ্চিত্রেগুলিকেও ছাপিয়ে তখনকার পর্যন্ত সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্র হয়ে উঠেছিল।[৩] এটি অবশেষে বাংলার জেলাগুলিতে ৫০ সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলেছিল এবং 'সুবর্ণজয়ন্তী' সম্পন্ন করেছিল।[৪] ২ ১/২ বছর সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্র রেকর্ড ধারণ করার পর হরনাথ চক্রবর্তীর পরিচালনায় 'সাথী' তার রেকর্ড ভাঙে।[৫]